ফুটবল
কোপার সেরা একাদশে মেসির সঙ্গী নেইমার
লাতিন আমেরিকা শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই কোপা আমেরিকা দিয়ে দীর্ঘ ২৮ বছরের শিরোপা খরা দূর হয়েছে আর্জেন্টিনার। আকাশি-নীল জার্সিতে প্রথমবারের মতো শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছেন লিওনেল মেসি। ব্রাজিলের মাঠে ব্রাজিলকেই হারিয়ে আর্জেন্টিনার এই অর্জন লেখা থাকবে তাদের ফুটবল ইতিহাসে। এমন অর্জনের পর তাই পুরষ্কারটাও হাতেনাতে পেল দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। টুর্নামেন্ট সেরা একাদশে দলটি থেকে সর্বোচ্চ চারজন জায়গা করে নিয়েছেন।
আর্জেন্টিনা থেকে সর্বোচ্চ চার খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন সেরা দলে। ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে ১-০ গোলে হার মানা ব্রাজিল থেকে নেওয়া হয়েছে তিন খেলোয়াড়। পেরু, চিলি, ইকুয়েডর ও কলম্বিয়া থেকে নেওয়া হয়েছে একজন করে খেলোয়াড়। ৪-৩-৩ ফরমেশনে দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলের টেকনিক্যাল গ্রুপ টুর্নামেন্টের সেরা একাদশ বাছাই করেছে।
গোলের নিচে জায়গা পেয়েছেন চমক দেখানো এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ৬ ম্যাচে মাত্র ২ গোল হজম করেছেন তিনি। ৪ ম্যাচে কোনো গোল হজম করেননি। ৮৫.৭ শতাংশ শট রুখেছেন অ্যাস্টন ভিলার এ গোলকিপার। সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে তাঁর বীরত্বেই ফাইনালে উঠে আসে আর্জেন্টিনা। তাঁর সামনে রক্ষণ সামলাবেন চার জন। যেখানে সেন্টার ব্যাক হিসেবে আর্জেন্টাইন ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর সঙ্গী ব্রাজিলের মার্কিনিওস। লেফটব্যাক হিসেবে ইকুয়েডরের পারভিস এস্তুপিনান আর রাইটব্যাকে থাকবেন চিলির মরিসিও ইসলা।
মধ্যমাঠেও ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মিশেল। ক্যাসেমিরো আর রদ্রিগো ডি পলের সঙ্গী ইকুয়েডরের পারভিন এস্তুপিনান। আক্রমণভাগে প্রত্যাশিতভাবেই থাকছেন লিওনেল মেসি ও নেইমার। সদ্য শেষ হওয়া আসরে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক যেখানে করেছেন ৪ গোল, ৫ এসিস্ট, সেখানে নেইমারের যোগান ৩ গোল, ২ এসিস্ট। এই দুজনের সঙ্গে থাকবেন ৪ গোল করা কলম্বিয়ান লুইস দিয়াজ।
কোপা আমেরিকা ২০২১ সেরা দল
গোলকিপার: এমিলিয়ানো মার্তিনেজ (আর্জেন্টিনা)
ডিফেন্ডার: পারভিস এস্তুপিনান (ইকুয়েডর), মার্কিনিওস (ব্রাজিল), ক্রিস্টিয়ান রোমেরো (আর্জেন্টিনা), মরিসিও ইসলা (চিলি)।
মিডফিল্ডার: ইয়োশিমির ইয়োতুন (চিলি), কাসেমিরো (ব্রাজিল) ও রদ্রিগো ডি পল (আর্জেন্টিনা)।
ফরোয়ার্ড: লুইস দিয়াজ (কলম্বিয়া), নেইমার (ব্রাজিল) ও লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা)।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//