ফুটবল
মেসি কখনই ম্যারাডোনা হতে পারবে না: গাত্তি
‘বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার গোলরক্ষকের অবদান মেসির থেকেও বেশি। ম্যাচে দারুণ সেভ করেছে সে। টাইব্রেকারে সেই দলকে জিতিয়েছে। গোলরক্ষকই আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে মেসির অবদান অপরিহার্য নয়।’ বললেন আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি গোলকিপার হুগো গাত্তি।
সম্প্রতি স্প্যানিশ গণমাধ্যম ল্য নেসিওনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
বোকা জুনিয়র্সের সাবেক এই গোলরক্ষক মেসির প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘সে (মেসি) বিশ্বকাপে মোটামুটি ভালোই খেলেছে। তবে ও কখনই ম্যারাডোনা হতে পারবে না। এই মুহুর্তে এমবাপেই বিশ্বের সেরা।’
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে মেসিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছেন হুগো গাত্তি। ২০১৮ সালে এক বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, ‘মেসির স্পেনেই খেলা উচিত। মানুষ তাকে সেখানেই দেখতে চায়। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো হলে ওখানেই খেলত।’
🔥Estas palabras de #GATTI en @elchiringuitotv son lo MÁS VIRAL, están dando la vuelta al mundo:
💣”𝗗𝗜𝗕𝗨 𝗠𝗔𝗥𝗧Í𝗡𝗘𝗭 fue 𝗠Á𝗦 importante que 𝗠𝗘𝗦𝗦𝗜 en el Mundial. Leo 𝗡𝗢 fue 𝗙𝗨𝗡𝗗𝗔𝗠𝗘𝗡𝗧𝗔𝗟”. pic.twitter.com/3rNbk0XHmV
— El Chiringuito TV (@elchiringuitotv) January 19, 2023
মরুর বুকে স্বপ্ন জয়ের আগে আর্জেন্টাইনদের কাছে শ্রদ্ধা ও সম্মানের শীর্ষস্থানটা বরাদ্দ থাকত ম্যারাডোনার জন্য। তবে কাতারে বিশ্বকাপ জিতে সেই দৃশ্যপট বদলে দিয়েছেন লিওনেল মেসি। দীর্ঘ ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে ম্যারাডোনার সেই সিংহাসনের ভাগীদার হয়েছেন ‘লা পুলগা’। রোজারিও থেকে উঠে আসা ৩৫ বছর বয়সী ফুটবলের এই ‘ক্ষুদে জাদুকর’ এখন সর্বকালের সেরাদের একজন।
কাতারে বিশ্বকাপ মিশনের শুরু থেকেই দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেসি। তার হাত ধরেই গুটি গুটি পায়ে গ্রুপ পর্ব থেকে ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছায় আলবিসেলেস্তারা। সেই সাথে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপের শিরোপাও জিতে নেয় তার দল। তবে প্রায় তিন যুগ পর সোনালি ট্রফিটা নিজেদের ঘরে তুললেও, মেসির বিশ্বজয়কে ছোট করে দেখছেন আর্জেন্টিনার এ কিংবদন্তি গোলকিপার।
আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে গাত্তি খেলেছেন ১৮টি ম্যাচ। তবে আর্জেন্টিনার ঘরোয়া লিগে টানা ২৬টি মৌসুমে রেকর্ড ৭৫৭টি ম্যাচ খেলেছিলেন এই তারকা।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন