আওয়ামী লীগ
ময়মনসিংহে ৬ বছর পর আ.লীগের সম্মেলন আজ
৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে নগরজুড়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস মাঠে বেলা ১১টায় সম্মেলন শুরু হবে।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলা সম্মেলনের মূল আকর্ষণ নৌকার আদলে ১২০ ফুট দৈর্ঘ্যের ও ৮০ ফুট প্রস্থের সম্মেলন-মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে শুক্রবার। মঞ্চ তৈরিতে কাজ করেছেন প্রায় অর্ধশত শ্রমিক। ব্যবহার করা হয়েছে মানসম্পন্ন উপকরণ, যেখানে একসঙ্গে বসতে পারবেন প্রায় দুইশ অতিথি।
মঞ্চের উপরে বিশালাকৃতির একটি প্যানা টানানো হয়েছে। যেখানে ডানপাশে বঙ্গবন্ধুর ও বামপাশে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি রয়েছে। সেইসঙ্গে শোভা পাচ্ছে বর্তমান সরকারের মেগাপ্রকল্পের উন্নয়নযজ্ঞের ফিরিস্তি।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। উদ্বোধন করবেন দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, সম্মানিত অতিথি থাকবেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক।
প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এছাড়া দলের উপদেষ্টা ও সাবেক ধর্মমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম এমপি ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, সদস্য মারুফা আক্তার পপি ও রেমন্ড আরেং, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটুসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা ও ময়মনসিংহের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেবেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা। স্বাগত বক্তব্য দেবেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত।
সম্মেলনকে ঘিরে মাঠের চারপাশের গাছ-গাছালি ছাড়াও নগরের প্রতিটি সড়ক ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে। দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানিয়ে এসব ব্যানার-ফেস্টুন-তোরণ টাঙানো হয়েছে। অনুসারীরাও নেতাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ‘দেখতে চাই’ লেখা সংবলিত তোরণ-ফেস্টুন-পোস্টার টাঙিয়েছেন।
সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কারা আসছেন এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তবে তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা, অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দিয়ে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নেতৃত্ব, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দলকে সংগঠিত করতে পারদর্শী এমন নেতৃত্ব আসবে নতুন কমিটিতে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা বলেন, যারা আগামী দিনে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবে এবং শুধু ময়মনসিংহ নয়, দেশের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখবে এবং একইসঙ্গে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে আরও সুসংগঠিত ও চাঙ্গা রাখতে পারবে, এই সম্মেলনের মাধ্যমে এমন একটি কমিটি আমি প্রত্যাশা করছি।
মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ময়মনসিংহ সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, সম্মেলন সফল করতে আমরা দিন-রাত পরিশ্রম করেছি। এই সম্মেলনের মাধ্যমে যোগ্যরাই নেতৃত্ব স্থানে থাকবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।
এদিকে সম্মেলনকে ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সাড়ে ৫শ পুলিশ সদস্য থাকবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঁঞা। তিনি বলেন, পুলিশের পাশাপাশি এপিবিএন সদস্যরাও থাকবে। ইতোমধ্যে পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে এপিবিএন সদস্যদের নিয়ে আসা হয়েছে। গোটা সম্মেলনস্থলকে সিসি ক্যামেরার আওয়তায় আনা হয়েছে। থাকবে ওয়াচ টাওয়ার।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। পরে একই বছরের ১০ অক্টোবর অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকাকে সভাপতি এবং অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়। অপরদিকে মহানগর কমিটিতে এহতেশামুল আলম সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোহিত উর রহমান শান্তের নাম ঘোষণা করা হয়।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন