Connect with us

আমদানি-রপ্তানি

চালের বাজার ব্যবসায়ীদের হাতে

Avatar of author

Published

on

কয়েক দফায় সময় বাড়িয়েও বেসরকারিভাবে চাল আমদানির পরিমাণ বাড়ানো যায়নি। বলা হচ্ছে, ডলার সংকটের কারণে প্রয়োজনমাফিক এলসি (ঋণপত্র) খুলতে পারছে না আমদানিকারকরা।

এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানির উৎস দেশেও সীমিত হয়ে গেছে। অনেক দেশ এখন চাল রফতানিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। যার প্রভাব পড়েছে দেশের আমদানিতে। এর ফলে চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রার বেশিরভাগ কোটা বেসরকারি ব্যবসায়ীদের হাতে। এ কারণে দীর্ঘদিন থেকে আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে আমদানির লাগাম টেনে ধরে বাজার থেকে অতিরিক্ত মুনাফা লুফে নেয়। প্রভাবশালী এই চাল সিন্ডিকেটের কারণে কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য না পেলেও ভরা মৌসুমে ঠিকই চালের বাজার চড়া থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে এমন নজির দেখা গেছে।

সূত্র জানায়, বেসরকারি আমদানিকারকদের প্রায় তিন মাস আগে ১৪ লাখ ৯০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু দেশে এসেছে মাত্র ৪ লাখ ১০ হাজার টন। বাকি ১০ লাখ ৮০ হাজার টন চাল এখনো এসে পৌঁছায়নি। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে এই চাল দেশে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তবে নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সূত্র জানায়, বাস্তবে এই চাল যথাসময়ে আসবে না। চাল নিয়ে চালাকি করে অতিরিক্ত মুনাফা আদায়ের ফাঁদ পাতা হবে। যেভাবে প্রতিবছর চাল সিন্ডিকেট কারসাজি করে, এবারও তার ব্যত্যয় হবে না।

খাদ্য মজুত পরিস্থিতি জানতে চাইলে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, বর্তমানে সরকারি গুদামে প্রায় ১৮ লাখ ১৯ হাজার ২৭ টন চাল ও গম মজুত রয়েছে।

Advertisement

এত বেশি মজুদের পরও কেন আমদানি করতে হচ্ছে জানতে চাইলে খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, সরকার কাউকে লাভবান কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য চাল আমদানি করছে না। আমদানির উদ্দেশ্য হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। চলতি বছর বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটের খবর ইতোমধ্যে সবাই জেনেছেন। ফলে আগামী দিনে যাতে কোনো ধরনের সংকটে পড়তে না হয়, সে জন্য আমরা খাদ্য নিরাপত্তা সুদৃঢ় করার কাজে হাত দিয়েছি। স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ মজুত করার পরিকল্পনা করেছি।

খাদ্য বিভাগের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, খাদ্য সংকটের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সরকার ৩০ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত করতে চায়। সরকারি খাদ্য নিরাপত্তা দেশের সব মানুষের জন্য না। সব মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা বিধান করা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাজও না। মন্ত্রণালয় নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষের খাদ্য নিরাপত্তায় কাজ করে। বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষ, বস্তিবাসী, জেলে পরিবার, খোলাবাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস), ন্যায্যমূল্যে খাদ্যশস্য বিতরণ, ভিজিডি ও ভিজিএফ কর্মসূচিতে খাদ্যশস্য সরবরাহ করে। এছাড়া সরকার বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের মাসিক রেশন দিয়ে থাকে। তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সংকট হচ্ছে জ্বালানি তেল ও পরিবহণ ভাড়া। হঠাৎ করে পরিবহণ ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ফলে ব্যবসায়ীরা খাদ্যশস্য আমদানি করতে চাচ্ছে না। অথচ বাজারে খবর ছড়িয়ে পড়ছে ডলার সংকটের কারণে চাল গম আমদানি হচ্ছে না। ডলার সংকট থাকতেই পারে। তবে একমাত্র ডলার সংকটেই আমদানি কমেছে এ ধরনের প্রচার-প্রচারণা একেবারেই ভিত্তিহীন। ডলার সংকট অনেকগুলো কারণের একটি হতে পারে।

তারা মনে করেন, গেলো বছর বিশ্বজুড়ে খাদ্য উৎপাদন কমেছে। কেন কমেছে তাও সবার জানা। ফলে খাদ্যশস্য পাওয়ার উৎস কমে গেছে। কোনো দেশ নিজ দেশের মানুষকে অভুক্ত রেখে রপ্তানি করে না, করবেও না। এটাই স্বাভাবিক। আমরা কী আমাদের জনগণকে ভুখারেখে চাল রফতানি করব? অবশ্যই না। তাহলে আমরা যে সব দেশ থেকে চাল ও গম আমদানি করব তারা নিজেদের অনিরাপদ রেখে কেন রপ্তানি করবে। সুতরাং চাল গম আমদানি কমছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুসারে, গেলো পাঁচ বছরে যে হারে জনসংখ্যা বেড়েছে তার চেয়ে কম হারে বেড়েছে খাদ্যশস্য উৎপাদন। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৫ কোটি ৯৭ লাখ। যা ২০২২ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৮১ লাখের কিছু বেশি। অর্থাৎ পাঁচ বছরে দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে চাল ও গমের উৎপাদন কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৩০ হাজার টন। খাদ্যশস্য উৎপাদন বেড়েছে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হারে। এ হিসাবে যে হারে জনসংখ্যা বেড়েছে সে হারে খাদ্য উৎপাদন বাড়েনি।

Advertisement

 

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

অর্থনীতি

একমাসে পায়রা বন্দরে রাজস্ব আয় অর্ধশত কোটি টাকা

Published

on

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দেশের আমদানি রপ্তানিতে স্থবিরতা বিরাজ করলেও। ব্যতিক্রম ছিল পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দর। চলতি মাসে মোট ৮টি জাহাজ বন্দরে পণ্য খালাস করেছে। যা থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে অর্ধশত কোটি টাকা।

গেলো বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) পায়রা সমুদ্র বন্দরে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল আব্দুল্লাহ আল-মামুন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, সবশেষ বন্দরের ইনার এ্যাঙ্করে নিরাপদে কয়লা খালাস করছে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ছিনতাই হওয়া সেই জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। এ কয়লা দিয়েই সচল রয়েছে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজিজুর রহমান জানান, গেলো ১৮ জুলাই থেকে বন্দরে সি স্পিরিট এবং এমভি আব্দুল্লাহ নামে দুটি মাদার ভেসেল পায়রা বন্দরে আগমন করেছে। এছাড়া ১৯ জুলাই এমভি ব্রাইট নামে একটি জাহাজ কয়লা খালাস করে বন্দর ত্যাগ করেছে।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জানান, সরকারের জারি করা কারফিউয়ের মধ্যেও বন্দরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন। শ্রমিকদের নিরাপত্তা সহ বন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় বন্দরের ৩১ জন নিরাপত্তাকর্মী, ৪৮ জন আনসার সদস্য এবং নৌ বাহিনীর ৪২ জন সদস্য কাজ করছেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, বন্দর সচল রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এখন পর্যন্ত বন্দরে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আমদানি-রপ্তানি

২৬০ কোটি টাকার এমওপি সার কিনবে সরকার

Published

on

কানাডার কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশন থেকে দুই লটে ৮০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সার ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে ২৬০ কোটি ০৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে এ সার আমদানি করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়৷

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান,৩য় লটে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় এ সার আনতে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রতি টনের দাম পড়বে ২৭৫.৫০ মার্কিন ডলার।

এছাড়া চতুর্থ লটে  ৪০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা।  প্রতি টনের দাম পড়বে ২৭৫.৫০ মার্কিন ডলার।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অর্থনীতি

রপ্তানি আয়ের গরমিল নিয়ে যা বললেন সালমান এফ রহমান

Published

on

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সমন্বয়ের অভাব আছে। ইপিজেড থেকে যে পরিমাণ পণ্য রফতানি হয়েছে, ইপিবি তা ডাবল গণনা করায় রপ্তানি আয়ের তথ্যে গরমিল হয়েছে। বললেন,  প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

রোববার (৭ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সেমিনারে এসব কথা বলেন সালমান এফ রহমান।

প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাজই হচ্ছে যারা বেশি রাজস্ব দেয় তাদের ওপর আরও ট্যাক্সের বোঝা চাপানো। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এনবিআরকে ডিজিটালাইজড করা গেলে এ প্রবণতা কমবে।

গেলো ৩ জুলাই ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ের ব্যালেন্স অব পেমেন্ট প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এতে পরিষ্কার হয় ইপিবি দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানি আয় ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছে। এনবিআরের সংশোধিত পদ্ধতিতে গেলো অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণের তথ্যে এ প্রমাণ মেলে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ডলারের পণ্য জাহাজীকরণ করা হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬.৮০ শতাংশ কম। অথচ ইপিবি বলছে, এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলারের পণ্য। অর্থাৎ, পণ্য জাহাজীকরণেই পার্থক্য ১৩.৮০ বিলিয়ন ডলার।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it