ফুটবল
যে ইতালিতে ভাগ্য বদল, সেই ইতালির জন্যই হুমকি লুকাকু
রোমেলো লুকাকু তার ক্লাব ক্যারিয়ারকে দুটো ভাগে ভাগ করতে পারেন। যার প্রথমটাতে থাকবে ২০১৭ সালে এভারটন মাতিয়ে ওল্ড ট্রাফোর্ডে পদার্পন করা এক শক্তিশালী ফরোয়ার্ড। চড়া মূল্য আর ঘটা করে আয়োজন করেই রেড ডেভিলদের শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন এই বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড। তবে যাত্রাটা সুখকর হয়নি। দুই মৌসুমের শেষটাতে ম্যান ইউর হয়ে ৩২ ম্যাচে মোটে ১২ গোল করেন তিনি।
এরপর কোচের সঙ্গে দুরত্ব, দলের প্রথম পছন্দ না হওয়া লুকাকু ইংল্যান্ড ছেড়ে পাড়ি জমান ইতালিতে। দীর্ঘদিন যাবত সাফল্যের মুখ না দেখা ইন্টার মিলানে নাম লেখান ২০১৯ সালে। সেখানেই যেন ক্লাবের সঙ্গে ভাগ্য বদলে যায় বেলজিয়ান তারকারও। সিরি ‘আ’তে ৭২ ম্যাচ খেলে ৪৭ গোল করেছেন লুকাকু, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১২টি গোল।
তার অসাধারণ পারফরম্যান্সে ১১ বছরের অপেক্ষার পর লিগ শিরোপা জয়ের উচ্ছ্বাসে ভেসেছে ইন্টার। জিতেছেন মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার অব দ্যা সিজনের পুরষ্কার। আক্রমণভাগে লুকাকুর বাম পা অগ্রণী ভূমিকা রাখে ইন্টারের ভাগ্য ঘোরাতে। যে ইতালিতে তার ভাগ্য বদল হয়েছিল, সেই ইতালির বিরুদ্ধেই আজ রাতে নামবেন সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে। সিরি আ'তে যে ডিফেন্ডারদের বিপক্ষে গোল করেছেন হেসেখেলে, সেই রক্ষণের বিরুদ্ধেই আজ তার অগ্নিপরীক্ষা।
শেষ ১২ ম্যাচের ১১ টিতেই কোন গোল হজম করেনি ইতালি। মানচিনির শিষ্যরা রীতিমতো চীনের প্রাচীর গড়ে তুলেছে নিজেদের রক্ষণে। সেই জমাট বাঁধা রক্ষণের সামনে বেলজিয়ামকে গোলের দেখা এনে দিতে পারবেন কি না লুকাকু তা বলবে সময়। তবে দীর্ঘাকার এই ফরোয়ার্ডের সামনে যে কিয়েলিনি-বনুচ্চিরা আজ রাতে কঠিন এক পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন তা নিশ্চিত।
বেলজিয়ামের হয়ে সর্বশেষ ৪৫ ম্যাচে তিনি গোল করেছেন ৪৬টি। তার শক্তিমত্তা, গতি আর বা পায়ের নিখুঁত শটে যে ইতালিয়ানরা স্বাচ্ছন্দ্যে থাকেন না তা তো সিরি আ'তেই প্রমাণিত। তবে আজ রাতে লুকাকুকে নামতে হতে পারে দলের শীর্ষ দুই তারকা ইডেন হ্যাজার্ড আর কেভিন ডি ব্রুইনাকে ছাড়া। এই দুইজনই অনিশ্চিত কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে। সেক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়েই যাবেন বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড। তবে বেলজিয়ান কোচ রবার্তো মার্টিনেজের কাছে আজ রাতে লুকাকুই হচ্ছেন সবথেকে বড় অস্ত্র।
এস
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//