বাংলাদেশ
খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে সুযোগ দেওয়ার আহ্বান ১৫৫৭ সাংবাদিকের
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন দেশের এক হাজার ৫৫৭ জন সাংবাদিক। একইসঙ্গে তাকে স্থায়ী জামিন দেওয়ার দাবিও জানান তারা।
আজ শনিবার (২৬ জুন) এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ পরিস্থিতিতে তার চিকিৎসা নিয়ে কখনও রাজনীতি বাঞ্ছনীয় নয়।
সাংবাদিকরা বিবৃতিতে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বয়স এখন ৭৬ বছর। প্রবীণ বয়সেও তিনি জেলবন্দি। অবশ্য সরকারের বিশেষ অনুমতিতে শর্তযুক্ত মুক্তিতে তিনি এখন নিজ বাসভবনে অবস্থান করছেন। তবে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি অত্যন্ত অসুস্থ।
আমরা মনে করি, দেশের একজন শীর্ষ রাজনীতিক, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বয়োজেষ্ঠ নাগরিক, একজন নারী হিসেবে উপরন্তু একজন জেলবন্দি ব্যক্তির যথাযথ সুচিকিৎসা পাওয়া ন্যূনতম মানবাধিকারের অংশ। তার মৌলিক অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জাতি হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমরা তাই আদালতের মাধ্যমে তাকে স্থায়ী জামিনে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।
তারা আরও বলেন, আমরা আশা করি, এমন একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদের সামগ্রিক অবদান এবং তার বার্ধক্যের এ কঠিন সময়ের কথা বিবেচনা করে সরকার রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে খালেদা জিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ প্রদর্শ করবে। তিনি যাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারেন, তার ব্যবস্থা করলে সরকারের এ পদক্ষেপকে দেশবাসী ইতিবাচক হিসেবেই দেখবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন- রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (সাবেক এডিটর, নিউজ টুডে, সাবেক সভাপতি, জাতীয় প্রেস ক্লাব), আলমগীর মহিউদ্দিন (সম্পাদক, নয়া দিগন্ত), আমানউল্লাহ (সাবেক প্রধান সম্পাদক, বাসস), আবুল আসাদ (সম্পাদক, দৈনিক সংগ্রাম), শওকত মাহমুদ (সাবেক সভাপতি, জাতীয় প্রেস ক্লাব) ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী (সম্পাদক, দৈনিক দিনকাল), মোস্তফা কামাল মজুমদার (সম্পাদক, দ্য নিউ নেশন), সালাহ উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর (ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, নয়া দিগন্ত), সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ (উপদেষ্টা সম্পাদক, বাংলাদেশ খবর), কবি আবদুল হাই শিকদার (সাংবাদিক ও কবি), এরশাদ মজুমদার (সাংবাদিক ও কবি), কামাল উদ্দিন সবুজ (সাবেক সভাপতি, জাতীয় প্রেস ক্লাব), সৈয়দ আবদাল আহমদ (নির্বাহী সম্পাদক দৈনিক আমার দেশ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাতীয় প্রেস ক্লাব), মাসুমুর রহমান খলিলী (উপ সম্পাদক, দৈনিক নয়া দিগন্ত), আমিনুর রহমান সরকার (সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দৈনিক দিনকাল), এম আবদুল্লাহ (সভাপতি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন), নুরুল আমিন রোকন (মহাসচিব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন), এমএ আজিজ (সাবেক মহাসচিব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন), কাদের গনি চৌধুরী (সভাপতি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন), ইলিয়াস খান, সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রেস ক্লাব), শহিদুল ইসলাম (সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন), মুরসালিন নোমানী (সভাপতি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি), মুনশী আবদুল মান্নান (সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন), বাকের হোসাইন (সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন), জাহাঙ্গীর আলম প্রধান (সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন), মাহফুজুর রহমান (সাবেক সভাপতি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি), শাখাওয়াত হোসেন বাদশা (সাবেক সভাপতি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি), রফিকুল ইসলাম আজাদ (সাবেক সভাপতি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি), ইলিয়াস হোসেন (সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি), রিয়াজ চৌধুরী (সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি), হাসান হাফিজ (সাংবাদিক ও কবি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, জাতীয় প্রেস ক্লাব), মাহমুদ শফিক (সাংবাদিক ও কবি), আবু সালেহ (সাংবাদিক ও ছড়াকার), আনওয়ারুল কবির বুলু (সাংবাদিক ও ছড়াকার), এনায়েত রসুল (সাংবাদিক ও ছড়াকার), মোফাখখার আনাম (প্রবীণ সাংবাদিক), কাজী রওনাক হোসেন (সম্পাদক সারগাম), বদিউল আলম (সিনিয়র সাংবাদিক), বখতিয়ার রানা (সিনিয়র সাংবাদিক), নুরুল হাসান খান (সিনিয়র সাংবাদিক), নুরুদ্দিন আহমেদ (সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন), একেএম মহসিন (সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন), এনাম আবেদীন (সিনিয়র সাংবাদিক), মমতাজ বিলকিস বানু (সিনিয়র সাংবাদিক), রোজী ফেরদৌস (সিনিয়র সাংবাদিক), মাহমুদা চৌধুরী (সিনিয়র সাংবাদিক), জাহেদ চৌধুরী (নগর সম্পাদক, দৈনিক আমার দেশ), আবদুল আউয়াল ঠাকুর (সিনিয়র সাংবাদিক), হাসান শরীফ (সিনিয়র সাংবাদিক), আলাউদ্দিন আরিফ (সাধারণ সম্পাদক, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন), মোদাব্বের হোসেন (সিনিয়র সহ-সভাপতি, বিএফইউজে), রাশিদুল ইসলাম (সহ-সভাপতি, বিএফইউজে), ওবায়দুর রহমান শাহিন (সহ-সভাপতি, বিএফইউজে), শাহীন হাসনাত (সহ-সভাপতি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন), বাছির জামাল (সহ-সভাপতি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন), রাশিদুল হক (সহ-সভাপতি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন), নির্মল চক্রবর্তী (সিনিয়র সাংবাদিক), মোহন হাসান (সিনিয়র সাংবাদিক), আলী মামুদ (সিনিয়র সাংবাদিক), ফখরুল আলম কাঞ্চন (সিনিয়র সাংবাদিক), আনোয়ার আল দীন (সিনিয়র সাংবাদিক), খুরশিদ আলম (সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন), লোটন একরাম (সিনিয়র সাংবাদিক), শফিউল আলম দোলন (সিনিয়র সাংবাদিক), দিদারুল আলম (সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন), আতিকুর রহমান রুমন (সিনিয়র সাংবাদিক), মাহমুদুর রহমান সুমন (সম্পাদক, দেশ বর্তমান), শামসুল হক হায়দরী (সভাপতি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন), মোহাম্মদ শাহানেওয়াজ (সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন), সরদার আবদুর রহমান (সভাপতি, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন), মুহাম্মদ আবদুল আউয়াল, (সাধারণ সম্পাদক, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন), মো. আনিসুজ্জামান (সভাপতি, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন, খুলনা), আবুল হাসান হিমালয় (সাধারণ সম্পাদক, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনা), এম আইউব, (সভাপতি, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর), আকরামুজ্জমান (সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর), মীর্জা সেলিম রেজা, (সভাপতি, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া), গণেশ দাস (সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া), মমতাজ উদ্দিন বাহারী (সভাপতি, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার), মোহাম্মদ আনছার উদ্দিন (সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার), রমিজ খান (সভাপতি, কুমিল্লা জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন), মো. আবদুল জলিল ভূঁইয়া (সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন), মো. মাহফিজুল ইসলাম রিপন (সভাপতি, সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুর), আতিউর রহমান (সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুর), আবদুর রাজ্জাক বাচ্চু (সভাপতি, কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন), এম আইয়ুব আলী (সভাপতি, সাংবাদিক ইউনিয়ন ময়মনসিংহ), সাইফুল ইসলাম (সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক ইউনিয়ন ময়মনসিংহ), এইচএম দেলোয়ার (সভাপতি, সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুর), মো. হেদায়েত উল্লাহ (সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুর) প্রমুখ।
শুভ মাহফুজ
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ