রাজশাহী
রাবি ছাত্রলীগের চার নেতা গাঁজাসহ আটক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ চার ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১২টি পলিথিনে ভরা ৩২৫ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়। বিক্রির উদ্দেশ্যে গাঁজাগুলো নিজেদের সংরক্ষণে রেখেছিল বলে তারা স্বীকার করেছে।
আটক চার ছাত্রলীগ নেতা হলেন- শের-ই-বাংলা একে ফজলুল হক হল ছাত্রলীগের যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক ও ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ, বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান, শহীদ শামসুজ্জোহা হল ছাত্রলীগের উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ বিন সিদ্দিক এবং শহীদ জিয়াউর রহমান হল ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক উপ-সম্পাদক ও ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম। এদের মধ্যে আরিফ বিন সিদ্দিক ও সাইফুল ইসলামকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার পর বিশ^বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল চত্বর (ইবলিশ চত্বর) থেকে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গাঁজা সেবনকালে তাদেরকে আটক করেন।
প্রক্টর দপ্তর সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ক্যাম্পাসে টহল (পাহারা) দিচ্ছিলেন। ওই চার ছাত্রলীগ নেতাকে গাঁজা সেবন করতে দেখেন তারা। এ সময় প্রক্টরিয়াল তাদেরকে আটক করে তাদের ব্যাগ সার্চ (তল্লাশি) করলে সেখানে গাঁজার ১২টি পোটলা পাওয়া যায়। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রক্টর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে আটকরা জানান, ক্যাম্পাসে তারা নিয়মিত গাঁজা সেবন ও ক্যাম্পাসে গাঁজা সরবরাহ করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমি মাত্র বিষয়টি জানতে পারলাম। এখন খোঁজ নিচ্ছি। যদি এ বিষয়ে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘আমরা গাঁজাসহ তাদেরকে আটক করেছি। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। সেই সঙ্গে বিশ^বিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাও গ্রহণ করব।’ রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন জানান, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিকেলে দুইজনকে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন