ফুটবল
গার্ডিয়ানের তালিকায় বর্ষসেরা ফুটবলার মেসি, শীর্ষে ব্রাজিলিয়ানরা
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দা গার্ডিয়ান গেল বছরের সেরা ১০০ জন খেলোয়াড় নির্বাচিত করেছে। ১৪ জন বর্তমান ও সাবেক ফুটবলার, কয়েকজন কোচ, সাংবাদিকসহ মোট ২০৬ জন বিচারক এই মূল্যায়ণ করেছেন। ২০৬ জন বিচারকের মধ্যে ১৫৬ জনই বর্ষসেরা ফুটবলারের তালিকায় এক নম্বরে রেখেছেন মেসিকে।
অর্থাৎ শতকরা ৭৬ ভাগ বিচারক মেসিকে শীর্ষে রেখেছেন। আর ১৩ শতাংশ বিচারকের কাছে বছরের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন গেল বিশ্বকাপে চমক দেখানো ফরাসী খেলোয়াড় কিলিয়ান এমবাপ্পে। নেইমারের অবস্থান হয়নি সেরা দশে। তার অবস্থন ১২ তম । এছাড়াও গেল বছর পারফম্যান্সের খরায় থাকা পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো অবস্থান হয়েছে ৫১ নাম্বারে।
গার্ডিয়ানের নির্বাচনে সেরা ১০০ ফুটবলারের মধ্যে শীর্ষে আছেন ব্রাজিলিয়ানরা। সেদেশের মোট ১৪ জন ফুটবলার আছেন এই তালিকায়।
ব্রাজিলিয়ানদের মধ্যে শীর্ষে আছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ভিনিসিয়াস জুনিয়র। সার্বিকভাবে তার অবস্থান ৮ম। ভিনিসিয়াসের পরই অর্থাৎ ব্রাজিলিয়ানদের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন পিএসজির হয়ে খেলা ব্রাজিলিয়ান পোষ্টার বয় নেইমার জুনিয়র। অবশ্য সার্বিকভাবে নেইমারের অবস্থান ১২তম। অন্যদিকে ব্রাজিলিয়ানদের মধ্যে তৃতীয় এবং সার্বিক অবস্থানে ১৫তম অবস্থান হয়েছে ক্যাসেমিরোর। ব্রাজিলিয়ান এই ডিফেন্সিভ মিড-ফিল্ডার খেলেন ম্যানচেচস্টার ইউনাইটেডের হয়ে।
গার্ডিয়ানের নির্বাচনে সেরা ১০০ ফুটবলারের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থান ফরাসীদের। ১২ জন ফরাসী খেলোয়াড় তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
ফরাসিদের মধ্যে প্রথম অবস্থানে আছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। পিএসজির হয়ে খেলা এই ফরোয়ার্ডের সার্বিক অবস্থান ২ নম্বরে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন রিয়েল মাদ্রিদ তারকা করিম বেনজেমা, তার সার্বিক অবস্থান ৩ নম্বরে। ফরাসিদের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে আছেন গ্রীজম্যান, সার্বিকভাবে তার অবস্থান ১৭ নম্বরে।
আর সদ্য বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনার ১১ জন খেলোয়াড় আছে একশ জনের এই তালিকায়। গার্ডিয়ানের নির্বাচনে ১০০ ফুটবলারের মধ্যে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় লিওনেল মেসি সেরা হলেও তার দেশের অবস্থান তৃতীয়। সম্প্রতি বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। অ্যাস্টন ভিলার হয়ে খেলা এই গোলরক্ষকের সার্বিক অবস্থান ২০ নম্বরে। আর্জেন্টাইনদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে আছে এনজো ফার্নান্দেজ। তার সার্বিক অবস্থান ২১ নম্বরে।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন