জাতীয়
চলচ্চিত্রে মুক্তিযুদ্ধের কথা
১৯৭১, বাংলার দামাল ছেলেরা বর্বর হানাদার পাকবাহিনীর থেকে কেড়ে এনেছিলো একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। নাম তার বাংলাদেশ। লাল-সবুজের পতাকায় যেন জড়িয়ে রেখেছে গোটা জাতিকে। মুক্তিবাহিনীর দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর। তারই পরিণতিতে অর্জিত হয় বাংলার বিজয়। বিশ্বের মানচিত্রে খোদিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই পর্দায় শুরু হয়েছিলো স্বাধীনতার আর্তনাদ। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলার মুক্তির আকাঙ্ক্ষা আর তীব্র সংগ্রাম যেন ফুটে উঠেছিলো কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের ‘জীবন থেকে নেয়া’ সিনেমায়। এটি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র না হলেও এতে প্রতিফলন ঘটেছিল স্বাধীনতার আকাঙ্খার। মুক্তিযুদ্ধের আগে ১৯৭০ সালে ফখরুল আলম পরিচালনায় নির্মিত হয় ‘জয়বাংলা’। তবে ছবিটি প্রথমে পাকিস্তানি সেন্সর বোর্ড আটকে রাখলেও, পরে ১৯৭২ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি।
এরপর একে একে ‘স্টপ জেনোসাইড’ ও ‘এ স্টেট ইজ বর্ন’ শিরোনামে দুটি প্রামাণ্য ছবি নির্মাণ করেন জহির রায়হান। এছাড়া আলমগীর কবিরের ‘লিবারেশন ফাইটার্স’ এবং বাবুল চৌধুরী নির্মাণ করেন প্রামাণ্য ছবি ‘ইনোসেন্ট মিলিয়ন্স’। ওই সময় এসব প্রামাণ্য ছবিতে পাকিস্তানিদের বর্বরতা, গণহত্যা, অসহায় মানুষের আহাজারি, দুর্দশা, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব এবং মুজিবনগর সরকারের নানা পদক্ষেপসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়।
স্বাধীনতার পরে মুক্তি পায় চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম সিনেমা ‘ওরা ১১ জন’। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৭২ সালে। ছবির গল্পে ১১ জন মুক্তিযোদ্ধার অদম্য সাহসিকতা এবং বাংলা ভাষার জন্য রক্তের বিনিময়ে তাদের সেই সংগ্রামকে তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৭২ সালে মুক্তি পায় সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’, আনন্দ পরিচালিত ‘বাঘা বাঙালি’ এবং মমতাজ আলী পরিচালিত সিনেমা ‘রক্তাক্ত বাংলা’। মুক্তিযুদ্ধের ছবি হলেও এগুলোতে পাকস্তানি সৈন্যদের নৃশংসতাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
১৯৭৩ সলে প্রয়াত চলচ্চিত্রকার আলমগীর কবির নির্মাণ করেন সিনেমা ‘ধীরে বহে মেঘনা’। একই বছর নির্মিত হয় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক খান আতাউর রহমানের ‘আবার তোরা মানুষ হ’, কবীর আনোয়ারের ‘শ্লোগান’, আলমগীর কুমকুমের ‘আমার জন্মভূমি’সহ উল্লেখযোগ্য কিছু সিনেমা। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে এই ছবিগুলো। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ের নির্মম পরিস্থিতি ফুটে ওঠে ১৯৭৪ সালে নির্মিত নারায়ণ ঘোষ মিতার পরিচালিত ‘আলোর মিছিল’, চাষী নজরুল ইসলামের ‘সংগ্রাম’ এবং এস আলীর ‘বাংলার ২৪ বছর’ সিনেমায়।
১৯৭৪-১৯৭৫ সালে খুব একটা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি নির্মাণ হয়নি। ওই সময়টাতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি নির্মাণ একেবারেই কমে যায়। পরে ১৯৭৬ সালে মুক্তি পায় হারুন-অর-রশীদের ‘মেঘের অনেক রং’ এবং ১৯৭৭ সালে মুক্তি পায় আবদুস সামাদের পরিচালনায় সিনেমা ‘সূর্যগ্রহণ’। এ ছবিতে মুক্তিযুদ্ধের চিত্র তুলে আনেন নির্মাতা। তবে ১৯৮১ সালে শহীদুল হক পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধের ছবি ‘কলমীলতা’ মুক্তির পরে মুক্তিযুদ্ধে সিনেমা নির্মাণে ভাঁটা পড়ে।
তবে আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় বাংলা চলচ্চিত্রের ব্যাপক অধঃপতন। যা পরে নব্বই দশক পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। আর এ সময়টাতেই বিকল্পধারা হিসেবে উপস্থাপিত হয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এসব ছবিতে প্রাধান্য পায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সব চিত্র। মুক্তিপ্রাপ্ত স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মোরশেদুল ইসলামের ‘আগামী’, তানভীর মোকম্মেলের ‘হুলিয়া’ ও ‘নদীর নাম মধুমতি’, নাসিরউদ্দিন ইউসুফের ‘একাত্তরের যীশু’, মোস্তফা কামালের ‘প্রত্যাবর্তন’, আবু সাইয়ীদের ‘ধূসর যাত্রা’সিনেমাগুলো ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
এরপর তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ নির্মাণ করেন প্রামাণ্য ছবি ‘মুক্তির গান’। দেশজুড়ে ব্যাপক প্রশংসিত হয় ছবিটি। এছাড়া আরও নির্মিত হয়- দেবাশীষ সরকারের ‘শোভনের একাত্তর’, রফিকুল বারী চৌধুরীর ‘বাংলা মায়ের দামাল ছেলে’, জাঁ-নেসার ওসমানের ‘দুর্জয়’, হারুনুর রশীদের ‘আমরা তোমাদের ভুলব না’, বাদল রহমানের ‘ছানা ও মুক্তিযুদ্ধ’, ছটকু আহমেদের ‘মুক্তিযুদ্ধ ও জীবন’, মান্নান হীরার ‘একাত্তরের রঙপেন্সিল’ সিনেমা।
১৯৯৪ সালে লম্বা বিরতির পর কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ নির্মাণ করেন তার পরিচালিত প্রথম ছবি ‘আগুনের পরশমণি’। ১৯৯৮ সালে মুক্তিযুদ্ধের ছবি ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ এবং ২০০৪ সালে ‘মেঘের পর মেঘ’ নির্মাণ করেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একই বছর হুমায়ুন আহমেদ তৈরি করেন ‘শ্যামলছায়া’ এবং অভিনেতা তৌকীর আহমেদ নির্মাণ করেন ‘জয়যাত্রা’। দীর্ঘ বিরতির পর ২০১০ এ নির্মিত হয়, ৭১-এর গেরিলা, ৭১-এর সংগ্রাম, মেঘমল্লার, অনুক্রোশ, হৃদয়ে-৭১ এবং ৭১-এর মা, জননী। ২০১১ সালে মুক্তিযোদ্ধা নির্মাতা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু নির্মাণ করেন ‘গেরিলা’ এবং মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপন্যাস অবলম্বনে শাহজাহান চৌধুরী নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা ‘আমার বন্ধু রাশেদ’।
২০১৫ সালে হুমায়ূন আহমেদ রচিত উপন্যাস অবলম্বনে ‘অনিল বাগচীর একদিন’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন মোরশেদুল ইসলাম। মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক শাহ আলম কিরণের ‘৭১ এর মা জননী’, তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’, হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্যামলছায়া’ সিনেমাগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধের কাহিনীনির্ভর ছবি ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ নির্মাণ করেন পরিচালক নুরুল আলম আতিক।
আবার লম্বা একটা বিরতির পর, ২০২০ সালে তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি নির্মাণ করেন ‘দামাল’। যা স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের কিশোরের ‘জয় বাংলা’ উপন্যাস অবলম্বনে প্রয়াত নির্মাতা কাজী হায়াত নির্মাণ করেন সিনেমা ‘জয় বাংলা’। একই বছর নির্মিত হয় অনন্য মামুনের ‘রেডিও’, এস এম শাহীন এবং হাসান জাফরুল বিপুলের ‘মাইক’, খিজির হায়াত খানের ‘ওরা সারজন’, হৃদি হকের ‘১৯৭১ সেই সব দিন’, রোজিনার ‘ফিরে দেখা’, এবং তৌকীর আহমেদের ‘স্ফুলিঙ্গ’।
মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির ঐতিহাসিক মহাকাব্য। যা দামাল ছেলেদের কষ্টে অর্জিত বাংলাভাষার নিবেদিত সাক্ষ্য হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে আজও। তবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো আগামীর প্রজন্মের কাছে তুলে ধরবে বাঙালি জাতির ঐতিহ্য।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন