ফুটবল
কোপার প্রথম সেমিতে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ পেরু
কাল প্রথম সেমিফাইনাল। শক্তিশালী ব্রাজিলের আতিথ্য নেবে পেরু। এ ম্যাচে ট্যাকটিসের পরিবর্তনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন সেলেসাও কোচ তিতে। অন্যদিকে আত্মবিশ্বাসী পেরুভিয়ান বস রিকার্দো গ্যারেকা। রিও ডি জেনেইরোর নিল্তন সান্তোসে ম্যাচটি শুরু হবে ভোর ৫টায়।
একজন বলের পেছনে ছুটবেন বাকিরা নিজেদের মাঝে সেই বলের নিয়ন্ত্রণ রাখবেন। ফুটবলে এই টার্মকে বলা হয় রন্ডো। পেরুর বিপক্ষে সেমিফাইনালের আগে শেষ অনুশীলনে ফ্লুমিনেন্স ফুটবল ক্লাবের মাঠে রন্ডো খেলায় মেতেছিলেন তিতে। ফুটবলারদের সাথে দারুন বোঝাপড়া ৬০ বছর বয়সী এ ট্যাকটিশিয়ানের।
আসরে সেলেসাওদের শুরুটা উড়ন্ত হলেও ধীরে ধীরে চ্যালেঞ্জ বেড়েছে। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর নিশ্চয়ই সঠিক টিম কম্বিনেশনের সন্ধা মিলেছে। তবে গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে মিস করতে যাচ্ছে বতর্মান চ্যাম্পিয়নরা। আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় নিষেধাজ্ঞায় এ ম্যানসিটি ফরোয়ার্ড। তবে ইনজুরিমুক্ত স্কোয়াড পাচ্ছেন তিতে। কোয়ার্টা ফাইনালের স্কোরার লুকাস প্যাকুয়েতাকে দেখা যেতে পারে একাদশে। নেইমারের সাথে রিচার্লিসন, ফিরমিনোরা সামাল দেবেন আক্রমণ ভাগ। গোল রক্ষকের ভূমিকায় ফিরতে পারেন অ্যালিসন।
ফুটবলারদের উপার আস্থা রেখে ট্যাক্টিসে পরিবর্তন আনার পক্ষে নন এ অভিজ্ঞ কোচ। লাতিন আমেরিকার দলগুলোর বিপক্ষে শেষ ৪৯ ম্যাচে মাত্র ৫ হার তিতের সফল্যের স্বরূপ
ব্রাজিলের কোচ তিতে বলেন, আমি ট্যাক্টিকাল সারপ্রাইজে বিশ্বাসী নই। কেননা আপনি যখন একটা দল গঠন করবেন তখন সবারই আলাদা কিছু বৈশিষ্ঠ্য তাকবে এবং পরস্পরের মাঝে বোঝাপড়া তৈরি হবে। সেগুলোর মিশ্রনটা জরুরি।
ব্রাজিলের কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে কোপা আমেরিকা অভিযান শুরু করেছিলো পেরু। তবে সময়ের সাথে নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে গেল আসরের রানার্স আপরা। গেলবারের ফাইনালের পূনর্মঞ্চায়ন শেষ চারেই। আত্মবিশ্বাসী কোচ গ্যারেকা।
এদিকে পেরুর কোচ রিকার্ডো গ্যারেকা বলেন, আমরা নিজেদের ভুল শুধরে নেয়ার সুযোগটা কাজে লাগাতে চাই। ব্রাজিলের শক্তিমত্তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই তবে আমার দলের উপর পূর্ণ আস্থা আছে।
আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় দলটির সর্বোচ্চ গোল দাতা আন্দ্রে কারিলোকে পাচ্ছেনা পেরু।
পরিসংখ্যান সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স সবখানেই এগিয়ে ব্রাজিল। মুখোমুখি ৪৬ দেখায় ৩৩ জয়ের বিপরীতে মাত্র ৫ হার সর্বাধিক বিশ্বকাপ জয়ীদের।
কোপা আমেরিকায় ১২ মোকাবেলায় ৮টিতেই জিতেছে সেলেসাওরা। ২ হার আর ড্র বাকী দু ম্যাচ।
তবে যে দু ম্যাচে হেরেছে ব্রাজিল তাতে অল্টারনেটিভ জার্সিতে নেমেছিলো পেরু। তবে কি প্রথম সেমিফাইনালে পরিবর্তিত জার্সিতে দেখা যাবে পেরুভিয়ানদের?
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//