আইন-বিচার
স্ত্রীর মিথ্যে মামলায় হয়রানির স্বীকার প্রবাসী স্বামী
স্ত্রীর করা মিথ্যে ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানী খিলগায়ে নিজ বাসাতে এক সংবাদ সম্মেলন করেন প্রবাসী স্বামী সাজেদুল হক।
সাজেদুল হক আমেরিকান প্রবাসী। দীর্ঘ ৪০ বছর থেকে তিনি আমেরিকায় বসবাস করছেন। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সাজেদুল হক দেশে এসে বিয়ে করেন মিরপুরের মেয়ে লাকী আক্তারকে। লাকী আক্তার পেশায় একজন মতিঝিল বিসিকের জুনিয়র রিসার্চ কর্মকর্তা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী সাজেদুল হক বলেন লাকী আক্তার বিয়ের পর থেকেই পরকীয়ার লিপ্ত। তিনি বলেন লাকী আক্তার বিভিন্ন ভাবে সাজেদুল হকের থেকে টাকা আদায় করতেন। আস্তে আস্তে নির্যাতন এর মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় প্রবাসী সাজেদুল হক ২০২১ সালে লাকী আক্তারকে ডিভোর্স দেন। তিনি জানান ডিভোর্স দেয়ার পর তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাজেদুল হক অভিযোগ করে বলেন লাকী আক্তার দীর্ঘ চার বছর পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন। বলেন মাসে মাসে বড় অংকের টাকাও নিতেন হকের কাছ থেকে।
সাজেদুল হক বলেন বিনা কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে হেনস্তার স্বীকার সহ প্রশাসনের হুমকি ধামকির স্বীকারও হচ্ছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সাজেদুল হক জানান তিনি লাকী আক্তারকে ডিভোর্স দেয়ার আগে অনেকবার ক্ষমা করেছেন ও সুযোগ দিয়েছেন কিন্ত তিনি তা কাজে লাগান নি। বলেন লাকী আক্তারকে আমেরিকার নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য গ্রীন কার্ড ও রেডি করে রেখেছিলেন সাথে সাথে বিভিন্ন দেশেও ভ্রমন করিয়েছিলেন পাসপোর্ট ভারী করার জন্য।
উক্ত সম্মেলনে প্রবাসী অভিযোগ করে বলেন তার বিরুদ্ধে করা মামলা একদমই বানোয়াট ও ভিত্তিহিন। তিনি ঘটনার সমস্ত কিছু প্রমাণ করতে পারবেন বলেও জানান সম্মেলনে
সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে তিনি বলেন তার বিরুদ্ধে করা মামলা উদ্দেশ্য প্রনোদিত, হেয়পতিপন্নমুলক এবং বানোয়াট। তিনি দ্রুত এই মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান এবং প্রশাসনের উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তান্তর কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিল ভিকটিম প্রবাসী সাজেদুল হক, তার পরিবার ব্যক্তিবর্গ এবং সাংবাদিকবৃন্দ।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ