দুর্ঘটনা
মগবাজারে বিস্ফোরণের দগ্ধ একজনের মৃত্যু, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯
মগবাজার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ইমরান হোসেনের (২৫) মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
বুধবার (৩০ জুন) সকাল ৬টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউয়ে সকাল সাড়ে ৬টায় তার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ ছাড়াও শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। প্রথম থেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল ইমরান। সর্বশেষ বুধবার সকালে তার মৃত্যু হলো। এই ঘটনায় আরও চারজন বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে নুরুন্নবী ও রাসেল নামের দুজনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
একই ঘটনায় ঢাকা মেডিকেলে আরও তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
আহত ইমরানের ছোটবোন আইরিন জানান, তাদের বাসা শান্তিনগরে। ইমরান স্ত্রী নিয়ে মগবাজারে থাকতেন। সে তিন বছর আগে বিয়ে করে তামান্নাকে। তাদের কোনো সন্তান নেই। দুই বছর ধরে ইমরান ওয়ারলেসে 'ব্যাঙ্গল মিট' নামে মাংসের দোকানে সেলসম্যানের চাকরি করছিল। ওইদিন সন্ধ্যায় লোকমারফত খবর পান মগবাজারে তাদের দোকানের পাশে বিস্ফোরণ হয়েছে। ইমরানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে বার্ন ইনস্টিটিউটে গিয়ে তাকে আহত অবস্থায় দেখতে পান।
ইমরানের মৃত্যু দিয়ে মগবাজারের এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯।
এদিকে মঙ্গলবার (২৯ জুন) ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ খোঁজার চেষ্টা করে ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসাসহ পুলিশের কয়েকটি বিশেষ দল। আইজিপি ও বিস্ফোরক অধিদপ্তরের পর এবার কাউন্টার টেররিজম ইউনিটও জানাল, ঘটনাস্থলে পাওয়া গেছে মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্যুয়ারেজের আবর্জনা ও স্তূপ করে রাখা ময়লা থেকে সাধারণত মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়।
এরই মধ্যে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে অনুমান করছি যে, এ রকম কোনো গ্যাস চেম্বার, যে চেম্বারটি বাতাসের সংস্পর্শে এসে এ রকম একটি এক্সক্লুসিভ মিক্সার তৈরি করেছিল এবং যার ফলে এ রকম বড় একটি বিস্ফোরণের ম্যাসিভ এক্সপ্লোশনের ঘটনা ঘটেছে।
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
ঢাকা
মেঘনায় নিখোঁজ ৩ জনের মধ্যে ২ জনের লাশ উদ্ধার
শরীয়তপুরের মেঘনা নদীতে বরযাত্রীবাহী একটি ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিন জনের মধ্যে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের মধ্যে ছিলেন বর সানজুসহ তার ভাই শাওন ও বন্ধু হৃদয়। এর মধ্যে জেলেদের জালে বরের ভাই শাওন ও বন্ধু হৃদয় বেপারীর মরদেহ উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বর সানজু।
শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টার সময় গোসাইরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুষ্পেন দেবনাথ বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ধার হওয়া শাওন পুরান ঢাকার ধোলাইখালের শাহজাহান বেপারীর ছেলে ও হৃদয় একই এলাকার বলু বেপারীর ছেলে। এ নিয়ে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একই পরিবারের ৩জন সহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১ জন।
গেলো শুক্রবার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে এসে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহত হন বরের মা, বোন, ভাই ও বন্ধু। এর আগে সকাল ১০টায় কোদালপুর লঞ্চ ঘাট থেকে মাঝেরচর যাওয়ার সময় মেঘনায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় (স্রোতের) ডুবে ট্রলারটি। এসময়ে ট্রলারটিতে ১১ জন যাত্রী ছিলো বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, আহত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ৫ জন বর্তমানে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এএম/
দুর্ঘটনা
বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাজবাড়ীতে নিহত ২
রাজবাড়ীতে যাত্রীবাহী বাস ও সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আরও কয়েজন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল ৮টায় রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের আহলাদিপুর টিটিসি ভবনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাজবাড়ী আহলাদিপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুয়েল রানা বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ সকাল ৮ টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে ফরিদপুরগামী লোকাল আমানত শাহ নামের একটি বাস সদর উপজেলার রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের আহলাদিপুর টিটিসি ভবনের সামনে এলে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুষ্টিয়াগামী সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। আহত হন আরও ৪-৫ জন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুয়েল রানা বলেন, আহতদের রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল ও ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। চালক ও হেলপাররা পলাতক রয়েছে ।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মৃত অবস্থায় হাসপাতালে একজনকে নিয়ে আসা হয়। আহত অবস্থায় ছয়জনকে হাসপাতালে আনলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।
জেডএস/