বাংলাদেশ
সফলভাবে অস্ত্রোপচার করলেন মুখ্যমন্ত্রী নজির
একাধারে মুখ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পেশায় একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক হিসেবে রাজ্যবাসীর কাছে সুনাম রয়েছে প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহার। তাই তো মুখ্যমন্ত্রীর গুরুদায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি চিকিৎসকের দায়িত্ব পালনেও পিছিয়ে থাকেন না তিনি। নিজে উদ্যোগ নিয়ে পুরনো কর্মস্থল হাঁপানিয়াস্থিত ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বছরের নাবালকের জটিল অস্ত্রোপচার হল মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহার নেতৃত্বে।
মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবাকে সাধারণ মানুষের আরও কাছে পৌঁছে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীও তিনি। নিজেও একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক। তাই স্বাস্থ্য দপ্তরের উন্নয়নের জন্য অন্যতম অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে হাঁপানিয়াস্থিত ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও পুরনো কর্মস্থল ভিজিট করেছেন। এই অবস্থায় আবারও পেশাগত দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে মঙ্গলবার পুরনো কর্মস্থল ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এবারের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল ১০ বছরের একজন শিশুর Oral Cystic Lesion অস্ত্রোপচার করা। আর সেই অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহার নেতৃত্বে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের টিম।
এদিন আবার একবার পুরনো মেজাজে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। চিকিৎসকদের নির্ধারিত গাউন পরিধান করে অস্ত্রোপচারে অংশ নেন তিনি। এরআগে তাকে পুষ্পস্তবক ও উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান অন্যান্য চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরবর্তী সময়ে অস্ত্রোপচার শেষে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের জানান, বেশ কিছুদিন পর হলেও পেশাগত দায়িত্ব পালনে তেমন কোনও অসুবিধা হয়নি। পুরনো সহকর্মীদের উপস্থিতিতে সম্পূর্ণ আগের মতোই মনে হয়েছে। তিনি আরও জানান, অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে শিশুটি।
উল্লেখ্য, রাজধানী আগরতলার বাসিন্দা সুকান্ত ঘোষের ১০ বছরের ছেলের অস্ত্রোপচার করেন মুখ্যমন্ত্রী। একদিন পর্যবেক্ষনে রাখার পর বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হবে শিশুটিকে। অপারেশনের সময় এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ডাঃ অমিতলাল গোস্বামী, পূজা দেবনাথ, ডেন্টাল সার্জারি এবং ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি বিভাগের রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তী, স্মিতা পাল, কাঞ্চন দাস, শর্মিষ্ঠা বণিক লেন এবং বেশালী সাহাও। অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগ থেকে অপারেশন থিয়েটারে ছিলেন কংচাই চৌধুরী, পারমিতা দাস এবং অদিতি ভট্টাচার্য। বিহারের পটনা সরকারি ডেন্টাল কলেজ থেকে বিডিএস ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। পরবর্তীতে উত্তরপ্রদেশের কিং জর্জেস মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমডিএস (অরাল্যান্ড মেক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি) ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। পেশাগত জীবনে অত্যন্ত সুনাম এবং দক্ষতার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন তিনি। ছিলেন ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেন্টাল সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। একজন সম্মানিত এবং গুণী চিকিৎসক হিসেবেও কর্মক্ষেত্রে সুবিশাল অবদান রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার। এজন্য ইন্ডিয়ান ডেন্টাল এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে লাইভটাইম এচিভমেন্ট এওয়ার্ড এবং ডেন্টাল সার্জারিতে অসামান্য অবদানের জন্য ত্রিপুরা সরকারের পক্ষ থেকেও তাকে লাইভটাইম এচিভমেন্ট এওয়ার্ড সম্মানে সম্মানিত করা হয়। পেশাগত জীবনে অত্যন্ত সজ্জ্বন, সৎ, নিষ্ঠাবান ও আপাদমস্তক নিপাট ভদ্রলোক হিসেবেই রাজ্যের মানুষ তাকে চেনেন এবং জানেন। মানুষের সেবায় কর্মজীবনে কখনো আপোষ করেন নি তিনি। ছেলের অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সুকান্ত ঘোষ।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন