রাজশাহী
মিডিয়া কার্ডে খালেদা-তারেকের ছবি থাকায় সাংবাদিকদের আপত্তি
বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ যেসব সাংবাদিক কাভার করতে যাবেন, তাদের জন্য এবার মিডিয়া কার্ড ইস্যু করেছে দলটি। এই মিডিয়া কার্ডে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দলের চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি আছে। এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন সাংবাদিকেরা।
সমাবেশের মিডিয়া উপকমিটির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু ও সদস্যসচিব আতিকুর রহমান রুমনের স্বাক্ষর রয়েছে এই কার্ডে।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহী নগরীর একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে বসে এই কার্ড বিতরণ করা হয়।
এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে) একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে বিএনপির দেওয়া মিডিয়া কার্ডে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিসহ কারাবন্দী এক আসামির ছবি পরিবেশন করা হয়েছে। এ কারণে মিডিয়া কার্ডটি আরইউজের পক্ষ থেকে বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
শুক্রবার রাতে আরইউজের সভাপতি রফিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক এই বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমকর্মীরা কেউ সমাবেশস্থলে এই কার্ড গলায় ঝুলিয়ে বা সঙ্গে নিয়ে যাব না। এর পরও সমাবেশে যদি ঢুকতে বাধা দেয়া হয়, তাহলে আমরা সমাবেশ বয়কট করব।’
উল্লেখ্য, বিএনপির এই সমাবেশ কাভার নিয়ে সম্প্রতি মিডিয়া উপকমিটি রাজশাহীর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে। সেখানেই সাংবাদিকদের আলাদা মিডিয়া কার্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি, যাতে স্বেচ্ছাসেবকেরা সাংবাদিকদের চিনতে পারেন এবং সমাবেশে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা না হয়।
রাজশাহী নগরীর একটি হোটেলে বসে মিডিয়া উপকমিটির পক্ষ থেকে এই কার্ড বিতরণ করা হয়। অনেক সাংবাদিকই এই কার্ড নিতে যাননি। পরে মিডিয়া কার্ডের ছবিগুলো নিয়ে সমালোচনা শুরু করেন সাংবাদিকেরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিডিয়া উপকমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের দেওয়া মিডিয়া কার্ড ছাড়াই সাংবাদিকেরা দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন