শিক্ষা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সনদ উত্তোলনের জন্য আবেদন করার নিয়ম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধিভুক্ত কলেজ থেকে উত্তীর্ণ সব শিক্ষার্থীর মূল সনদ উত্তোলনের আবেদন শুরু হয়েছে৷ শিক্ষার্থীরা অনলাইনে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে এ সনদ প্রাপ্তির আবেদন করতে পারবেন৷
সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামানের সই করা এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়৷
এতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধিভুক্ত কলেজ থেকে উত্তীর্ণ সব শিক্ষার্থীদের মূল সনদ উত্তোলনের আবেদন অন-লাইনে 103.113.200.36/PAMS/ServiceLogin.aspx গ্রহণ করা হচ্ছে। অন-লাইনে আবেদনের জন্য নিম্নোক্ত নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
নির্দেশনাসমূহ:
১. মূল সনদ প্রাপ্তির জন্য যথাযথভাবে আবেদন ফরমটি পূরণ করুন। আবেদন ফরম বিশ্বিবিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
২. ২০০১ সালের পূর্বে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের রেজিঃ কার্ড, প্রবেশপত্র ও সাময়িক সনদের স্ক্যানকরা ফাইল (পিডিএফ) আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। তবে ২০০১ সাল বা এর পরে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের শুধু সাময়িক সনদের স্ক্যানকৃত ফাইল (পিডিএফ) সংযুক্ত করলেই চলবে। আবেদনকারীকে তার ছবি স্ক্যান করে সংযুক্ত করতে হবে।
৩. আবেদনকারীর নিজস্ব মোবাইলনম্বর ও ই-মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করতে হবে।
প্রত্যেকটি মূল সনদের জন্য পৃথক পৃথক আবেদন করতে হবে (যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়ের অধিনে একাধিক ডিগ্রি সম্পন্ন করে থাকেন)।
৪. আবেদনের ফি এর পে-স্লিপ ডাউনলোড করে নিকটস্থ সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় ফি এর টাকা জমা দেওয়া যাবে। এছাড়া সোনালী ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং অথবা সোনালী ব্যাংকের অনলাইন পেমেন্ট অপশন ব্যবহার করে ফি জমা দেওয়া যাবে। তবে যেভাবেই পেমেন্ট করুন না কেন আবেদনের সময় সফটওয়্যারে উল্লিখিত ট্রানজেকশন আইডি সংরক্ষণ করুন কারণ মূল সনদ সংগ্রহের সময় এ ট্রানজেকশন আইডি প্রদর্শন করতে হবে।
৫. আবেদন করার ১৫ দিনের মধ্যে ফি জমা দিতে হবে অন্যথায় আবেদনটি বাতিল হয়ে যাবে।
ফি জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবেদনটি সক্রিয় হয়ে যাবে। মূল সনদ প্রস্তুত হওয়ার পর এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে। আবেদনকারী চাইলে সফটওয়্যার এ লগইন করেও আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন। আবেদনের হার্ডকপি জমা দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কোনো প্রয়োজন নেই।
৬. মূল সনদ সংগ্রহের সময় সাময়িক সনদের মূল কপি ও ফি জমা দেওয়ার রশিদ অবশ্যই জমা দিতে হবে। সাময়িক সনদের মূল কপি ফেরত না দিলে মূল সনদ দেওয়া হবে না।
৭. মূল সনদ সংগ্রহের স্থান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার। নিজের মূল সনদ নিজে সংগ্রহ করুন। একান্ত অপারগ হলে সম্মতিপত্রসহ (অথোরাইজেশন লেটার) প্রতিনিধির মাধ্যমেও সংগ্রহ করা যাবে।
৮. বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে সরাসরি কোনো আবেদন করা যাবে না। আবেদন করার জন্য বা আবেদনের হার্ডকপি জমা দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কোনো প্রয়োজন নেই।
শিক্ষা
চুয়েটে নিষিদ্ধ হলো ছাত্ররাজনীতি
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) নিষিদ্ধ করা হয়েছে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি।
বুধবার (০৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়টির ১৩৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ১৩৬/১(ঘ) অনুযায়ী অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সকল ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ করা হলো। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় বিধান অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সে দাবি আরও জোরালো হয়। এমন প্রেক্ষাপটে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চুয়েট।
এসি//
শিক্ষা
আজ থেকে শুরু একাদশ শ্রেণির ক্লাস
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) হওয়ার কথা ছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিস্থিতিতে পিছিয়ে তা শুরু হচ্ছে আজ।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি বিভিন্ন কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোকে বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) থেকে একাদশের ক্লাস শুরু করতে বলেছে। এরইমধ্যে অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকদের এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষককে পাঠানো চিঠিতে কমিটি বলছে, বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) থেকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে।
এদিকে প্রথম থেকে তৃতীয় ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় বুধবার (০৭ আগস্ট) শেষ হয়েছে। তবে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির চতুর্থ ধাপের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের। তিন ধাপে আবেদন গ্রহণ ও শিক্ষার্থী নির্বাচনের পরও কিছু কলেজ মাদ্রাসায় সিট খালি থাকায় ও কিছু শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হতে না পারায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, যেসব শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তির আবেদন করেননি বা আবেদন করে কলেজ সিলেকশন পাননি তারা এবং যেসব শিক্ষার্থী চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েও কলেজে ভর্তি হতে পারেননি বা নিশ্চায়ন করতে পারেননি তারা চতুর্থ ধাপে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন।
অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (https://www.xiclassadmission.gov.bd) প্রবেশ করে নির্দেশিকা অনুসারে শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কলেজের আসন সংখ্যা দেখে ৫টি থেকে ১০টি কলেজে আবেদনের চয়েজ দিতে পারবেন। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা। ব্যাংক কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এ ফি পরিশোধ করতে হবে।
জানা গেছে, ১১ থেকে ১৪ আগস্ট (বুধবার) রাত ১০টা পর্যন্ত চতুর্থ বা সর্বশেষ ধাপের আবেদন গ্রহণ করা হবে। ১৭ আগস্ট (শনিবার) রাত ৮টায় চতুর্থ ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। ১৮ আগস্ট থেকে ১৯ আগস্ট (সোমবার) রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চায়ন করতে হবে। চতুর্থ ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ২০ আগস্ট (মঙ্গলবার) কলেজে ভর্তি হতে পারবেন।
এসি//
শিক্ষা
অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা
অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষাগুলো। বুধবার (৭ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে সই করেছেন সরকারি মাধ্যমিক শাখা-২ এর উপসচিব সাইয়েদ এ. জেড মোরশেদ আলী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১১ আগস্ট ২০২৪ তারিখ থেকে অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৪-এর পরীক্ষাসমূহ অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করে পরীক্ষা গ্রহণের বিস্তারিত সময়সূচি পরবর্তীতে জানানো হবে মর্মে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দফায় দফায় চলমান এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তিন দফায় আট দিনের পরীক্ষা স্থগিত করেছে বোর্ডগুলো। পরে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেয়ার কথা জানানো হয়।
চলমান পরিস্থিতিতে প্রথমে গেলো ১৮ জুলাইয়ের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তৃতীয় দফায় ২৮ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সূচি অনুযায়ী যত পরীক্ষা ছিল, তা সব স্থগিত করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
গেলো ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।
এসি//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন