রাজশাহী
রাজশাহীতে এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য অটোরিকশা-লেগুনা ধর্মঘট
রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে চলমান বাস ধর্মঘটের মধ্যেই এবার সিএনজিচালিত অটোরিকশা, থ্রি-হুইলার, হিউম্যান হলার ও লেগুনা ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালে জেলা মিশুক-সিএনজি মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
মিশুক-সিএনজি মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, দুই দফা দাবিতে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে- মহাসড়কে অবাধে চলাচল করতে দিতে হবে। বিআরটিএ থেকে রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্তি সহজ ও হয়রানিমুক্ত করতে হবে। এই দুই দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
এদিকে এই ধর্মঘটের কথা অনেক অটোরিকশা চালকই জানেন না। বিকেলেও সড়কে অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
মোরশেদ নামে এক অটোরিকশা চালক বলেন, আমাদেরকে আগে থেকে কোনো কিছুই বলা হয়নি। দুপুরের পরে শুনলাম যে ধর্মঘট। কই সড়কে কোনো শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীকে দেখা যাচ্ছে না। অনেকেই গাড়ি চালাচ্ছেন।
রাজশাহী মিশুক-সিএনজি মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আহসান হাবিব বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, থ্রি-হুইলার, হিউম্যান হলার ও লেগুনা জেলার অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচল করে। কিন্তু সকল সড়কে আমরা অবাদে চলাচল করতে পারি না। এছাড়াও নতুন অটোরিকশা কেনা হলে তার রেজিস্ট্রেশন করতে হয়রানির শিকার হতে হয়। এ কারণে আমরা ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছি।
তিনি বলেন, দুই দফা দাবির বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মালিক সমিতির যৌথ বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার সকাল থেকে অনিদির্ষ্টকালের জন্য আমাদের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি মানার আশ্বাস পেলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে।
এর আগে মহাসড়কে নছিমন-করিমন-ভটভটিসহ অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করতে ১০ দফা দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে রাজশাহী বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। আগামীকাল শনিবার রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা অটোরিকশাসহ তিন চাকার যানে রাজশাহীতে আসছিলেন। সাধারণ যাত্রীদেরও বাসের বিকল্প হিসেবে তিন চাকার যানই ছিল একমাত্র ভরসা। এবার তাও বন্ধ করে দেয়া হলো।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন