ফুটবল
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভোরে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা
একটা শিরোপার জন্য কত হাহাকার। ২০০৬ বিশ্বকাপ থেকে শুরু। এরপর কেটে গেছে দেড় যুগেরও বেশি। তবুও আর্জেন্টিনার জার্সিতে কলঙ্ক মোচন হয়নি লিওনেল মেসির। আলবিসেলেস্তেদের অপেক্ষাটা আরও দীর্ঘ। সেই ১৯৯৩ সালে শেষবার কোন শিরোপার স্বাদ পেয়েছিলো মারাদোনার দেশ। দেখতে দেখতে আরও একবার শিরোপার খুব কাছে আর্জেন্টিনা। মঞ্চ, শেষ শিরোপা উৎসবের, সেই কোপা আমেরিকা। স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মাত্র দুই ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে লিওনেল মেসি।
বুধবার (৭ জুলাই) কোপার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নামছে আর্জেন্টিনা। সকাল ৭ টায় আলবিসেলেস্তেদের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া। টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুণ ছন্দে মেসি ও তার দল। তবে একবিন্দু ছাড় দিতে নারাজ কলম্বিয়া। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ফেভারিট হয়েই নামছে আকাশি নীল শিবির। টুর্নামেন্ট জুড়ে অপরাজিত, আর সবমিলিয়ে সংখ্যাটা ১৮। লিওনেল স্কালোনির অধীনে ২০১৯ সালের পর আর হারেনি ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
সেমির আগে আর্জেন্টিনা কোচ আশ্বাস দিচ্ছেন ভালো খেলার। ম্যাচের আগে লিওনেল স্কালোনি বলেন, 'আমাদের ফাইনাল খেলতেই হবে। সেমিফাইনাল জিততে ছেলেরা মুখিয়ে আছে। আর মাঠে ওদের নিবেদন নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই। স্বপ্ন সত্যি করতে ফুটবলাররা শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত লড়ে যেতে চায়।'
সেমিফাইনাল বাধা টপকে যাওয়ার আত্মবিশ্বাসের যোগান দিতে যথেষ্ঠ লিওনেল মেসির দুরন্ত ফর্ম। চার গোল করে সবাইকে ছাড়িয়ে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। স্বতীর্থ দিয়ে করিয়েছেন সমানসংখ্যাক গোল। শুধু কি তাই। আসরে দলের দশ গোলের সাথে জড়িয়ে এলএমটেনের নাম।
বিপরীতে অনেকটা টেনটুনে শেষচারে কলম্বিয়া। গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচে মাত্র একজয়। পেনাল্টি শ্যুট আউটে উতরে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ে বাধা। লুইস মুরিয়াল ও দুভান জাপাতার টানা ব্যর্থতা সেমিফাইনালের একাদশে জায়গা করে দিতে পারে আরেক ফরোয়ার্ড মিগুয়েলকে।
তাই মেসিদের বিপক্ষে জিততে যে কঠিন কিছু করে দেখাতে হবে কলম্বিয়াকে সেটা বেশ ভালোই জানেন হুয়ান কুয়াদ্রাদো। এই কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার বলেন, 'এটা সত্য, এ পর্যন্ত আসতে ভাগ্য আমাদের সহায় হয়েছে। যা প্রতি ম্যাচে সম্ভব নয়। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জিততে আমাদের দুইশো পারসেন্ট দিতে হবে।'
ইনজুরিমুক্ত স্কোয়াড নিয়ে মধুর সমস্যায় আর্জেন্টিনা। লতারো মার্তিনেজ, নিকোলাস গঞ্জালেস, আনহেল কোরেয়া, পাপু গোমেজ, জার্সিও আগুয়েরো। আক্রমণে কাকে রেখে কাকে খেলাবেন, তাই নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে স্কালোনিকে।
মহাদেশীয় মঞ্চে তো বটেই, কলম্বিয়ার বিপক্ষে ইতিহাসও আর্জেন্টিনার পক্ষে। ৪০ দেখায় ২৩ জয় নিয়ে হেড টু হেডে এগিয়ে আলবিসেলেস্তে। কোপায় ১৪ ম্যাচের পরিসংখ্যানেও রাজত্বও দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। যদিও গেলো মাসে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে মেসিদের ২-২ গোলে রুখে দিয়েছিলো এই কলম্বিয়া।
এস
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//