ফুটবল
বাড়ি ফিরলেন মাঠে জ্ঞান হারানো এরিকসেন
ইউরো কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে খেলতেই মাঠে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন ডেনমার্কের ফুটবলার ক্রিস্টিয়ান এরকিসেন। তারপর হাসপাতালে ঠাই হয়েছিল এই ডেনিশ মিডফিল্ডারের। সেখানে সফল অস্ত্রোপচার শেষে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ডেনমার্ক ফুটবল ফেডারেশন।
গত শনিবার (১২ জুন) কোপেনহেগেনের পারকেন স্টেডিয়ামে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের ৪৩ মিনিটে ইউরোপিয়ান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচ চলাকালে হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এরিকসেন। কিছুতেই জ্ঞান ফিরছিল না তার। মাঠেই সিপিআর ও ডিফাইব্রিলেটরের মাধ্যমে এই ফুটবলারের শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক করা হয়। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে পরীক্ষায় হৃদরোগ ধরা পড়লে এরিকসেনের হার্টে অস্ত্রোপচার করা হয়। ছয় দিনের চিকিৎসা শেষে শুক্রবার বাড়ি ফিরেছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক বিবৃতিতে ডেনমার্ক ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে ‘একটি সফল অপারেশনের পর শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। তিনি হেলসিনরে জাতীয় দলের সঙ্গেও দেখা করেছে। সেখান থেকে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে বাড়ি চলে গেছেন তিনি।’
হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে এক বার্তায় এরিকসেন বলেছেন, ‘অতুলনীয় সমর্থন ও সাহস যোগানোর জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। এগুলো আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া ছিল। অপারেশন ভালোভাবে হয়েছে এবং আমিও এখন বেশ ভালো আছি।’
এদিকে মানুষের ভালোবাসায় আপ্লুত এরিকসেন ধন্যবাদ জানিয়েছেন সবাইকে। তিনি বলেছেন, ‘অনেক অনেক শুভেচ্ছা বার্তার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। অস্ত্রোপচার ভালোভাবে হয়েছে এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি ভালো আছি। সতীর্থদের সঙ্গে আবারও দেখা হওয়াটা দারুণ। গত রাতে তারা দুর্দান্ত একটি ম্যাচ খেলেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, সোমবার রাশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও আমি তাদের উৎসাহ দেব।’
এখনো পর্যন্ত খেলা দুই ম্যাচেই হেরে গেছে ডেনমার্ক। রাশিয়াকে হারাতে পারলে টিকে থাকবে শেষ ষোলোতে খেলার সম্ভাবনা।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//