আওয়ামী লীগ
যে অফিসে বোমা পাওয়া যায়, সেখানে তন্নতন্ন করে তল্লাশি স্বাভাবিক: তথ্যমন্ত্রী
যে অফিসে তাজা বোমা পাওয়া গেছে, সে অফিসে তন্নতন্ন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তল্লাশি করবে এটা খুবই স্বাভাবিক। বোমার সঙ্গে সেখানে গ্রেনেড আছে কি না বা অন্য কোনো মারণাস্ত্র আছে কি না সেটি দেখতে যাওয়া স্বাভাবিক। বললেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর তিন প্রজন্মের রাজনীতি’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বোমার সঙ্গে সেখানে গ্রেনেড বা অন্যকোনো মারণাস্ত্র আছে কি না তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেখতেই হবে।
তথ্যমন্ত্রী, ‘সেটি জিয়াউর রহমানের ফটোর বাক্সে আছে কি না কিংবা খালেদা জিয়ার ফটো বাক্সের মধ্যে ঢুকিয়ে রেখেছে সেটি তো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেখতেই হবে।’
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের স্কালপচারের (ভাস্কর্য) আয়না ভাঙা দেখিয়ে বলছে যেভাবে তছনছ করে…, তো জিয়াউর রহমানের স্কালপচারের যে ফাউন্ডেশন সেটার পেছনে কোনো কিছু লুকিয়ে রেখেছে কি না সেটা দেখতে হলে তো আয়না ভাঙতেই হবে। এছাড়া তো কোনো উপায় নেই। সুতরাং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্তের স্বার্থে সেখানে তল্লাশি চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তল্লাশিকে তারা অতিরঞ্জিত করে বলছে, আসলে ১০ ডিসেম্বর তারা প্রচণ্ডভাবে ফ্লপ করেছে। ১০ ডিসেম্বর যে হাঁকডাক দিয়ে তারা সমাবেশের ডাক দিয়েছিল, সেটার তুলনায় কিছুই করতে পারিনি। ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে বলে বড়জোর ৫০ হাজারের মানুষের একটা সমাবেশ করেছে। তাও একটি গরুর হাটের ময়দানে। সে কারণে তারা মুখরক্ষার জন্য নানা ধরনের অভিযোগ অনুযোগ উপস্থাপনের চেষ্টা করছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সম্মেলন, সে দিন এ ধরনের গণমিছিলের ডাক দেয়া একটি দূরভিসন্ধিমূলক। আর এভাবে যুগপৎ আন্দোলন, যৌথ আন্দোলন বিভিন্ন সময় তারা ডাক দেয়। গত ১৪ বছর ধরে তারা বিভিন্ন সময় ডাক দিয়েছে, তাদের ডাকে জনগণ সাড়া দেয়নি। এবারও যথারীতি তাই হবে।
তিনি আরও বলেন, দূতাবাসে গিয়া বিএনপির পক্ষ থেকে অতিরঞ্জিত করে নানা বিষয় উপস্থাপন করা হয় এবং তাদের প্রমোট করা হয় যাতে তারা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায়। তাদের সঠিক তথ্য সরবরাহ করার স্বার্থে ফরেন মিনিস্ট্রি থেকে সে তথ্যগুলো জানানো হয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এখন ইউরোপে আমানতের ওপর ব্যাংকের সুদের হার এক শতাংশ। মূল্যস্ফীতি কোনো কোনো দেশে ১০ শতাংশ, ৮ শতাংশ, ১১ শতাংশ। ৭০ শতাংশও আছে। তাহলে কি সেখানেও ব্যাংকের সুদের হার ১০, ২০ বা ৮০ শতাংশ করতে হবে। শুধু ব্যাংকের আমানতের সুদহার কখনো মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তুলনা করে কোনো রিপোর্ট করা হলে, তাহলে সেটা মিস লিডিং রিপোর্ট। এতে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়। আমি মনে করি এ ধরনের বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট করা সমীচীন নয়।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন