লাইফস্টাইল
পপকর্ন খাওয়ার দিন আজ
পপকর্ন! ছোট থেকে বড়, সবার পছন্দের খাবার। স্কুলের বাইরে, রাস্তার মোড়ে, বাসে বা ট্রেনে সবখানেই দেখা মেলে এটির। এমনকি সিনেমা হলেও আমাদের সঙ্গী পপকর্ন। এই খাবারটি ছাড়া দীর্ঘ ভ্রমণ, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা কিংবা সিনেমা দেখা- কোনোটাই জমে ওঠে না। সুতরাং সেই স্কুলজীবন থেকে শুরু নানাভাবে আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে পপকর্ন।
পপকর্ন যে অনেকের প্রিয় খাবার সে বিষয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। আবার এটাও জানি যে, মজাদার এই খাবারটি তৈরি হয় ভুট্টা থেকে। কিন্তু যে কথাটি অনেকেই জানি না তা হলো, পপকর্ন নিয়ে একটি দিবস আছে। আর আজ সেই দিন। প্রতি বছরের ১৯ জানুয়ারি পপকর্ন দিবস উদযাপন করা হয়। সুতরাং আজকের দিনটি পপকর্ন ভক্তদের জন্য।
আসলে দুই ধরনের পপকর্ন আছে। এর মধ্যে মুভি থিয়েটারে আমরা সবাই পরিচিত যে হলুদ পপকর্ন দেখি তা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয়। মোটামুটি গ্রাম থেকে শুরু করে শহরে- যেকোনো জায়গায় পপকর্ন পাওয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্ন্যাকসগুলোর একটি এই পপকর্ন। মার্কিনিরা সাধারণত বছরে প্রায় ১৩ বিলিয়ন কোয়ার্ট পপকর্ন খেয়ে থাকে। যা বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। অতএব, জনপ্রিয় এই স্ন্যাকটির জন্য একটি দিবস থাকা দোষের কিছু নয়। আর যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৪ সালে পপকর্ন দিবস জাতীয় ছুটিতে পরিণত হয়।
তবে, পপকর্ন দিবস কীভাবে এলো এবং ঠিক কখন থেকে শুরু হলো তার সঠিক তথ্য অজানা। কিন্তু, অনেকে মনে করেন, সুপার বোলের কারণে পপকর্ন দিবসের সূচনা হয়েছিল। কারণ, সুপার বোলের দর্শক ও অনুরাগীদের কাছে পপকর্ন একটি প্রিয় খাবার। যদিও পপকর্ন দিবসের ইতিহাস বিভিন্ন দিনে দেখানো হয়েছে। ১৯৭০ সালে হাই পয়েন্ট এন্টারপ্রাইজের একটি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২৪ অক্টোবর ছিল জাতীয় পপকর্ন দিবস।
কিন্তু, ১৯৮০-এর দশকের ম্যাগাজিনগুলো বলছে, পপকর্ন দিবস ৩১ জানুয়ারি এবং ১৯৮০ সাল থেকে পপকর্ন দিবস সুপার বোলের মতো একই দিনে উদযাপন করা হতো। কিন্তু অবশেষে, ২০০৩ সালে একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯ জানুয়ারি পপকর্ন দিবস এবং সেই থেকেই ১৯ জানুয়ারি পপকর্ন দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে।
যেহেতু আজ পপকর্ন দিবস তাই আপনিও চাইলে দিবসটি উদযাপন করতে পারেন। নিজের উদযাপনকে পপ করে তুলতে পারেন। আর এজন্য আছে অনেক মজার উপায়। সবচেয়ে দারুণ উপায় হলো পপকর্নের স্বাদ গ্রহণ করা এবং বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে উপভোগ করা। বন্ধুকে বাসায় দাওয়াত দিতে পারেন এবং তাকে পপকর্ন খেতে দিতে পারেন। যেহেতু ভুট্টা থেকে পপকর্ন বানানো হয়, তাই চাইলে ভুট্টা দানার মালা বানিয়ে তাকে বরণ করতে পারেন। এছাড়া, পপকর্নের অনেক মজাদার মুখরোচক রেসিপি আছে। যেগুলো আপনার পপকর্ন দিবসকে আরও বিশেষ করে তুলতে পারে।
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন