ফুটবল
মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেদের বাংলাদেশে আনবেন বাফুফে
বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় আসরের পর্দা নেমেছে এখনও ২৪ ঘণ্টা হয়নি। এরই মধ্যে দেশের ফুটবল সমর্থকদের বড়সড় সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন লিওনেল মেসি আবারও বাংলাদেশে আসতে যাচ্ছেন। তার সঙ্গী হবেন গোল্ডেন বুটজয়ী ফরাসি সুপারস্টার কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ব্রাজিলের প্রাণভোমরা নেইমার জুনিয়র।
সদ্য সমাপ্ত কাতার বিশ্বকাপকে ঘিরে বাংলাদেশের সমর্থকদের উম্মাদনা-উদযাপন নজর কেড়েছে গোটা বিশ্বের। সুদূর আর্জেন্টিনা-থেকে ব্রাজিল, বিশ্বকাপে অংশ নেয়া প্রায় সব দেশেই পৌঁছে গেছে বাংলাদেশি সমর্থকদের বিশ্বকাপ উম্মাদনার সংবাদ। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফাও চমকেছে লাল-সবুজের ফুটবল প্রীতি দেখে।
বাংলাদেশের সমর্থকদের উম্মাদনার মাত্রা আরেকটু বাড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক।
গেলো রোববার (১৮ ডিসেম্বর) দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই তথ্য জানিয়েছেন । আজ সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) এক অনলাইনকেও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
আতাউর রহমান মানিক সেই অনলাইনকে বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ফুটবলের প্রতি প্রেম গোটা বিশ্ব দেখেছে। আমরা চাইছি সমর্থকদের জন্য বাড়তি কিছু করার। তাই আমরা চেষ্টা করছি প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) ও লিভারপুলকে বাংলাদেশে এনে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলানোর।
দেশের মাটিতে কবে নাগাত হতে পারে এমন মহা-আয়োজন? মানিক বলেন, এই মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের কাজ চলছে। শেষ হতে হতে আগামী বছরের জুন-জুলাই হবে। এছাড়া তারা মাত্র বিশ্বকাপ শেষ করলো। এখন তাদের ক্লাব ফুটবল শুরু হবে। আমরা তাই চেষ্টা করছি জুন-জুলাইয়ে লিগ এবং স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হলে তারপরই তাদের নিয়ে আসতে।
মেসি-নেইমার ও এমবাপ্পে ফরাসি লিগ ওয়ানের জায়ান্ট পিএসজিতে খেলেন। আর ইংলিশ জায়ান্ট লিভারপুলে খেলছেন মোহাম্মদ সালাহ-ভার্জিল ফন ডাইক-বেকারের মতো তারকারা। ২০২৩ সালের জুনের শুরুতেই শেষ হবে লিগ ওয়ানের ২০২২-২৩ মৌসুম আর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুম শেষ হবে আগামী বছরের মে’র শেষ দিকে।
ক্লাবগুলোর মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা চেষ্টা চলছে বলে জানান বাফুফের সহ-সভাপতি। জুন থেকে জুলাই মাসে লিগগুলোর চাপ না থাকায় সে সময়টাকে কাজে লাগাতে চায় বাফুফে। মানিকের আশা ততদিনে প্রস্তুত হয়ে যাবে স্টেডিয়ামও।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন