ফুটবল
কোপা আমেরিকা: পেরুর জালে ব্রাজিলের গোল উৎসব
গোলশূন্য ড্র হয়েছে কলম্বিয়া- ভেনেজুয়েলা ম্যাচ। কিন্তু ঠিকই উড়ন্ত বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। পেরুর জালে গোলউৎসব করেছে ব্রাজিল। দ্বিতীয় জয় ছাপিয়ে গেছে প্রথমটাকে। ৪-০ গোল বিধ্বস্ত করেছে পেরুকে। সাথে টেবিলের শীর্ষে স্থান অক্ষুন রেখেছে চ্যাম্পিয়নরা। কোপায় টানা আট জয় তিতের ব্রাজিলের।
ব্রাজিলের ম্যাচ আর নেইমার আলোচনায় থাকবেন না? তা কি করে হয়? নিল্টন সান্তোসেও যথারীতি আলোচনায় ব্রাজিলিয়ান পোষ্টার বয়। গোল করে, সবচেয়ে বেশি ফাউলের শিকার হয়ে।
ম্যাচের বয়স ৬০ মিনিট। ১ গোলে এগিয়ে উড়ন্ত ব্রাজিল। নেইমার আদায় করে নেন পেনাল্টি। রাফারী বাঁশিও বাজিয়েছলেন। কিন্তু তা বাতিল হয় ভিএআরে সেই সিদ্ধান্ত নিতেও কম বেগ পেতে হয়নি রেফারিকে।
সেরাদের তালিকায় যে তিনি, তা প্রমাণ করতে অবশ্য খুব একট সময় নেননি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। আট মিনিট পরেই দুরপাল্লার শটে এগিয়ে দেন সেলেসাওদের। প্রথমার্ধটাও নয়বারের কোপা আমেরিকা জয়ীদের, মাষ্টার ট্যাকটিশিয়ানের জাদুর ছড়িতে। ১২ মিনিটে পেরু কিছু বুঝে ওঠার আগেই লিড নেয় ব্রাজিল। গেব্রিয়েল জেসুসের ক্রসে স্কোরশিটে নাম তোলেন অ্যাালেক্স সানদ্রো।
প্রথমার্ধের শেষ ভাগে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা পেরুর। তবে ব্রাজিলের রক্ষণ দুর্গ তা হতে দেয়নি। গোলরক্ষক এদারসনকে বোকা বানাতে পারলেও ক্রিস্টিয়ান কুয়েভ পারেননি দানিলোকে ফাকি দিতে। পেরুর সেরা মুহুর্ত এসেছিল ম্যাচ শেষের ১২ মিনিট আগে। বক্সে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি অ্যালেক্স ভালেরা।
ম্যাচের শেষ ভাগে আবারও নেইমার শো। গোল করে নয়, পেরু রক্ষণের পরীক্ষা নিয়ে। ব্রাজিলের তৃতীয় গোলের ভিতটাও তার গড়া, ম্যাচ শেষের একমিনিট আগে ব্যবধানটা ৩-০ করেন বদলি ফরোয়ার্ড এভার্টন রিবেরিও।
পেরুর আরও একটি অসহায় আত্নসমর্পন। যেন ২০১৯ ফাইনালের পুনরাবৃত্তি। যোগ করা সময়ের ৬ মিনিট যেন পুরো ম্যাচ। ব্রাজিলের গোল উৎসবে যোগ দেন বদলি ফুটবলাররা। গোলের হালি পূর্ন করেন রিচার্লিসন। আসরে টানা আট জয়ে এবারের শিরোপা যোগ্য দাবিদার ব্রাজিল।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//