চট্টগ্রাম
জামায়াতে টানা ৪০ দিন নামাজ পড়ে পুরস্কার পেল ১৬০ শিশু
কুমিল্লায় টানা ৪০ দিন মসজিদে গিয়ে জামায়াতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে পুরস্কার পেয়েছে ১৬০ শিশু।
‘চলো মসজিদে যাই, জামায়াতে শরিক হই’ কার্যক্রমটি সফল করতে ২৮০ জন শিশু অংশগ্রহণ করলেও শেষ পর্যন্ত ১৬০ শিশু টানা ৪০ দিন জামায়াতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পেরেছে।
‘পরিবর্তন’ সমাজসেবা ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে উপজেলার দারোরা, হোসেনপুর, সাকুচ এবং কেগলা গ্রামের ১৬০ শিশু-কিশোরকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) তাদের উৎসাহিত করতে অনাড়ম্বর পরিবেশে পূর্বঘোষিত পুরস্কার তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়। এর মধ্যে ২২ জনকে বাইসাইকেল, একজনকে সেলাই মেশিন, ৫ জনকে শিক্ষা বৃত্তি, ৯২ জনকে বুক সেলফ ও ৪০ জনকে বই বিতরণ করা হয়।
ওই দিন সকালে দারোরা জামেয়া আলতাফিয়া মাদরাসা মাঠে সংগঠনের উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা আহমদ উল্লাহর সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গল্লাই ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল করিম, দোল্লাই নোয়াবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া, মাইজখার ইউপি চেয়ারম্যান শাহ সেলিম প্রধান, কেরনখাল ইউপি চেয়ারম্যান সুমন ভূঁইয়া, এতবারপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইউসুফ, উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি মনির খন্দকার, কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুবেল, পরিবর্তন সংগঠনের কার্যনির্বাহী পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম, হাফেজ ওমর ফারুক মজুমদার, জে এইচ সুমন, ইঞ্জিনিয়ার্স তাফাজ্জল হোসেন, হাবিবুর রহমান, কেফায়াত উল্লাহ, সোহেল রানা, আজহারুল ইসলাম, মাওলানা মাহদি হাসান, আহসান উল্লাহ।
পরিবর্তন সমাজসেবা ফাউন্ডেশন দুস্থ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, রক্ত সংগ্রহ, রমজানে ইফতার বিতরণ, সমাজের উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন কুইজ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিজয়ীদের পুরস্কার দিয়ে থাকে। দারোরা গ্রামের এক ঝাঁক শিশু-কিশোর এমন ভালো কাজ করায় প্রশংসিত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন