লাইফস্টাইল
শীতকালে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খেতে হবে যা
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অনুভূতি হলো মা হওয়া! আর তাই শরীরে নতুন প্রাণের উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রই হবু মায়ের দরকার হয় বাড়তি যত্নের। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মায়ের শরীরের উপর নির্ভর করে গর্ভস্থ সন্তানের ভাল-মন্দ। তাই মাকে ভিতর এবং বাইরে থেকে ভাল থাকতে হবে। মন তো বটেই, সেই সঙ্গে সতর্ক থাকা জরুরি শরীরের বিষয়েও।
এ সময় শারীরিক যে কোনও সমস্যা দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। আগে যে অনিয়মগুলি করতেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সেই অবহেলা শরীরের সঙ্গে করা যাবে না। পর্যাপ্ত ঘুমের পাশাপাশি খাওয়াদাওয়াও করতে হবে নিয়ম মেনে। হবু সন্তান যাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়, তার দায়িত্ব আপনারই। সে জন্য অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খাওয়াদাওয়ায় বদল আনা জরুরি। বিশেষ করে শীতকালে মা হওয়ার আগে প্রতিদিন যে খাবারগুলো খেতে হবে-
মাছ
যে খাবারগুলো শরীরের যত্ন নিতে পারে তার মধ্যে মাছ অন্যতম। চিকিৎসকরা অন্তঃসত্ত্বাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় মাছ রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে যে মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। সামুদ্রিক মাছেই সাধারণত ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এ মাছ হবু সন্তানের মস্তিষ্ক গঠনে সাহায্য করে। বুদ্ধির প্রখরতা বাড়াতেও সামুদ্রিক মাছ দারুণ উপকারী।
ডাল
শরীরে পুষ্টি জোগাতে ডালের ভূমিকা অনবদ্য। এর মতো পুষ্টিকর খাবার খুব কম রয়েছে। মুসুর ডাল, অড়হড় ডালগুলি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বেশি করে খেতে বলেন চিকিৎসকরা। ফাইবার, প্রোটিন, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি-সমৃদ্ধ ডাল গর্ভাবস্থার প্রথম কয়েক মাসে খাওয়া জরুরি।
মটরশুঁটি
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মটরশুঁটি খেতে ভুলবেন না। এর মতো উপকারী সব্জি খুব কমই রয়েছে। ফলিক অ্যাসিডের সমৃদ্ধ উৎস মটরশুঁটি। এ অ্যাসিড হবু সন্তানের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষ সচল রাখে। এমনিক স্তন্যদুধের উৎপাদন বাড়াতেও মটরশুঁটি সাহায্য করে।
আখরোট
শীতকাল মানেই সর্দিকাশি লেগেই রয়েছে। শীতকালীন সংক্রমণ কমাতে অন্তঃসত্ত্বারা ভরসা রাখতে পারেন আখরোটের উপর। আখরোটে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের সমৃদ্ধ উৎস। শীতকালে অন্তঃসত্ত্বা হলে অবশ্যই আখরোট খান। ফাইবার, ভিটামিন ই-এর সমৃদ্ধ উৎস হল আখরোট। এ বাদাম শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। রোগের সঙ্গে লড়তেও সাহায্য করে।
দই
অন্তঃসত্ত্বাকালীন অবস্থায় শরীরে ক্যালশিয়ামের প্রয়োজন পড়ে। বিশেষ করে গর্ভস্থ শিশুর বেড়ে ওঠায় ক্যালশিয়াম একটি উপকারী উপাদান। দইতে ক্যালশিয়াম ভরপুর মাত্রায় রয়েছে। হবু সন্তানের হাড়ের যত্ন নিতে এ সময় দই খান বেশি করে।
সূত্র: হেলথ শটস
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন