ফুটবল
প্যারাগুয়েকে হারিয়ে কোপার শেষ আটে আর্জেন্টিনা
কোপা আমেরিকায় টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। উরুগুয়েকে হারানোর পর এবার একই ব্যবধানে প্যারাগুয়েকেও পরাজিত করেছে আলবেসিলেস্তেরা। এই জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে লিওনেল স্কালোনির দল।
ব্রাসিলিয়ার মানো গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে ১৪ বারের কোপা আমেরিকার শিরোপাজয়ীরা।
উরুগুয়েকে ১-০ গোলে হারানো দলে ছয় পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। অষ্টম মিনিটে পেয়ে যায় দারুন এক সুযোগও। হেড করতে গিয়ে পরস্পরের সঙ্গে ধাক্কা খান প্যারগুয়ের রবের্ত পিরিস ও গুস্তাভো গোমেস। পেনাল্টি স্পটের কাছে আলগা বল পেয়ে যান সার্জিও আগুয়েরো। তবে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি এক বছরের বেশি সময় পর শুরুর একাদশে ফেরা এই তারকা।
গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি আক্রমণাত্মক শুরু করা আর্জেন্টিনার। নবম মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। লিওনেল মেসির কাছ থেকে বল পেয়ে আনহেল দি মারিয়া খুঁজে নেন গোমেসকে। বাকিটা অনায়াসে সারেন সেভিয়ার এই ফরোয়ার্ড।
অষ্টাদশ মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন মেসি। বার্সেলোনা তারকার ফ্রি কিক একটুর জন্য থাকেনি লক্ষ্যে।
ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে পাল্টা আক্রমণে আর্জেন্টিনাকে চেপে ধরে প্যারাগুয়ে। তবে প্রথমার্ধে সেভাবে গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেসের পরীক্ষা নিতে পারেনি তারা।
৪২তম মিনিটে মেসির ফ্রি কিকে বল পান ডি মারিয়া। তার ক্রসে হেরমান পেস্সেইয়ার হেড লক্ষ্যেই ছিল কিন্তু ছিল না জোর। সহজেই নিয়ন্ত্রণে নেন প্যরাগুয়ে গোলরক্ষক।
যোগ করা সময়ে ডি মারিয়ার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান তিনি। কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি। গোমেসের ক্রস ঠেকাতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে পাঠিয়ে দেন জুনিয়র আলনসো। কিন্তু অফসাইডের জন্য গোল পায়নি আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রক্ষণে নিজেদের কিছুটা গুটিয়ে নেয় তারা। প্রচুর জায়গা পাওয়া প্যারাগুয়ে বল দখলে চেপে ধরে তাদের।
এক পর্যায়ে টানা চারটি কর্নার পায় প্যারাগুয়ে। কিন্তু একবারও মার্তিনেসের পরীক্ষা নিতে পারেনি তারা। ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় আর্জেন্টিনার রক্ষণে গিয়ে খেই হারায় তাদের প্রায় সব আক্রমণ।
প্রতি আক্রমণে ভীতি ছড়াতে পারেনি আর্জেন্টিনা। জাল অক্ষত রেখে কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত করার দিকেই ছিল তাদের সব মনোযোগ।
দেশের হয়ে হাভিয়ের মাসচেরানোর সর্বোচ্চ ১৪৭ ম্যাচ খেলার রেকর্ড স্পর্শ করার দিনে শেষ দিকে গোলের একটি সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। তবে তার ফ্রি কিক ফিরিয়ে দেন প্যারাগুয়ের গোলরক্ষক।
‘এ’-গ্ৰুপেরই অন্য ম্যাচে উরুগুয়ের সাথে ১-১ গোলে ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে চিলি।
এই জয়ে ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করেছে আর্জেন্টিনা। সেই সাথে নিশ্চিত করেছে কোয়ার্টার ফাইনালও। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে চিলি। ২ ম্যাচ শেষে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়স্থানে আছে প্যারাগুয়ে।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//