রংপুর
গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন চলছে
গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের বাতিল হওয়া উপনির্বাচন পুনরায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর থেকে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে কেন্দ্রগুলোতে ইভিএমসহ নির্বাচনি সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়। এর আগে সকালে ফুলছড়ি উপজেলার নাপিতেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচনের দায়িত্ব বিষয়ে ব্রিফিং করেন গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম একটি সংসদীয় আসনের সবগুলো কেন্দ্রে সিসি ফুটেজ দেখে ভোটগ্রহণ বন্ধ হওয়া উপনির্বাচনের পুনরায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে। সারাদেশে আলোচিত এ নির্বাচনে অনিয়ম ঠেকাতে এবারও ১৭টি ইউনিয়নের ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রের সবগুলোতেই থাকছে সিসি ক্যামেরা। নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। এ ছাড়া নির্বাচনি মাঠে থাকছে, র্যাবের ৮টি টিম, র্যাবের একটি বোম ডিসপোজাল ইউনিট, ৫ প্লাটুন বিজিবি, ৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, ১৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, দুজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে ৬টি মোবাইল টিম।
দুই উপজেলার কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নতুন নিয়োগ পাওয়া ১৪৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৯৫২ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ১ হাজার ৯০৪ জন পোলিং অফিসার। এই আসনের সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রের ৯৫২টি বুথে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮৬২ জন ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ১৪২ জন। দুই উপজেলায় সমতলে ১১৩টি ও চরাঞ্চলে ৩২টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।
ভোটে ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া ফুলছড়ি উপজেলায় সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব ও সাঘাটা উপজেলায় নওগাঁ জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম।
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন নৌকা প্রতীক, জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু লাঙল প্রতীক, বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম কুলা প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মো. মাহবুবুর রহমান ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে আপেল প্রতীকের অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
গেলো বছরের ২৩ জুলাই জাতীয় সংসদের প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। গত ১২ই অক্টোবর বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। দুই দফা তদন্ত শেষে আজ বুধবার পুনরায় এই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জাতীয়
রংপুরে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে কাউন্সিলরসহ নিহত ৫
রংপুরে অসহযোগ আন্দোলনে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। সাংবাদিকসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে কয়েকজন গুরুতর অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে রংপুর নগরীতে সংঘর্ষ চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত হারাধন রায় হারা রংপুর সিটি করপোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি। নিহতের বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন রসিক কাউন্সিলর শাহাজাদা আরমান শাহাজাদা।
নিহত অন্য চারজন হলেন নগরীর গুড়াতিপাড়ার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা খরশু মিয়া, যুবলীগ নেতা মাসুম, হারাধন রায়ের ভাগ্নে এবং অপরজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানা যায়, সকাল থেকেই লাঠিসোটা নিয়ে রংপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ঘিরে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ অবস্থান নেন নগরীর টাউনহল চত্বরে। এতে মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে কয়েকজন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পরে জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে পায়রা চত্বরে পুনরায় অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করতে গিয়ে আটকে পড়েন পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা। পরে পায়রা চত্বর থেকে পালিয়ে কালিবাড়ি মন্দিরে প্রবেশ করার সময় আন্দোলনকারীদের হাতে ধরা পড়েন হারাধন রায় হারা। সেখানেই এলোপাতাড়ি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত হলেও পুনরায় এলোপাতাড়ি আঘাত করেন তারা। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনা জানার পর হারাধনের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
এদিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের সামনে অবস্থান করা এনটিভির ক্যামেরাপারসন আরমান, চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের রিপোর্টার ফখরুল শাহীন, নিউজ টোয়েন্টিফোরের রিপোর্টার রেজাউল ইসলাম মানিক, একুশে টিভির ক্যামেরাম্যান আলী হায়দার রনি, ইত্তেফাকের ফটো সাংবাদিক রাশেদ রাব্বি, অনলাইনের মিজানসহ ১০ জন গণমাধ্যম কর্মীকে মারধর করেছেন আন্দোলনকারীরা।
উল্লেখ্য, রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রংপুর-২ (বদরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের এমপি ডিউক চৌধুরীর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ও পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন, গংগাচড়া আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও আগুন, মিঠাপুকুর উপজেলার পরিষদ চত্বরে ইউএনও অফিস, বেগম রোকেয়া অডিটোরিয়াম, আনসার ভিডিপিসহ বিভিন্ন দফতরে ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমানের বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
এএম/
দেশজুড়ে
রংপুরে আ.লীগের এমপির বাসায় আগুন, লুটপাট
রংপুরের বদরগঞ্জে আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী (ডিউক) ও পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক চৌধুরীর (টুটুল) বাসায় আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। আগুন দেওয়ার পর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
প্রথমে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা ও ধাওয়া দিয়েছেন। পরে বিক্ষোভকারীরা একত্রিত হয়ে স্থানীয় দুপুর ১২টার দিকে আগুন দেয়। বিক্ষোভকারীরা লাঠি হাতে ওই দুই বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে।
অন্যদিকে রংপুর শহরের সুপার মার্কেটের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। রোববার (৪ আগস্ট) সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (রমেক) উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সকালে আন্দোলনকারীরা শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হন। এ সময় আকস্মিকভাবে আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেন। আন্দোলনকারীরাও তাদের পাল্টা ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে উভয়পক্ষের ৩২ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
এনএস/
দেশজুড়ে
সংঘর্ষে রণক্ষেত্র রংপুর, নিহত ২
রংপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
রোববার (৪ আগস্ট) সকালে শহরের সুপার মার্কেটের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত ও নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায় নি।
রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (রমেক) উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সকালে আন্দোলনকারীরা শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হন। এ সময় আকস্মিকভাবে আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেন। আন্দোলনকারীরাও তাদের পাল্টা ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে উভয়পক্ষের ৩২ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
এনএস/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন