আইন-বিচার
ভারতে নারীপাচারকারী দুই আসামির আদালতে দায় স্বীকার
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় পাচার হওয়ার পর ভারতের কেরালা থেকে পালিয়ে আসা এক তরুণীর করা মামলায় দুই আসামি দায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার (২৬ জুন) দুই আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আসামিরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আসামিরা হলেন- তরিকুল ইসলাম ও আলামিন হোসেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মাসুদ উর রহমানের আদালত তাদের তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ২২ জুন সাত আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর হাতিরঝিল থানার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের দশ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের প্রত্যেকের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- নদী ওরফে ইতি ওরফে নুর জাহান, তরিকুল ইসলাম, আলামিন হোসেন, সাইফুল ইসলাম, বিনাশ শিকদার, আমিরুল ইসলাম ও পলক মন্ডল।
এর আগে, গত ১৯ জুন পাচার হওয়ার পর ভারতের কেরালা থেকে পালিয়ে আসা এক তরুণী হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। এরপর গত ২১ জুন বিকেলে হাতিরঝিল থানা পুলিশের একটি দল নড়াইল ও যশোর সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
এই মামলার আসামিরা হলেন- নদী, ইসরাফিল হোসেন খোকন, তরিকুল ইসলাম, আল আমিন হোসেন, আব্দুল হাই, সাইফুল ইসলাম, তাসলিমা, বিনাশ শিকদার, আমিরুল ইসলাম, মেম্বার, আনিস, আলম, মেহেদি হাসান বাবু, মহিউদ্দিন, সালাম, বকুল, পলক মন্ডল, রিফাদুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, সাগর, আখিল, রুবেল, সবুজ।
জানা গেছে, আসামি নদী নারীপাচার চক্রের মূল হোতাদের মধ্যে অন্যতম। তাদের সঙ্গেই যুক্ত টিকটক হৃদয়ও। এই চক্রটির মাধ্যমেই অল্প বয়সী মেয়েদের ফাঁদে ফেলে পাচারের জন্য নিয়ে আসা হত।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ