ফুটবল
জেলের মাঠে ফুটবল ম্যাচ খেললেন আলভেজ
ফুটবলের মানুষ, ফুটবল খেলেই সময় পার করছেন। ধর্ষণ মামলার বিচার চলছে স্পেনের আদালতে। কিন্তু সেটা নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না দানি আলভেজ।
ব্রায়ান্স টু প্রিজন। নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িয়ে স্পেনের এই কারাগারে কাটছে দানি আলভেজের দিন-রাত্রি।
তবে খুব একটা মন্দ আছেন তা নয়, জেলেও ফুটবল পায়ে নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান রাইটব্যাক। দাগি আসামিদের সঙ্গে এরই মধ্যে একটা ম্যাচও খেলে ফেলেছেন সাবেক বার্সা তারকা।
কারাগারে তাকে কাছ থেকে দেখা একজনের বরাত দিয়ে, স্প্যানিশ সাংবাদিক ম্যায়কা নাভারো এও জানিয়েছেন, ধর্ষণচেষ্টা মামলার রায় নিয়ে খুব একটা ভাবেন না তিনি।
ব্রাজিলের এ ফুটবলার বলেন, যা হয় তাই মেনে নেব। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ঘর ছেড়েছি, জীবনে অনেক চড়াই উতরাই পার করে এসেছি। এটাও কেটে যাবে। কোন কিছুতেই এখন ভয় পাই না।
জেল জীবন মানিয়ে না নিয়েই বা আর কি করার আছে আলভেজের। জামিন আবেদন বাতিল হয় ২০ জানুয়ারি। তাই সকাল আটটা থেকে রাত দশটার নিয়মতান্ত্রিক জীবন এখন তার নিয়তি। কদিন আগেও পার্টি মাতানো আলভেজের এখন ঘুমাতে হয় ঠিক রাত দশটায়।
সপ্তাহখানেক ধরে আলভেজের উপর গোয়েন্দাগিরি করা লা ভ্যানগুয়ারদিয়া দিয়েছে আরও চমকপ্রদ তথ্য। সেলমেট হিসেবে কুতিনিয়োকে পেয়েছেন আলভেজ। তবে ফুটবলার ফিলিপে নন, এই কুতিনিয়ো রোনালদিনিয়োর সাবেক বডিগার্ড। যিনি একই সঙ্গে শহরের বিভিন্ন নাইটক্লাবের বাউন্সার হিসেবেও বেশ পরিচিত।
স্থানীয় গনমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দ্রুতই জেল মুক্ত হতে পারেন আলভেজ। মামলার খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করে মক্কেলের জামিন আবেদনে মুক্তি নিয়ে বেশ আশাবাদী তারা। যে দলের নেতৃত্বে স্পেনের বিখ্যাত ক্রিমিনাল ল’য়্যার ক্রিস্তোবল মের্তেল।
ভবিষ্যতে মামলা জিতলেও হয়তো সংসারটা টেকাতে পারবেন না ব্রাজিলের সর্বোচ্চ বয়সী এই বিশ্বকাপার। আলভেজের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা সব ছবি সরিয়ে নিয়েছেন তার স্ত্রী ব্রাজিলিয়ান মডেল জোওয়ান সাঞ্জ।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন