ইসলাম
ইজতেমার ২য় পর্ব, যান চলাচলে ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা
বিশ্ব ইজতেমা মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জমায়েত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান এতে সমবেত হন। এরইমধ্যে শেষ হয়েছে প্রথম পর্বের ইজতেমা। আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার ২য় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) ইজতেমায় ধর্মপ্রাণ মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে।
গাড়ি পার্কিং
১. খিলক্ষেত থেকে আদুল্লাহপুর হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে কোনো যানবাহন পার্কিং করা যাবে না।
২. ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের যানবাহনসমূহ নিম্নবর্ণিত স্থানসমূহে (বিভাগ অনুযায়ী) যথাযথভাবে পার্কিং করবেন:
ক. ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ পার্কিং: ১৬ নং সেক্টর এলাকাধীন বিজিএমইএ ভবন, ১০ নং, ১১ নং ৫ নং ব্রিজের ঢালে।
খ. সিলেট বিভাগ পার্কিং: উত্তরা ১৫ নং সেক্টর ২নং ব্রিজের ঢাল থেকে উলোদাহা মাঠ পর্যন্ত।
গ. খুলনা বিভাগ পার্কিং: উত্তরা ১৭ এবং ১৮ নং সেক্টরের খালি জায়গা (বউবাজার মাঠ) ।
ঘ. রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ পার্কিং: প্রত্যাশা হাউজিং।
ঙ. বরিশাল বিভাগ পার্কিং: ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমায় তিন দিনে ৮ মুসল্লির মৃত্যু
চ. ঢাকা মহানগরী পার্কিং: ৩০০ ফিট রাস্তা এলাকায় খালি জায়গা।
৩. নির্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লিবাহী যানবাহন পার্কিংয়ের সময় অবশ্যই গাড়ির চালক/হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং মালিক ও চালক একে অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়।
বিশ্ব ইজতেমার ২য় পর্ব উপলক্ষে গাড়ি পার্কিং ও ডাইভারশন সংক্রান্তে ডিএমপির নির্দেশনা
ডাইভারশন
৪. ডাইভারশন পয়েন্টসমূহ (শুধু আখেরি মোনাজাতের দিন অর্থাৎ আগামী ২২ জানুয়ারি ভোর ৪টা থেকে):
– ধউর ব্রিজ
– ১৮ নং সেক্টর পঞ্চবটী ক্রসিং
– পদ্মা ইউলুপ
– ১২ নং সেক্টর খালপাড়
– মহাখালী ক্রসিং
– হোটেল রেডিসন ব্লু ক্রসিং
– প্রগতি সরণি (বিশ্বরোড)
– কুড়াতলী ফ্লাইওভার লুপ-২
– মহাখালী ফ্লাইওভার পশ্চিম পাশে
– মিরপুর দিয়াবাড়ী বাসস্ট্যান্ড ক্রসিং
– আশুলিয়া বাজার ক্রসিং
৫. ডাইভারশন চলাকালীন:
* আখেরি মোনাজাতের আগের রাত অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি দিবাগত রাত ২টা থেকে আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কভার্ডভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহনসমূহ আব্দুল্লাহপুর, ধউর ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী-বিজয় সরণি-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে।
* আশুলিয়া থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনসমূহ আব্দুল্লাহপুর না এসে ধউর ব্রিজ ক্রসিং দিয়ে ডানে মোড় নিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে।
* মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ সব যানবাহন মহাখালী ক্রসিং-এ বামে মোড় নিয়ে বিজয় সরণি-গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে।
* কাকলী ও মিরপুর থেকে উত্তরাগামী বড় বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানকে হোটেল র্যা ডিসন গ্যাপে ডাইভারশন করা হবে। উল্লিখিত যানবাহনকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বলা হলো।
* আখেরি মোনাজাত অর্থাৎ ২২ জানুয়ারি ভোর ৪টা থেকে প্রগতি সরণি ক্রসিং-আব্দুল্লাহপুর-ধউর ব্রিজ-আশুলিয়া ক্রসিং-মিরপুর মাজার রোড থেকে বেড়িবাঁধ সড়ক, চিড়িয়াখানা থেকে বেড়িবাঁধ সড়ক এবং পল্লবী ইস্টার্ন হাউজিং এলাকা থেকে বেড়িবাঁধ সড়ক পর্যন্ত সড়কসমূহে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
* কাকলী ও মিরপুর হতে উত্তরাগামী প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজিসমূহকে নিকুঞ্জ-১ গেটের সামনে ডাইভারশন করা হবে। উল্লিখিত যানবাহনকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বলা হলো।
* প্রগতি সরণি থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে লুপ-২ এ ডাইভারশন করা হবে। উল্লিখিত যানবাহনসমূহকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বলা হলো।
* আগামী ২২ জানুয়ারি উত্তরার বাসিন্দা, বিমান যাত্রী ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সব যানবাহনের চালকদের বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী, বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
আরও পড়ুন: ইজতেমায় খেজুর বিলিয়ে যৌতুকবিহীন ৭০ বিয়ে
* বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেয়ার জন্য আখেরী মোনাজাতের দিন ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় একটি বড় মাইক্রোবাস পদ্মা ইউলুপ, দুটি মিনিবাস নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার গেটে এবং একটি বড় মাইক্রোবাস কুড়াতলী লুপ-২ এ ফ্রি পরিবহন সার্ভিসের জন্য ভোর ৪টায় মোতায়েন থাকবে।
ট্রাফিক সম্পর্কিত যে কোনো তথ্যের জন্য প্রয়োজনে-
উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা): ০১৩২০-০৪৩৯৪০
অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা): ০১৩২০-০৪৩৯৪১
সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা পূর্ব জোন): ০১৩২০-০৪৩৯৫২
সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা পশ্চিম জোন): ০১৩২০-০৪৩৯৫৫
সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা এয়ারটপোর্ট জোন) : ০১৩২০-০৪৩৯৫৮
ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন): ০১৩২০-০৪৩৯৭৩
টিআই (আব্দুল্লাহপুর): ০১৩২০-০৪৩৯৬৮
টিআই (কামার পাড়া): ০১৩২০-০৪৩৯৭১
টিআই (ধউর ব্রিজ): ০১৩২০-০৪৩৯৭০
টিআই (বিমানবন্দর): ০১৩২০-০৪৩৯৬২ ও
ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম: ০১৭১১-০০০৯৯০, ০১৭০৭-৮০৬১১১, ০১৭০৭-৮০৬২২২, ০১৭০৭-৮০৬৮৮৮।
এ ছাড়া পুলিশি সহায়তার জন্য কল করতে পারেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ।
ইসলাম
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
সালাম ইসলামে সর্বোত্তম ও একমাত্র অভিবাদন। সালাম দেয়া-নেয়া নবী-রসুলদের সুন্নত। মহান আল্লাহ আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করে সর্বপ্রথম সালামের শিক্ষা দেন। তিনি সালাম দিলে ফেরেশতারাও উত্তর দিতেন। আমাদের সমাজে অনেককে দেখা যায়, বাবা-মাকে বা নতুন বিয়ে করলে গণহারে কদমবুসি করেন। পায়ে ধরে সালাম করেন। ইসলামে এভাবে পা ছুঁয়ে সালাম করা কি জায়েজ?
পা ছুঁয়ে সালাম করা ইসলামি সংস্কৃতি নয়। ইসলামে সালাম বলতে ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বুঝায়। ইসলামে উত্তমভাবে সালাম ও সালামের উত্তর দেয়ার কথা রয়েছে। সাহাবায়ে কেরামরা নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলেই সালাম দিয়েছেন। পায়ে ধরে সালাম করেননি। সুতরাং এটি আমাদের করা কোনোভাবেই উচিত নয়।
হাদিসে বড়জোর মুসাফাহা-মুআনাকার কথা এসেছে; কিন্তু কদমবুসির কথা আসেনি। আনাস (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রসুল! আমাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি যখন তার কোনো ভাই বা বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, তখন সে কি মাথা ঝুঁকাবে বা তাকে জড়িয়ে ধরবে বা চুমু খাবে? তিনি বললেন, না। লোকটি বলল, তাহলে কি কেবল হাত ধরবে ও মুসাফাহা করবে? নবীজি বললেন, হ্যাঁ৷ (তিরমিজি: ২৭২৮; ইবনে মাজাহ: ৩৭০২)
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা ঝুঁকাতে নিষেধ করেছেন। বাস্তবতা হচ্ছে, পা ছুঁয়ে ‘সালাম’ করার সময় সাধারণত মাথা ঝুঁকে যায়। আর রুকুর কাছাকাছি হয়ে সালামের জন্য ইশারা করা, ঝুঁকে পড়া এসব মাকরুহ। (সাকবুল আনহুর ৪/২০৫)
বর্তমান প্রচলিত কদমবুসিতে রুকুর হালত এবং সেজদার হালত হওয়া স্পষ্ট। সেই সঙ্গে এটি ইসলামি সংস্কৃতি নয়। তাই সালামের এ নতুন পদ্ধতি থেকে বিরত থাকতে হবে।
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ ছাড়া কারও সামনে মাথা ঝুঁকাতে নিষেধ করেছেন। সুতরাং বর্তমান সমাজে প্রচলিত পা ছুঁয়ে সালাম বা কদমবুচি করা মাকরুহ। বিশেষত সালামের সময় কারও সম্মানে মাথা ঝোঁকানো শরিয়তে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। (আদ্দুররুল মুখতার : ২/২৪৫, রদ্দুল মুহতার : ৬/৩৮৩)
এএম/
ইসলাম
হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু আজ
হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন)। প্রথমদিনে দুটি ফ্লাইটে ৮৩৯ জন হাজির দেশে ফেরার কথা রয়েছে। হজ পোর্টালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হেল্প ডেস্কের তথ্যমতে, আজ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং ফ্লাইনাস এয়ারের দুটি পৃথক ফ্লাইটে ৮৩৯ জন হাজি দেশে ফিরবেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ফিরতি ফ্লাইটটি রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করবে।
তথ্যমতে, ফিরতি হজ ফ্লাইটের অর্ধেক যাত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক সৌদি এয়ারলাইন্স এবং ফ্লাইনাস এয়ার বহন করবে।
এবার বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন সৌদি আরবে যান হজ পালন করতে। আগামী ২২ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এয়ারলাইন্সগুলো ফ্লাইট সূচি সাজিয়েছে। এদিকে হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি মোট ২৭ জন হজযাত্রী মারা গেছেন।
গেলো ৯ মে হজের প্রথম ফ্লাইট শুরু হয়ে ১২ জুন পর্যন্ত চলে। মোট ২১৮টি ফ্লাইটে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পৌঁছে দেয়া হয়। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিচালিত হজ ফ্লাইটের সংখ্যা ছিল ১০৬টি। এছাড়া সৌদি এয়ারলাইনস ৭৫টি এবং ফ্লাইনাস ৩৭টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।
জেএইচ
ইসলাম
ঈদুল আজহার নামাজ পড়ার নিয়ম
ঈদের নামাজ খোলা জায়গা, মসজিদ কিংবা যেখানেই পড়া হোক না কেন, অবশ্যই তা জামাতের সঙ্গে পড়তে হবে। জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য যেসব শর্ত প্রয়োজন, ঈদের নামাজ আদায় করার জন্যও একই শর্ত প্রযোজ্য। সুতরাং জামাত ছাড়া ঈদের নামাজ আদায় করা যাবে না।
ঈদের নামাজের জন্য কোনো আজান ও ইকামত নেই। তবে জুমার নামাজের মতোই উচ্চ আওয়াজে কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়। তবে ঈদের নামাজের পার্থক্য হলো অতিরিক্ত ছয়টি তাকবির দিতে হবে।
নামাজ পড়ার নিয়ম-
প্রথম রাকাতে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বেঁধে অতিরিক্ত তিন তাকবির দিয়ে সুরা ফাতিহা পড়া।
দ্বিতীয় রাকাতে সুরা মেলানোর পর অতিরিক্ত তিন তাকবির দিয়ে রুকতে যাওয়া।
ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ অতিরিক্ত ছয় তাকবিরের সঙ্গে এই ইমামের পেছনে কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর জন্য আদায় করছি…আল্লাহু আকবার।
প্রথম রাকাত
১. তাকবিরে তাহরিমা
ঈদের নামাজে নিয়ত করে তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বাঁধা।
২. সানা পড়া
সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়াতাআলা যাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।
৩. অতিরিক্ত তিন তাকবির দেওয়া।
এক তাকবির থেকে আরেক তাকবিরের মধ্যে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় বিরত থাকা। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবিরে উভয় হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দেওয়া এবং তৃতীয় তাকবির দিয়ে উভয় হাত বেঁধে নেওয়া।
৪. আউজুবিল্লাহ-বিসমিল্লাহ পড়া
৫. সুরা ফাতিহা পড়া
৬. সুরা মেলানো। অতঃপর নিয়মিত নামাজের মতো রুকু ও সিজদার মাধ্যমে প্রথম রাকাত শেষ করা।
দ্বিতীয় রাকাত
১. বিসমিল্লাহ পড়া
২. সুরা ফাতিহা পড়া
৩. সুরা মেলানো।
৪. সুরা মেলানোর পর অতিরিক্ত তিন তাকবির দেওয়া। প্রথম রাকাতের মতো দুই তাকবিরে উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠিয়ে ছেড়ে দেওয়া; অতঃপর তৃতীয় তাকবির দিয়ে হাত বাঁধা।
৫. তারপর রুকুর তাকবির দিয়ে রুকুতে যাওয়া।
৬. সিজদা আদায় করে তাশাহহুদ, দরুদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা।
তারপর খুতবা
ঈদের নামাজ পড়ার পর ইমাম খুতবা দেবেন আর মুসল্লিরা খুতবা মনোযোগের সঙ্গে শুনবেন।
দুই রাকাত ঈদের ওয়াজিব নামাজ ছয়টি অতিরিক্ত ওয়াজিব তাকবিরসহ আদায় করতে হয়। ঈদের নামাজের অতিরিক্ত ওয়াজিব তাকবিরে ভুল হলে অর্থাৎ তাকবির কম বা বেশি হলে অথবা বাদ পড়লে সাহু সিজদা প্রয়োজন নেই।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন