ফুটবল
ইউরো সেরা ইতালির মুখোমুখি হবে কোপা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা!
ক্লাব ফুটবলে সুপার কাপ খুব পরিচিত একটা নাম। ভিন্ন দুই টুর্নামেন্টের দুই চ্যাম্পিয়নের মাঝে আয়োজিত এই ম্যাচ অবশ্য আন্তর্জাতিক ফুটবলে বেশ অচেনা। এবার ঠিক সেই ধরনের উদ্যোগই নিতে চাচ্ছে লাতিন আমেরিকান ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল। গুঞ্জন হয়ে এসেছে, ইউরো আর কোপা চ্যাম্পিয়ন ইতালি-আর্জেন্টিনার মধ্যকার সুপার কাপ ম্যাচ আয়োজনের।
২৪ ঘন্টারও কম সময়ের ব্যবধানে দুই মহাদেশের দুই চ্যাম্পিয়ন পায় ফুটবল বিশ্ব। কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা এবং ইউরোতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইতালি। দুই মহাদেশের দুই পরাশক্তির মাঝে শিরোপা নির্ধারণী লড়াই আয়োজন করলে কেমন হয়? খেলাধুলা বিষয়ক আর্জেন্টাইন দৈনিক পত্রিকা দিয়েরো ওলের মতে, খুব শীঘ্রই ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন ইতালি ও লাতিন আমেরিকার সেরা দল আর্জেন্টিনার মধ্যে একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সাধারণত, মহাদেশীয় সেরা দলগুলো নিয়ে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতিমূলক টুর্নামেন্টে কনফেডারেশন্স কাপ আয়োজন করে। ১৯৯২ সাল থেকেই বিশ্বকাপের আগে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করে আসছিল ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। তবে এবার আর কনফাডেরশন্স কাপ হচ্ছে না। দুই বছর আগেই ফিফা জানিয়েছে, সামনে থেকে আর হবে না বিশ্বকাপের প্রস্তুতিমূলক এই টুর্নামেন্ট। সবশেষ ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত কনফাডেরশন্স কাপে চিলিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় জার্মানি।
দিয়েরো ওলে বলছে, এবার কনফাডেরশন্স কাপ না হওয়ায় এই সুযোগটিই নিতে চাচ্ছে কনমেবল। যেহেতু উয়েফা ইউরো ন্যাশনস লিগের জন্য বর্তমানে লাতিন আমেরিকার দলগুলি ইউরোপের কোন দলের বিপক্ষে কোন প্রস্তুতিমূলক ম্যাচও খেলতে পারছে না। তাই কনফাডেরশন্স কাপ না হওয়ার সুযোগে ইউরো চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে একটি ম্যাচ আয়োজন করতে চায় কনমেবল। এই জন্য উয়েফা প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দ্রো সেফরিনকে ফোন করে নিজেদের ইচ্ছার কথাও জানায় কনমেবল প্রধান। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। এখনও সময় নির্ধারণ করা না হলেও আশা করা যায়, ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের আগেই দুই মহাদেশের সেরা দল দুটির মধ্যে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগেও অবশ্য এই দুই মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নের মধ্যে সুপার কাপ ম্যাচের সাক্ষী হয়েছে ফুটবলবিশ্ব। প্রথমবার ১৯৮৫ সালে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়েকে হারিয়ে এই প্রতিযোগিতার প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয় ইউরো চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। পরের ট্রফিটি যায় দক্ষিণ আমেরিকায়, ১৯৯৩ আসরে টাইব্রেকারে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ডেনমার্ককে হারিয়ে শিরোপা জিতে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//