ফুটবল
চতুর্থ বিয়ে করতে যাচ্ছেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি রোনালদো
ব্রাজিলের হয়ে দুইবার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবল কিংবদন্তি রোনালদো নাজারিও। অনেকের কাছে তিনি ‘ফেনোমেনন’ নামেও পরিচিত। এই স্ট্রাইকার চতুর্থবারের মতো বিয়ে করতে যাচ্ছেন। মডেল সেলিনা লকসের সঙ্গে আট বছর প্রেমের পর জীবনের জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন ৪৬ বছর বয়সী এই ফুটবল তারকা।
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘ল্যান্স’ জানিয়েছে, ২০১৫ সালে সেলিনার সঙ্গে পরিচয় রোনালদোর। এরপর স্পেনে রোনালদোর বাসায় যাতায়াত শুরু করেন সেলিনা। এরপর তারা দুজনে দীর্ঘ আট বছর চুটিয়ে প্রেম করেন। এরপর সেলিনাকে নিজেই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন ব্রাজিলকে সর্বশেষ বিশ্বকাপ জেতানো সাবেক এই ফুটবলার।
বিয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছেন প্যারিস ফ্যাশন উইকের নিয়মিত মডেল সেলিনা লকস। তাদের দুজনের একটি ছবি পোস্ট করে সেলিনা ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘হ্যাঁ। আমি রাজি। তোমাকে চিরদিনের জন্য ভালোবাসি।’ রোনালদোও এই পোস্টে ভালোবাসার জবাবে ভালোবাসা ফিরিয়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘তোমাকেও ভালোবাসি।’
ব্যক্তিজীবনে চার সন্তানের জনক রোনালদো ১৯৯৭ সালে ব্রাজিলিয়ান মডেল সুজানা ওয়ের্নারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। তারা বিয়ে না করলেও মিলানে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত একসঙ্গে ছিলেন। তাদের বিচ্ছেদের পর রোনালদো মিলান ডমিনগুয়েজকে বিয়ে করেন রোনালদো। পরের বছর রোনাল্ডের জন্ম হলেও মাত্র চার বছর টিকেছিল তাদের সংসার।
এরপর ব্রাজিলিয়ান মডেল ও এমটিভি ভিজে ড্যানিয়েল সিকারেল্লিকে বিয়ে করেন রোনালদো। ২০০৫ সালে সেই জুটি মাত্র তিন মাস স্থায়ী হয়েছিল। এরপর মারিয়া বিয়েট্রিচকে বিয়ে করেন রোনালদো। এই ঘরে জন্ম হয় মারিয়া সোফিয়া ও মারিয়া এলিস নামে দুটি সন্তানের।
ব্রাজিলের বডিবিল্ডার মিশেল উমেজুর সঙ্গে ২০০২ সালে টোকিওতে পরিচয় হয়েছিল রোনালদোর। উমেজুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ২০০৫ সালে অ্যালেক্সের নামে এক সন্তানের বাবা হন রোনালদো। তবে আট বছর প্রেম করলেও সেলিনার সঙ্গে এখনো কোনো সন্তান নেননি।
ফ্যাশন জগতের তারকা সেলিনা ছোট বয়সেই মডেলিংয়ে যুক্ত হন সেলিনা লকস। ৩২ বছর বয়সী এই মডেল ইন্ডাস্ট্রির খ্যাতিমান কয়েকটি সাময়িকীর প্রচ্ছদকন্যাও হয়েছেন। ‘ভোগ’, ‘বাজার’ ও ‘দিওর’-এর মতো বেশ কিছু নামীদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজও করেছেন তিনি।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন