অপরাধ
অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চ শিক্ষার জন্য পাঠিয়ে তরুণীকে যৌন হয়রানি
এইচবিডি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আবু সাহাদাত সরকারের বিরুদ্ধে পড়াশোনার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় পাঠিয়ে এক তরুণীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে ওই তরুণী সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ইস্টউড পুলিশ স্টেশনে অভিযোগও দায়ের করেছেন।
রাজধানীর ইস্কাটনে অবস্থিত এইচবিডি সার্ভিস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওই তরুণী পড়াশোনার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় যান। এইচবিডি সার্ভিস নামের এই প্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য সহ বিভিন্ন দেশে শিক্ষার্থী পাঠানোর কাজ করে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, গত ১৩ জুলাই হোয়াটসঅ্যাপে তাকে কুরুচিপূর্ণ বিভিন্ন ম্যাসেজ দেন এইচবিডির কর্ণধার আবু সাহাদাত সরকার হেলাল। প্রথমে তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে এই ম্যাসেজগুলো তার দেয়া। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য সাহাদাতকে ফোন দেন ওই তরুণী। সেসময় ফোনোও তাকে কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলতে থাকেন। তখন তিনি নিশ্চিত হন আবু সাহাদাত সরকার তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন ম্যাসেজ পাঠাচ্ছে।
ভুক্তভোগী আরও জানান, বিষয়টি সিডনি পুলিশকে জানানো হলেও সে আবারও ম্যাসেজ দিতে থাকে এবং ম্যাসেজ পাঠানোর পর ডিলিট করতে থাকে। এ বিষয়ে সিডনি পুলিশ সাহাদাতকে ফোন দিলে সে আর ম্যাসেজ দিবে না বলে জানায়।
ভুক্তভোগী বলছেন, সিডনি পুলিশের কথায় তিনি আস্থা রাখতে পারেননি তাই আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আবু সাহাদাতের যৌন হয়রানির বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও পোস্ট দেন তিনি।
বাংলাদেশী ওই তরুণীর দাবি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার পর এইচবিডির কর্ণধার ও তার পরিবার তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এজন্য তিনি অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশি হাইকমিশনে অভিযোগ দিয়েছেন।
হয়রানির শিকার তরুণীর জানান, অভিযুক্ত আবু সাহাদাত সরকার এখন দাবি করছে তার হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকড হয়েছে, ম্যাসেজগুলো তার পাঠানো না।
যদিও ভুক্তভোগী তরুণী বলছেন, ম্যাসেজগুলো তারই (আবু সাহাদাত সরকার) দেয়া যার স্ক্রিনশর্ট তার কাছে রয়েছে। এর আগেও এইচবিডির কর্ণধার আবু সাহাতের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছিলো বলেও জানান এই তরুণী।
এদিকে ভুক্তভোগী তরুণীর এমন অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তার হয়ে এইচবিডির এক কর্মকর্তা একজন আইনজীবীর বক্তব্য পাঠান সময় সংবাদের কাছে। ওই আইনজীবীর দাবি- তরুণীর অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন এবং অসত্য।
শুভ মাহফুজ
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ