অপরাধ
ট্রাকে উঠিয়ে প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ করলো চালক
চলন্ত ট্রাকে ধর্ষণের অভিযোগে সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় থেকে ট্রাক সহ এক চালককে আটক করা হয়েছে। এ সময় ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে বঙ্গবন্ধু থানা পুলিশ।
গত রবিবার সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানার চান্দাইকোনার শিমলা গ্রামের মানসিক প্রতিবন্ধী এক তরুণী দিবাগত রাতে বাড়ি থেকে কাউকে না জানিয়ে বের হয়ে যায়। পরে গতকাল মঙ্গলবার গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন তাকে পেয়ে একটি পণ্য বোঝাই ট্রাকে আরও দুজন যাত্রীসহ তাকে তুলে দেয় এবং চান্দাইকোনা নামিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানায়।
পরবর্তীতে গাড়িটি টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা এলাকা পার হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক এলাকায় আসলে গাড়ীচালক পুরুষ দুই যাত্রীকে নামিয়ে দেয় এবং গাড়ীর যান্ত্রিক ত্রুটির কথা বলে চা পানি খেয়ে আসতে বলে। সে সময় সহযাত্রী সুমনের সন্দেহ হলে সে গাড়ীর ক্যাবিনের দিকে এগিয়ে গেলে ধর্ষণের দৃশ্য দেখতে পায়।
পরে গাড়ীচালক বুঝতে পেরে বাকি দুই যাত্রীকে রেখেই ট্রাক নিয়ে ভিকটিমকে নিয়ে পালায়।
পরবর্তীতে সহযাত্রী সুমন ৯৯৯ এ ফোন করে গাড়ীর নাম্বার সহ লোকেশন জানালে বঙ্গবন্ধু থানা পুলিশ সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় এলাকা থেকে গাড়ীচালক সহ ভিকটিম উদ্ধার করে এসময় হেলপার পালিয়ে গেলেও পরে বঙ্গবন্ধু থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে হেলপারকে আটক করে।
আটককৃত আসামীরা হলেন বগুড়া সদর থানার আসকোনা গ্রামের গাড়ীচালক সোহেল রানা (৩০) এবং একই জেলার শিবগঞ্জ থানার সোবহানপুর গ্রামের হেলপার মোঃ আব্দুল ওয়াহাব সেখ। এ সময় ট্রাকটি জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন জানান, ৯৯৯ কলে আমরা জানতে পেরে সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ট্রাকচালক ও ট্রাকটি আটক করি এবং ভিকটিম উদ্ধার করা হয়। এ সময় হেলপার পালিয়ে গেলেও পরে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ