জাতীয়
জাতীয় প্রেসক্লাব নির্বাচন ২০২৩-২৪: দুই ফোরামের মনোনয়নপত্র জমা
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ২০২৩-২৪ মেয়াদের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন দুই ফোরামের প্রার্থীরা। জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল আজ সোমবার (১২ ডিসেম্বর)। আগামী ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম প্যানেলের সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক পদে শ্যামল দত্ত মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
অন্যদিকে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল (বিএনপি) সমর্থিত প্যানেল থেকে সভাপতি পদে সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের নির্বাচনে ১৭টি পদের বিপরীতে দুইটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ছাড়াও বেশ কয়েকটি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কয়েকজন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল থেকে সিনিয়র সহ-সভাপতি কার্তিক চ্যার্টাজী, সহ-সভাপতি রেজোয়ানুল হক রাজা, যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী, আইয়ুব ভূঁইয়া এবং কোষাধ্যক্ষ পদে শাহেদ চৌধুরী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এই প্যানেল থেকে ১০টি সদস্য পদের বিপরীতে লড়ছেন মিজান মালিক, ফরিদ হোসেন, শাহনাজ সিদ্দিকী সোমা, রহমান মুস্তাফিজ, কল্যাণ সাহা, সলিমুল্লাহ সেলিম, নজরুল কবীর, নিজামুল হক বিপুল, ইব্রাহীম খলিল খোকন ও শামীম সিদ্দিকী।
বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল (বিএনপি) সমর্থিত প্যানেলে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে হাসান হাফিজ, সহ-সভাপতি সৈয়দ আলী আফসার, যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন ও সাইদুল হোসেন সাহেদ এবং কোষাধ্যক্ষ পদে হাসান শরীফ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন।
এই প্যানেল থেকে ১০টি সদস্য পদে সৈয়দ আবদাল আহমদ, কাজী রওনক হোসেন, বখতিয়ার রানা, শাহনাজ পলি, কামরুল হাসান দর্পন, আনিসুল রহমান খান, সীমান্ত খোকন, মোহাম্মদ মোমিন হোসেন, শামসুল হক দুররানী ও তাহমিনা আক্তার।
এ ছাড়াও নির্বাচনে স্বতন্ত্র থেকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. কাজী আবদুল হান্নান, সাধারণ সম্পাদক পদে সরদার ফরিদ আহমদ ও মাইনুল আলম নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
অন্যদিকে, কোষাধ্যক্ষ পদে শাহনেওয়াজ দুলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ভানুরঞ্জন চক্রবর্তী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। স্বতন্ত্র থেকে সদস্যপদে ১৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এর আগে, শনিবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টা পর্যন্ত ছিল ফরম সংগ্রহ ও জমা দেয়ার শেষ সময়।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন