ফুটবল
মেসি যে পানীয় পান করে লড়াইয়ে নিজেকে চাঙ্গা রাখছেন
আজ ফুটবল বিশ্বের মর্যাদার লড়াইয়ের সমাপ্তি হতে যাচ্ছে। এক মাস ধরে চলতে থাকা লড়াইয়ে ৩২টি দল থেকে অঅজ শিরোপার লড়াইয়ে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। রাতেই নির্ধারিত হবেল সোনালী কাপ কার হাতে যাচ্ছে। এই জন্য দলীয় অনুশীলনে পাশাপাশি খাবার নিয়েও রয়েছে সচেতনতা। নিজেদের ফিট রাখতে যে খাবার ও পানীয় দরকার তাই নিচ্ছেন তারা।
ম্যাচ চলাকালীন নিজেদের চাঙ্গা রাখতে অনেক কিছুই করে থাকেন ফুটবলাররা। আর্জেন্টিনা স্কোয়াডও বাদ পড়েনি সে তালিকা থেকে।
এবার ফুটবল বিশ্বে আলোচনায় মেসি। তার হাতেই যেনো কাপ যায় এ কামনা ভক্তদের। তারা কি জানানে কোন পানীয় পান করছেন নিজেকে ফিট রাখমে মেসি।?
আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন মেসি। আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা না করলেও এটাই যে তার শেষ বিশ্বকাপ, তা তিনি আগেই জানিয়েছেন। ফাইনালে মেসির মুখোমুখি ফ্রান্স। প্রতিপক্ষ নিঃসন্দেহে শক্তিশালী। ফলে লড়াই হবে জোরদার।
প্রথম দিকে মন্থর গতিতে শুরু করলেও, গোটা দলের চনমনে ভাবটা বজায় ছিল। জেতার খিদে ছাড়াও আর্জেন্টিনা দলের এমন চাঙ্গা থাকার আরও একটি বড় কারণ হল এক ধরনের পানীয়।
দলের অন্যান্য ফুটবলার তো বটেই, মাঝেমাঝে এই জাদু পানীয়ে চুমুক দেন মেসিও। খেলা চলাকলীন নিজেদের আর্দ্র রাখা খুব জরুরি। শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হলে সহজেই হাঁপিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে কারণে কোনও স্বাস্থ্যকর পানীয়ে ভরসা রাখেন ফুটবলাররা। খেলার সময়ে নিজেদের চাঙ্গা রাখতে কী খান মেসি এবং তার সতীর্থরা? তারা খান ক্যাফিন-সমৃদ্ধ এক ধরনের পানীয়। দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন অংশে জনপ্রিয় এটি। ক্যাফিন থাকলেও কফি নয়। স্বাদে খানিকটা মিল থাকলেও থাকতে পারে। ইয়ারবা মেটের শুকনো পাতা দিয়ে তৈরি হয় এই পানীয়। গরম কিংবা ঠান্ডা— দুভাবেই খাওয়া যেতে পারে এটি। ম্যাচের পরে টিম বাসে বসে মেসিসহ দলের প্রায় প্রত্যেকেই এই পানীয়ের স্বাদ নেন।
আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার অ্যালেক্সিস ম্যাকঅ্যালিস্টার আন্তর্জাতিক একটি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘আমরা খেলা শেষের পর সকলে একত্রিত হয়ে এই পানীয়ের স্বাদ নিই।’
২৬ বছর বয়সি আর্জেন্টিনার দলের ফুটবলার সেবাস্তিয়ান ড্রিউসি জানিয়েছেন, এই পানীয় তাঁদের সকলকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। জলের মতো কাজ করে এটি। জল তেষ্টা পেলেই এই পানীয়তেই চুমুক দেন তারা। এমনকি, সকলের লকারেও একটি করে এই স্বাস্থ্যকর পানীয়ের বোতল রাখা থাকে।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন