ফুটবল
ইউরো কাপের নকআউট পর্ব শুরু হচ্ছে আজ
গ্রুপ পর্বের জমজমাট লড়াই শেষে চূড়ান্ত হয়েছে ইউরো কাপের শেষ ষোলোর লাইন আপ। শনিবার (২৬ জুন) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ‘ইউরোপের বিশ্বকাপ’ খ্যাত টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বের খেলা। এদিন বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় আমস্টারডামের ইয়োহান ক্রইফ অ্যারেনায় ওয়েলসের মুখোমুখি হবে ডেনমার্ক।
এ ম্যাচে ড্যানিশদের বিপক্ষে কৌশলে কিছুটা পরিবর্তনের ঘোষণা ওয়েলস কোচ রব পেইজের। প্রথম দর্শনে দলটাকে মনে হতেই পারে নিরীহ। গায়ে তাদের নেই ফেভারিটের তকমা। অথচ ওয়েলসকে সমীহ করবে না এমন দল মেলা ভার। গ্রুপ এ-তে সুইজারল্যান্ডকে পেছনে ফেলে তারা জায়গা করেছে শীর্ষ-১৬’তে। বেল-রামসিরা ইউরোপের বড় তারকা। ড্যানিশদের বিপক্ষে ম্যাচের আগে অনুশীলনেও তাই আত্মবিশ্বাসী দ্যা ড্রাগনস।
হঠাৎ করেই দায়িত্ব পেয়ে ওয়েলসকে আমূল বদলে দিয়েছেন কোচ রব পেইজ। চিরাচরিত রীতি ভেঙে ড্রাগনদের তিনি খেলাচ্ছেন অ্যাল অ্যাটাক ফুটবলে। মধ্যমাঠে অ্যালেন উইলিয়ামসরা ভরসার বড় নাম। তবে সাসপেনশনে কোচ পাচ্ছে না ইথান আমপাদুর সার্ভিস।
পরিসংখ্যানও আভাস দিচ্ছে এক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের। অতীত ড্যানিশদের এগিয়ে রাখলেও সাম্প্রতিক ফর্ম কথা বলছে ওয়েলসের পক্ষে। তবে ওসব না ভেবে শিষ্যদের কৌশলী হওয়ার পরামর্শ কোচের।
ওয়েলস কোচ রব পেইজ বলেন, ডেনমার্ক যেভাবে নক আউটে জায়গা করে নিয়েছে ওদের ভয় না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমার মনে হয় এই ম্যাচে সারা পৃথিবীর সমর্থনও আমাদের বিপক্ষে থাকবে। তবে ছেলেদের নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী। আগের চেয়ে কৌশলে কিছুটা পরিবর্ত আসবে এ ম্যাচে।
ওয়েলস কোচের এমন ভয়ের বড় কারণ ডেনমার্কের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার অদ্ভুত ক্ষমতা। দামসগার্ড-ম্যাশহলে'রা আছেন ফর্মের তুঙ্গে। গোলবারে ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাসটিক ক্যাসপার স্মাইকেলের বিশ্বস্ত হাত। এ ম্যাচও সতীর্থ এরিকসনকে উৎসর্গ করে খেলতে চায় কোচ।
এদিকে ডেনমার্কের কোচ ক্যাসপার হিউয়েলম্যান্ড বললেন, এরিকসন আমাদের অনুপ্রেরণা। ওয়েলসের বিপক্ষে আমদের হারানোর কিছুই নেই। তাই ওরাই চাপে থাকবে। ছেলেদের বলেছি ম্যাচটা উপভোগ করতে।
এ ম্যাচ দেখতে ডেনমার্ক থেকে আমস্টারডামে এসে জড়ো হয়েছেন ৫ হাজার ড্যানিশ সমর্থক। সবমিলিয়ে অপেক্ষাটা এক জম্পেশ দ্বৈরথের।
এস
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//