আওয়ামী লীগ
সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে বিএনপিকে অনুতাপ করতে হবে : কাদের
জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। বিএনপির সাতজন চলে গেলে সংসদ অচল হয়ে পড়বে, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। এর জন্য দলটিকে অনুতাপ করতে হবে। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সাভারের রেডিও কলোনি স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে আয়োজিত জনসভায় এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ‘ভুল’। বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করলেও জাতীয় সংসদের কিছু যায় আসে না। তাদের সাতজন চলে গেলে সংসদ অচল হবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাড়ে ৩শ আসনের বিপরীতে ৬/৭ টি আসনের কারণে সংসদ অচল হবে না। সমাবেশের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে, এ টাকা কোন ব্যবসায়ী কোন শিল্পপতি দিচ্ছে তা আমরা সব জানি, সময় মত তা প্রকাশ করা হবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ক্ষমতায় থাকাকালীন দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তার ছেলে তারেক রহমান হাওয়া ভবন তৈরি করে লুটপাটের রাজত্ব শুরু করেছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপির আন্দোলনকেও পরাজিত করা হবে। বিজয়ের মাসের স্বাধীনতা বিরোধীরা কোনভাবেই জয়ী হতে পারে না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ কোথাও খাদ্যের কোন ঘাটতি নেই। দেশের মানুষ আজ না খেয়ে মারা যায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে চলেছে। স্বাধীনতা বিরোধী জামাত শিবির চক্র উন্নয়নের এ ধারাকে বাধাগ্রস্থ করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপি জামাত একটি জঙ্গি সংগঠন। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের মাধ্যমে তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র বানচাল হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি জামাত দেশের ভালো চায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি জামাত তখন বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাদের এ ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, শুনলাম তাদের (বিএনপি) সাত জন এমপি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। গণতান্ত্রিক অধিকার আছে আপনি পদত্যাগ করতে পারেন। কিন্তু সেটা মাঠে হয় না, স্পিকারের কাছে দিতে হয়। এখানেও রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজি। সাড়ে ৩শ জনের মধ্যে ৭ জনের পদত্যাগে সরকারের কিছু যায় আসে না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম জনসভায় বলেন, ‘আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, আমরা রাজপথে আছি, আমরা ক্ষমতা পরিচালনায়ও আছি। আমরা ভবিষ্যতেও থাকবো।’
সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলার সভাপতিতে অন্যান্যের মধ্যে জনসভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এমপি, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, সভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন