লাইফস্টাইল
পায়ের জন্যও কিছু করুন…
এই শীতে প্রতিদিন রাতে ফুটবাথ নিয়ে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাচ্ছেন। ভাবছেন কিছু না করার চেয়ে এটুকু করা নিঃসন্দেহে ভালো। এতেই ভালো থাকবে আপনার পায়ের ত্বক। এমনটা ভেবে থাকলে কিন্তু ভুল ভাবছেন।
যদি সত্যিই ঝকঝকে সুন্দর পায়ের মালিক হতে চান, তা হলে নিয়মিত ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চরাইজিংয়ের রুটিন মেনে চলতে হবে। সেই সঙ্গে মাঝে-মধ্যে মুখের জন্য তৈরি করা প্যাকের একটি পরত পায়ের পাতায় লাগিয়ে রাখুন, এরপর নিজেই নিজের পায়ের রূপ দেখে তাক লেগে যাবে!
পা শুকনো রাখুন সব সময়
চলছে শীতকাল তাই রোজকার সাজপোশাকে মোজা হয়ে উঠেছে নিত্য সঙ্গী। সঙ্গে কেডস কিংবা পা ঢাকা জুতো। এর ফলে আপনার পা যেমন পরিষ্কার থাকবে, তেমনি ঘামবেও। যেদিন স্যাঁতসেঁতে ঠান্ডা, সেদিন ভেজাভাব আঁকড়ে ধরবে জুতোর ভিতরেরর দিকটাও। তাই প্রতিদিন এক জুতো পরবেন না এবং তা নিয়মিত শুকনো রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। সব জুতো কিন্তু রোদে দেয়া যায় না, দরকারে ড্রায়ার ব্যবহার করুন। জুতোর ভিতরে খবরের কাগজ বা টিস্যু পেপার মুড়ে রেখে দিলেও আর্দ্রতা শুষে নেবে তা। পায়ে পানি দেয়ার পরেই তা ভালো করে মুছে নিতে হবে। তারপর ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলির পরত লাগান। ভেজা পা নানা ধরনের অ্যালার্জি বা ফাঙ্গাল ইনফেকশনের কারণও হতে পারে।
সুতির মোজা পরুন
পায়ে মোজা ব্যবহারের ক্ষেত্রে এমন ফ্যাব্রিক বাছাই করতে হবে যেটা আপনার ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে। সুতির মোজার উপর নিশ্চিন্তে ভরসা রাখতে পারেন। তবে দিনে সাত-আট ঘণ্টা পরার পর আর সেই মোজাই পরতে যাবেন না। মোজা পরার আগে পা একেবারে শুকনো করে নেয়াটাও বাধ্যতামূলক।
জুতোর ফিটিং ঠিক কিনা দেখে নিন
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি টাইট বা আলগা জুতো শখ করে কে-ই বা পরতে চাইবেন? কিন্তু এমন এক-আধটা জোড়া কমবেশি সকলের সংগ্রহেই থাকে যা পরলেই পায়ে ফোসকা পড়ে, বা কড়া পড়ে যায়-তাই না? শীতের দিনে অন্তত এই সব জুতো থেকে শত হাতে দূরে থাকুন। এই জুতোর কারণেই বাধাপ্রাপ্ত হবে পায়ের রক্ত চলাচল। জুতো পায়ের চেয়ে বড়ো হলেও বাড়তি ঘর্ষণের কারণে অসুবিধে হতে পারে।
কম্বলের নীচে নয় হটব্যাগ বা গরম পানির বোতল
অনেকেরই পা খুব ঠান্ডা হয়ে যায় এবং শীতের রাতে অত ঠান্ডা পা নিয়ে ঘুমোনো কঠিন। তাই তারা হটব্যাগের সাহায্য নেন। তবে গরম পানির বোতল বা হট ব্যাগ নিশ্চয়ই কম্বল বা লেপের নিচেই থাকবে? তাতে কিন্তু শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়ে যায়। তার চেয়ে মোজা পরে শুতে পারেন।
ব্যবহার করুন সঠিক ময়েশ্চরাইজার
নারকেল বা অলিভ তেল, পেট্রোলিয়াম জেলি বা ঘন কোনও ফুট ক্রিম পায়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে। তবে ময়েশ্চরাইজার লাগানোর আগে অবশ্যই পা গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখুন এবং খানিক পরে তুলে পামিস স্টোন দিয়ে ভালো করে ঘষে তুলে ফেলুন যাবতীয় মৃত ত্বকের পরত। তার পর ময়েশ্চরাইজার লাগিয়ে মোজা পরে নিন। ভুলবেন না নখের যত্ন নিতেও। নখ ঠিকভাবে কাটুন, পরিষ্কার করুন। তা না হলে কিন্তু নখেও ইনফেকশন হতে পারে।
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন