অপরাধ
‘ধাক্কা পার্টি’র ফাঁদে রাজধানীবাসী
মানুষের কাছ থেকে নতুন কৌশলে টাকা মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। কারওয়ান বাজার এলাকায় মুঠোফোনে ছিনতাইয়ের ঘটনা শোনা যাচ্ছে প্রায়ই। আর সেটি শুরু হচ্ছে ধাক্কা দিয়ে।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এমন ঘটনা ঘটে এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত এক ব্যাক্তির সাথে।
ওমর ফারুক। কাজ করেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। তিনি যাচ্ছিলেন রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে দিয়ে। হঠাৎ তার বুক বরাবর ধাক্কা দেয় এক যুবক। ধাক্কার কারণ জানতে চাইলে ওমর ফারুকের সঙ্গে অযাচিত শব্দ উচ্চারণ করেন। গালি দেন। এরপর আরও দু-তিনজন ব্যক্তি জড়ো হন। তারাও ফারুকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হন।
ওমর ফারুক বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি আমি ওই প্রতিষ্ঠান থেকে রাত ৮টা ১০ মিনিটে বের হই। বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ একজন স্বেচ্ছায় আমার বুকের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। আমি জানতে চাই, কী সমস্যা? ওই যুবক ‘দেখিনি’ বলে আমাকে সরি বলেন। এরপর এক ব্যক্তি আমাকে অযাচিতভাবে গালি দেন। থাপ্পড়ও মারেন। আমার পকেটে হাত দেন। আমাকে নিয়ে টানাহেচড়া শুরু করেন। আমাকে নার্ভাস করার চেষ্টা করেন। ওরা আমার নাকে-মুখে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন। আমার মনে হচ্ছিল, আমাকে অজ্ঞান করে ক্ষতি করার চেষ্টা করবে।’
ওমর ফারুক আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে, আমার কাছে জানতে চান, আমি কোথায় চাকরি করি। বলি কোথায় চাকরি করি। তারপর তারা আমার কার্ডটি দেখার চেষ্টা করেন, দেখেনও। কার্ডটি দেখার পর তারা নরম হয়। সে সময় পাশ দিয়ে একজন পথচারী যাচ্ছিলেন। আমি তাকে ডেকে আমার দিকে আসতে বলি। তারপর আমি দ্রুত সেখান থেকে চলে আসি।’
তিনি বলেন, ‘অফিসের কার্ডটি দেখার পর তারা আমাকে চলে যাওয়ার পথ বের করে দিয়েছে বলে মনে হয়।’
ফারুক বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমারই এক সহকর্মীর ফোন ছিনতাই হয়েছে। তারও কিছুদিন আগে আরেক সহকর্মীকে অজ্ঞান করে একটি ঘরে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে ৪০ হাজার টাকা নিয়েছে। ছিনতাইকারীরা খুবই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে কারওয়ান বাজারে।’
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ আলম বলেন, বোরাক টাওয়ারের ওখানে তাদের একটি টহল টিম রয়েছে। কারওয়ান বাজারের আশপাশে সব সময় তাদের টহল টিম থাকে। দেখা গেল, টহল টিম একপাশে রয়েছে; অন্যপাশে ছিনতাইকারীরা সক্রিয়। তবে, ইদানিং প্রায় ছিনতাইয়ের অভিযোগ পান তারা। থানায় এসেই অভিযোগ দেয় অনেকে। তারা অভিযান জোরদারের চেষ্টা করছেন।
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন