এশিয়া
কী সমঝোতা হলো তালেবান ও আফগান সরকারের মধ্যে?
কাতারের রাজধানী দোহায় কোনো ফলাফল ছাড়াই শেষ হয়েছে আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে দুই দিনের সংলাপ। তবে সংলাপ চালিয়ে যেতে দুইপক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে।
ইরানি সংবাদমাধ্যম পার্স টুডে জানায়, রোববার রাতে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ সমঝোতার কথা জানায় আফগান সরকার ও তালেবান পক্ষের প্রতিনিধিদলের প্রধানরা। এতে আফগান সরকারের প্রতিনিধিদলের প্রধান আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ বলেন, দোহা বৈঠকে নিজেদের মতামত স্পষ্ট করে তুলে ধরেছে দুইপক্ষ। এ বিষয়ে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আবারো আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন তালেবান প্রতিনিধিদলের প্রধান মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার। এর কিছুক্ষণ পর ছয় ধারাবিশিষ্ট একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত তালেবান মুখপাত্র মোহাম্মাদ নাঈম।
সেখানে তিনি বলেন, দোহা বৈঠকে আফগানিস্তানের অবকাঠামো রক্ষা করার পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সম্মত হয়েছে দুইপক্ষ।
ধারণা করা হচ্ছিল, দোহা শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার পর আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে আফগান সরকার ও তালেবান। কিন্তু যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সেরকম কোনো ঘোষণা দেয়নি কোনো পক্ষই। এছাড়া আশা করা হচ্ছিল, দুইপক্ষই এমন একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করবে যাতে পারস্পরিক আস্থা, সংবিধান ও আফগান রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার একটি রোডম্যাপ ঘোষিত হবে। কিন্তু তেমন কোনো ঘোষণাও দেয়নি তারা।
দুইদিনই আলোচনা শেষে এ সংক্রান্ত বিষয়বস্তু, আলোচনার পরিবেশ ইত্যাদি বিষয় গোপন রাখার চেষ্টা করেছে তালেবান ও আফগান সরকারের প্রতিনিধিদল।
শান্তি আলোচনায় আফগান প্রতিনিধিদলে আব্দুল্লাহর সঙ্গে ছিলেন আফগানিস্তানের হেজবে ওয়াহাতে ইসলামি নেতা মোহাম্মাদ করিম খলিলি, জমিয়তে ওলামার অন্যতম শাখার প্রধান আতা মোহাম্মাদ নূর, আব্দুস সালাম রহিমি, মোহাম্মাদ মাসুম এস্তানাকজাই এবং ফাতেমা জিলানি।
অন্যদিকে তালেবান প্রতিনিধিদলে মোল্লা বারাদারের সঙ্গে ছিলেন শেখ আব্দুল হাকিম, শেখ মোহাম্মাদ ফরিদ, মোল্লা মোহাম্মাদ ফাজিল মজলুম, ক্বারী দ্বীন মোহাম্মাদ হানিফ, শেখ শাহাবুদ্দিন দেলোয়ার ও মৌলভি আব্দুস সালাম হানাফি।
দোহা শান্তি আলোচনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিক উপস্থিত থাকলেও বৈঠকের বাকি সেশনগুলোতে আফগানিস্তানের দুই আলোচক পক্ষ ও কাতারের আফগান বিষয়ক বিষয়ক প্রতিনিধি ছাড়া আর কাউকে রাখা হয়নি। রুদ্ধদ্বার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় দুইদিনের বাকি বৈঠক।
এসএন
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জিএমএম/
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
জিএমএম/