এশিয়া
মালদ্বীপে ভয়াবহ আগুন, প্রবাসী ১৬৫ বাংলাদেশি আশ্রয়হীন
মালদ্বীপের রাজধানী মালের একটি নিলাম মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় মার্কেটের শ্রমিকদের একটি আবাসন ব্লক সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এতে অন্তত ১৬৫ বাংলাদেশি প্রবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই অগ্নিকাণ্ডের সময় ধোঁয়ার কারণে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
আজ মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালের দিকে আগুনে প্রবাসী শ্রমিকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার এই তথ্য জানিয়েছে মালের সিটি কাউন্সিল। দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য এডিশন বলছে, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শহরের দক্ষিণ পাশের নিলাম মার্কেট মালে নিলান ফিহারায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডে সিটি কাউন্সিলের প্রবাসী কর্মচারীদের আবাসন ব্লক সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
সিটি কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, ওই আবাসন ব্লকে ১৬৫ বাংলাদেশি এবং ভারতীয় এক প্রবাসী বসবাস করতেন। আগুন লাগার সময় কয়েকজন শ্রমিক ফজরের নামাজের জন্য মসজিদে গিয়েছিলেন। এছাড়া অন্যরা কর্তব্যরত ছিলেন। তবে আবাসন ব্লকে অগ্নিকাণ্ডের সময় সবাই উপস্থিত ছিলেন না।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশিরা এখনও খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন
সূত্রের বরাত দিয়ে মালদ্বীপের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মিহারু বলেছে, আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই আবাসন ব্লকের অনেক বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। তবে তাদের মধ্যে কেউ কেউ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। সৌভাগ্যবশত এই প্রবাসী কর্মীদের কেউ আহত হননি।
মালের সিটি মেয়র মোহাম্মদ মুইজ্জু বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
তিনি বলেন, আমরা প্রবাসী কর্মীদের আবাসনের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। তবে এই মুহূর্তে তাদের সমন্বয় করতে পারছি না। কারণ সেখানে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী কর্মী রয়েছেন। আমরা কিছুটা উদ্বিগ্ন। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রবাসীদের রাখার জন্য একটি জায়গা নির্ধারণের ব্যবস্থা করছে।
মালের এই মেয়র বলেন, এই মুহূর্তে তাদের প্রয়োজনীয় খাবার ও পানি সরবরাহ করাই আমাদের লক্ষ্য। রেড ক্রিসেন্ট ও পৌর কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন সংস্থা তাদের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কাজে সহযোগিতা করছে।
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
এশিয়া
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যা বললেন পুতুল
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জিএমএম/
এশিয়া
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
জিএমএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন