চট্টগ্রাম
কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিকসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখম
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক সাংবাদিকসহ তিনজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের শাহাজাদপুর গ্রামে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- ওই গ্রামের সাংবাদিক প্রশান্ত সুভাস, তার মা রানী চন্দ ও ছেলে প্রমীত প্রতাপ চন্দ। তাদেরকে নেয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর পৌনে ১টার দিকে শহিদ উল্লাহ ওরফে কেচ্চা রাসেলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা সুভাসের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় সাংবাদিক সুভাসের বসতঘরও ভাঙচুর করা হয়।
আহতদের অভিযোগ, হামলাকারীরা বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থক। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেয়র মির্জা।
হাসপাতালে সুভাসের স্বজনরা জানান, আবদুল কাদের মির্জার কাছের লোক কেচ্চা রাসেল। তার নেতৃত্বে ২৫-৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত সুভাসের বসতঘরে হামলা চালায়। এ সময় তারা সুভাসকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে তার ছেলে ও মাকেও কুপিয়ে-পিটিয়ে আহত করে। সন্ত্রাসীরা তার বসতঘরটিও কুপিয়ে তছনছ করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, লিখিত অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বসুরহাট বাজারের রূপালী চত্বরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় এ ঘোষণা দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। অব্যাহত থাকবে রাত ১২টা পর্যন্ত। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউল হক মীর।
বুধবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট বোন রোকেয়া বেগমের (৫৫) বাসায় হামলার ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় বসুরহাট বাজারের রুপালী চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের অনুসারীরা।
অপরদিকে, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কাদের মির্জার ব্যক্তিগত সহকারী ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন মাহমুদ তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একই স্থানে একই সময়ে উপজেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে পাল্টা প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেন। এতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিলে ১৪৪ ধারা জারির ঘোষণা দেয় উপজেলা প্রশাসন।
এস
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/