ফুটবল
বীরের বেশে দেশে ফিরলেন মেসিরা
দেশে ফিরেছে কোপা আমেরিকা জয়ী আর্জেন্টিনা দল। দেশটির প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজের সংবর্ধনা দেয়ার কথা থাকলেও ফুটবলারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে তা স্থগিত করা হয়। আপাতত নিজ পরিবারের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন লিওনেল মেসি, দি মারিয়া, পারেদেসরা।
ঐতিহাসিক মারাকানা জয় করে বিজয়ীর বেশে বুয়েন্স আয়ার্সের ইজেইজায় পুরো আর্জেন্টিনা দল। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পাশে নিজেদের ক্যাম্পে এখানেই প্রায় দুই মাস ধরে নিজেদের শানিত করেছিলো আলবিসেলেস্তেরা। অপেক্ষাটা ২৮ নয় যেনো হাজার বছরের।
জাতীয় বীরদের বরণ করে নিতে বুনো উল্লাসে মেতেছিলো আর্জেন্টাইনরা। করোনা ভীতিকে পেছনে ফেলে হাজারো ছেলে, বুড়ো, নারী-পুরুষ রাস্তায় নেমেছিলো একটা বার প্রিয় মেসি, দি মারিয়া কিংবা পারেদেসদের নিজ চোখে দেখার জন্য। প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজও শামিল হতে চেয়েছিলেন সংবর্ধনায়। তবে ফুটবলারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে আপাতত মেসিদের সাথে সাক্ষাত হচ্ছেনা দেশটির সর্বোচ্চ অভিভাবকের।
ইজেইজা থেকে তাই সোজা যে যার বাসায় ফিরেছেন। ব্যক্তিগত বিমানে করে মেসির গন্তব্য রোজারিও। যেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন স্ত্রী অ্যান্তোনেইয়া রোকুজ্জো। মেসিকে জাপটে ধরলেন, আবেগঘন সে মুহুর্ত। মেসির গাড়ির সাথে যেনো ছুটলো পুরো রোজারিওবাসী। বাড়ী পর্যন্ত লোকে-লোকারন্য। মেসি তাদের কাউকেই হতাশ করতে চাননি। ছবি তুলেছেন, অটোগ্রাফ দিয়েছেন।
শুধু মেসি কেন? দীর্ঘ প্রতিক্ষার সফল সমাপ্তি তো পুরো দলের জন্যই। তাই তো পারেদেস, মনতিয়েলদের ঘরে ফেরা পরিবারের জন্য বিশেষ কিছু। আপ্লুত স্ত্রী সন্তানেরা। পাড়া প্রতিবেশীরাও ভিড় করেছিলো মহানায়কদের বরণ করে নিতে।
তার আগে মারাকানায় শুধু আর্জেন্টিনার ইতিহাসই নয়, রচিত হয়েছে বন্ধুত্বের রূপকথাও। মেডেল দেয়ার পর পাশাপাশি বসেছেন মেসি, নেইমার। হতাশা, কান্না ভুলে নেইমারের হাসিমুখ প্রিয় বন্ধুর সাফল্যে। হার মেনে নেয়া কষ্টকর তবে মেসির হাতে ট্রফি দেখতে পারায় তৃপ্ত নেইমার। জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ যেন মহিমান্বিত ফুটবলের আরও একটা রূপ।
এস
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//