আওয়ামী লীগ
প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় রাজশাহী যেতে ৭ ট্রেন ভাড়া
রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে বিভিন্ন জেলা থেকে যাচ্ছেন দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। রাজশাহী রুটে পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগ থেকে ভাড়ায় চিলাহাটি-জয়পুরহাট-রাজশাহী, নাটোর-রাজশাহী, রহনপুর-রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী, শান্তাহার-রাজশাহী ও আড়ানী-রাজশাহীসহ মোট সাতটি বিশেষ ট্রেন আগামীকালের জন্য ভাড়া করা হয়েছে।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) সিরাজগঞ্জ থেকেও যোগ দেবেন জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
গেলো ২৫ জানুয়ারি পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগের ডেপুটি কমার্শিয়াল ম্যানেজার স্বাক্ষরিত এক পত্রে সংশ্লিষ্ট ওই সাত এলাকার স্টেশন মাস্টারসহ রেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন জানান, সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত রেল বিভাগে আগাম আবেদন করে পূর্বানুমতি নিয়ে নেতাকর্মীর যাতায়াতের জন্য আগাম রাজস্ব জমা দিয়ে একটি বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রীর জনসভায় যোগদানে রাজশাহীতে ট্রেনে যাতায়াতে নেতাকর্মীর মধ্যে উৎসাহও বেড়েছে।
জেলা শহরের বাজার স্টেশনের বুকিং সহকারী কাম স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা গণমাধ্যমে বলেন, সংসদ সদস্য মিল্লাত মহোদয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগ প্রথমে আটটি এবং পরে দুটি কোচসহ মোট ১০টি কোচ বা বগি বরাদ্দ হয়। প্রতি কোচে ১০৫টিসহ ১০ কোচে ১ হাজার ৫০টি আসন রয়েছে। রাজশাহী যাওয়া-আসার জন্য সিট বাবদ ১৫৫ টাকা করে ২ হাজার ১০০ আসনে ভাড়া ৩ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা, ইঞ্জিন ভাড়া ১৬ হাজার ৩২০, ডিটেনশন চার্জ ২ হাজার ৯৭০ টাকাসহ ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৭৯০ টাকা বৃহস্পতিবার আগাম পরিশোধ করেছেন তিনি। আগামী রোববার সকাল ১০টায় ট্রেনটি রাজশাহীর উদ্দেশে ছাড়বে।
পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, বড় ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানে এ ধরনের বিশেষ ট্রেন ভাড়ার বিধান ব্রিটিশ আমল থেকেই রয়েছে। ২৯ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ, নাটোর, জয়পুরহাট, শান্তাহার, চাপাইনবাবগঞ্জ, আড়ানী, রহনপুরসহ সাতটি স্থান থেকে রাজশাহী রুটে সাতটি বিশেষ ট্রেন ভাড়ায় রেল বিভাগ থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আবেদনকারীরা অগ্রিম ট্রেনের ভাড়াও পরিশোধ করেছেন।’
এ বিষয়ে অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় যেতে রেল বিভাগে আগাম আবেদন ও ভ্যাট-উৎস করসহ নির্ধারিত ভাড়া দিয়ে সিরাজগঞ্জ-রাজশাহী ও রাজশাহী-সিরাজগঞ্জ রুটে এক দিনের জন্য সিরাজগঞ্জ স্পেশাল ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন