ফুটবল
হলান্ডের হ্যাটট্রিকে সিটির বড় জয়
ঠিক যেমটা চেয়েছিলেন কোচ পেপ গার্দিওলার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আরও একটি হ্যাটট্রিকের দেখা পেলেন এর্লিং হলান্ড। এ নিয়ে চলতি মৌসুমেই মোট চারটি হ্যাট্রিক করলেন হলান্ড। প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে সবচেয়ে কম ১৯ ম্যাচ খেলে ৪টি হ্যাটট্রিকের রেকর্ডর মালিক এখন তিনি। এর সুবাধেই উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্সকে উড়িয়ে দিল ম্যানেচস্টার সিটি।
রোববার ( ২২ জানুয়ারি) নিজেদের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি ৩-০ গোলে জিতেছে সিটি।
উলভসের বিপক্ষে ২০১৯-২০ মৌসুমে শেষবার হেরেছিল সিটি। সেই মৌসুমে লিগের দুই ম্যাচেই তাদের বিপক্ষে হারে সিটি। তবে লিগে এরপর আর সিটিকে হারাতে সক্ষম হয়নি উলভস। তাদের বিপক্ষে সিটি জিতেছে টানা পাঁচ ম্যাচে।
শুরু থেকে বল দখলে একচেটিয়া আধিপত্য করে ম্যাচ খেলেছে সিটি। তাদের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল গোল পাওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার। যদিও গোল পেতে বেশ টাইম লেগে যায়। প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে উলভসের জালে বল পাঠান হলান্ড। ডি ব্রুইনের ক্রসে ছয় গজ বক্সের মুখে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের ওপর লাফিয়ে হেডে আদায় করেন গোল।
প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। কিন্তু জ্যাক গ্রিলিশের জোরাল শট গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও গোললাইন থেকে ফেরান ডিফেন্ডার নাথান কলিন্স।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সিটি পেয়ে যায় পেনাল্টি। গুনদোয়ানকে ডি-বক্সে রুবেন নেভেস ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। ৫০তম মিনিটে সফল স্পট কিকে দ্বিতীয় গোলটি করেন হলান্ড।
পরের গোলটি বলা যায় সিটিকে একরকম উপহার দেন উলভারহ্যাম্পটনের গোলরক্ষক। সতীর্থের ব্যাকপাস পেয়ে তিনি দুর্বল পাসে বল তুলে দেন রিয়াদ মাহরেজের পায়ে। মহারেজের পাস পেয়ে ফাঁকা জালে বল ঢুকিয়ে দেন হলান্ড।
সিটির জার্সিতে প্রথম মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ৪ টি হ্যাট্রিকের মধ্য দিয়ে ১৯ ম্যাচে হলান্ডের গোল সংখ্য মোট ২৫টি। এর মধ্যে ইতিহাদে ১১ ম্যাচ খেলে করেছেন গোল ১৮টি।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন