লাইফস্টাইল
জাদু কি ঝাপ্পি…
আমরা যখনই কাউকে পছন্দ করি তার কথাবার্তা বা আচরণও পছন্দ করি, তখনই আমরা অবশ্যই সেই ব্যক্তিকে আলিঙ্গন করি। ছোট্ট একটি আলিঙ্গন মনে প্রশান্তি এনে দেয়। এটি গভীর আবেগ প্রকাশের একটি দুর্দান্ত উপায়। আলিঙ্গনের মাধ্যমে ভালবাসার অনুভূতি বহুগুণ বেড়ে যায়।
তাইতো সম্পর্কের বাঁধন শক্ত করতে একবার নিজের সঙ্গীকে বুকের কাছে জড়িয়ে নিন। আচমকা এই শরীরী আবেগ ও উষ্ণতা সম্পর্কে তৈরি করে প্রবল মায়া, এনে দেয় একে অন্যকে পাওয়ার তীব্র আকাঙ্খা। চলুন জেনে নেই জাদু কি ঝাপ্পি তথা আলিঙ্গনের কিছু গুণ-
সকল জুটি বা দম্পতিই চান একে অপরের সঙ্গে হাসিখুশি ইতিবাচক সম্পর্ক। কিন্তু অনেক সময়ই সঙ্গীর সঙ্গে অজান্তেই তৈরি হয়ে যায় দূরত্ব। আজকালকার ব্যস্ত জীবনে কাজ ও ব্যক্তিগত জীবন ব্যালান্স করতেও অনেকের সমস্যা হয়। ফলে একে অপরকে সময় কম দেয়া হয়। আর তাইতো এসময় প্রয়োজন ছোট্ট একটি জাদু কি ঝাপ্পি! এমনকি যদি আপনি স্বাভাবিক মেজাজেও থাকেন এবং একজন কাছের মানুষ আপনাকে আলিঙ্গন করে, তখন মেজাজ অনেক গুণ ভাল হয়ে যায় এবং আপনি ইতিবাচক বোধ করতে শুরু করেন। তাই প্রতিদিন আপনার প্রিয়জনকে একবার হলেও আলিঙ্গন করুন।
সঙ্গীর ভাল গুণে নজর দিন, প্রয়োজনে তা নিয়ে কথা বলুন। আলোচনা করুন। কাজের চাপ থাকলে বোঝার চেষ্টা করুন। তার ভাল লাগার জিনিস নিয়ে কথা বলে চাপ হাল্কা করার চেষ্টা করুন। আর এ কাজটি করার সময় তাকে তো একটু আলিঙ্গন করাই যায়!
সঙ্গীর অনুভূতিগুলো বোঝার চেষ্টা করুন। শুনুন, সব সময় বলার প্রয়োজন নেই। সঙ্গী ভুল বললেও, মাথায় বা হাতে হাত রেখে বোঝানোর চেষ্টা করুন। রাগ হলেও নিজেকে বলুন একটু অপেক্ষা করতে। পরে সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলুন। এতে ঝগড়ার সম্ভাবনা কমে। আর দিয়ে দিন একটি জাদুর ঝাপ্পি। একটু ভেবে দেখুন যখনই আপনি কাউকে আলিঙ্গন করেন, আপনি স্বস্তি অনুভব করেন এবং আপনি অনেক ধরণের দুঃখ ভুলে যান। তাই আলিঙ্গন মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনেকদিন সঙ্গীর সঙ্গে বেড়াতে না গিয়ে থাকলে, সম্পর্ককে জাগিয়ে তুলতে আজই বেড়ানোর প্ল্যান করুন। বেড়াতে গেলে মানুষ অনেক বেশি আবেগপূর্ণ থাকেন, কথা বলেন, খুশি থাকার চেষ্টা করেন। পাহাড়ে উঠে কিংবা সমুদ্রের ধারে গিয়ে প্রিয় মানুষটিকে জড়িয়ে ধরে কপালে এঁকে দিন ছোট্টি একটি চুমু। ছোট্ট একটি চুমু সঙ্গে গভীর আলিঙ্গন ভালোবাসা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ।
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন