জাতীয়
বোট ক্লাবে যাবার আগের রাতে গুলশানের ক্লাবে পরীমণি’র কাণ্ড
ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত সমালোচিত অভিনেত্রী পরীমণি বিরুদ্ধে এবার রাজধানীর গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
৭ জুন গভীর রাতে অভিনেত্রী পরীমণি যে ওই ক্লাবে গিয়েছিলেন, তার একটি সিসিটিভির ফুটেজ ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, পরীমণির সঙ্গে আসা ব্যক্তিটি হাফপ্যান্ট ও স্যান্ডেল পরে ক্লাবে এসেছেন। এতে বাধা দেওয়ায় উত্তেজিত হয়ে ভাংচুর করেছেন পরীমণি ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন। তবে গণমাধ্যমে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পরীমণি।
বুধবার ১৬ জুনসন্ধ্যায় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট কে এম আলমগীর ইকবাল। তিনি বলেন, পরীমণি সেই রাতে ১৫টি গ্লাস, নয়টি স্ট্রে এবং অনেকগুলো হাফপ্লেট ছুড়ে মেরে ভেঙেছেন। ঘটনার দিন পরীমণির সঙ্গে এক ভদ্রলোক ছিল হাফপ্যান্ট পরা, আরেকজন নারীও ছিল। এটা রাত প্রায় সোয়া ১টা বা দেড়টার ঘটনা।
এ বিষয়ে পুলিশের গুলশান বিভাগে উপকমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, ৭ জুন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে ফোন পেয়ে পুলিশ অল কমিউিনিটি ক্লাবে গিয়েছিল। পুলিশ সেখানে যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে পুলিশ থানায় এসে নিয়ম অনুযায়ী ঘটনার বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।
আলমগীর ইকবাল বলেন, ক্লাবের কিছু নিয়ম-কানুন আছে। কোনো নারী যদি ক্লাবে আসে তাকে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। কিন্তু পরীমণির সঙ্গে আসা ভদ্রলোক হাফপ্যান্ট ও স্যান্ডেল পরে এসেছেন। তখন ক্লাব থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন আমাদের ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ডিরেক্টর ও ক্লাবের এক ম্যানেজার। ওনারা সেটা দেখে বলেছেন, আপনিতো ক্লাব রুলস ভায়োলেট করেছেন। আপনিতো হাফপ্যান্ট পরে এখানে আসতে পারেন না। তখন তারা ক্ষিপ্ত হয়ে যান। তাদের আচার-আচরণ গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় ওনারা (ডিরেক্টর ও ম্যানেজার) বলেছেন, রাত অনেক হয়ে গেছে আপনারা চলে যান। কিন্তু তারা চলে যাচ্ছিল না বিধায় আমাদের দুই পরিচালকই ক্লাব থেকে চলে যান।
এ ঘটনায় ক্লাব প্রেসিডেন্ট বলেন, তারপর যেই সদস্যের মাধ্যমে ওনারা এসেছিলেন উনিও তাদেরকে চলে যাওয়ার জন্য অনেক অনুরোধ করেন। কিন্তু ওনারা যাচ্ছিলেন না বিধায় ওই সদস্যও চলে যান। এরপর ওনারা (পরীমণি ও সঙ্গীরা) হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে চেচামেচি শুরু করেন এবং গ্লাস ও স্ট্রে ছুড়ে মারতে থাকেন। তখন আর কেউ ছিল না ক্লাবে। দু একজন ওয়েটার আর এই তিন চারজন মানুষ ছিল। একপর্যায়ে তারা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশ কল করেন।
পুলিশ আসার পর তারা দেখতে পান, এগুলো উনি ছুড়ে মারছেন। তখন পুলিশ তাদেরকে জিজ্ঞেস করে আপনারা কেন এসেছেন, কেন আমাদের কল করেছেন? তাদের উত্তর ছিলো আমাদের হেনস্থা করা হয়েছে। তখন পুলিশ ভাইয়েরা বলেন, কিছুতো দেখছি না। তারপর পুলিশ ওয়াকিটকির মাধ্যমে ওপরে (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা) জানতে চায় আমরা কি করব। তখন ওপর থেকে নির্দেশ আসে ওনারা এমন করলে তাদের বের করে দিয়ে আপনারা চলে যান। ওয়াকিটকির সেই আওয়াজ সবাই শুনতে পাচ্ছিলেন। এরপর তারা কিছুটা ঠাণ্ডা হন ও পুলিশের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল থেকে সরে যান। এরপর আর কিছু ঘটেনি।
তিনি বলেন, আমরা ওনাদের কাউকে চিনতামও না জানতামও না। পরে আমরা শুনেছি ওনাদের একজনের নাম পরীমণি।
ক্লাব প্রেসিডেন্ট কে এম আলমগীর ইকবাল বলেন, ক্লাব কর্তৃপক্ষ যেই সদস্যের মাধ্যমে এসেছিল তাকে শোকজ করেছে। তার বিরুদ্ধে ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এটা চলমান অবস্থায় আছে।
অবশ্য পরিমণি গণমাধ্যমে তিনি এটিকে “ফালতু অভিযোগ ” বলে মন্তব্য করেছেন।
গেল ৯ জুন মধ্যরাতে পরীমণি ঢাকা বোট ক্লাবে গেলে সেখানে তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় গত সোমবার ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন এই চিত্রনায়িকা। মামলার পরপরই পুলিশ নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। পরীমণির মামলায় নাসির ও অমি ৭ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। অপরদিকে মাদক মামলায় তাদের সঙ্গে থাকা ৩ নারীকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ