অপরাধ
উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে দুই বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ
বড় বোনকে ধর্ষণের পর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছোট বোনকেও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পাবনার দেবোত্তর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা চঞ্চলের বিরুদ্ধে।
ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। চঞ্চলের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
২০১০ সালে মোহাইম্মীন হোসেন চঞ্চল ভুক্তভোগীর বড় বোন আদুরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে বিয়ের কথা বলে পাবনা শহরের এক বাড়িতে ধর্ষণ করেন। পরে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
এখানেই থামেননি চঞ্চল। শোকাহত পরিবারটিকে সান্ত্বনা দেয়ার নামে ওই বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেন। একপর্যায়ে ছোট বোনের সাথেও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সম্প্রতি বড় বোনের মত একই কায়দায় পাবনা শহরে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে রাখে চঞ্চল। পরে ভিডিও প্রচারের ভয় দেখিয়ে চঞ্চল চেয়ারম্যান একাধিকবার ভুক্তভোগীর সাথে শারীরিক সর্ম্পক করে। বিয়ে না হলেও চঞ্চল তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে ভয়ভীতি দেখানোরও অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
সম্প্রতি ভুক্তভোগীর মৃত বড় বোনের একটি ডায়েরি খুঁজে পায় তার পরিবার। পরিবারের দাবি, সেই ডায়েরি থেকে জানা যায় বড় বোনের মৃত্যুর জন্য দায়ী চঞ্চল।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, 'যখন আমার বোনের ডায়েরি পাই তখন এই ডায়েরি নিয়ে প্রশ্ন করলে সে অনেক তালাবাহানা শুরু করে এবং আমি নিশ্চিত হই যে সে এভাবে আমার বোনকে হত্যা করেছে।'
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ভুক্তভোগীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেন চেয়ারম্যান। পারিবারিক কলহের কারণে সম্প্রতি স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছেন বলেও জানান।
আবু হামিদ মোহাম্মদ মোহাইম্মীন হোসেন চঞ্চল বলেন, 'তার সাথে বনিবনা না হওয়ার কারণে তাকে আমি ডিভোর্স দিয়েছি। আমার সম্মানহানী করার জন্য তারা এই কাজগুলো করে যাচ্ছে।'
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আক্তার বলেন, 'তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।'
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ