বলিউড
বিদায় বেলায় অঝোরে কান্না কিয়ারার, নববধূকে যেভাবে সামলে ছিলেন সিদ্ধার্থ
ছোট থেকে বাবা-মায়ের ও পরিবারের অন্যান্যদের কাছে আদরে বেড়ে ওঠা। পরবর্তী সময়ে বিয়ের পর স্বামীর হাত ধরে নতুন সংসার পাততে অন্য একটি পরিবারের অংশ হতে চলা। বিদায় বেলায় নববধূর ও তার পরিবারের সদস্যদের চোখে জল, কখনও বা কান্নায় ভেঙে পড়া, এতো ভারতীয় বিয়ের অনুষ্ঠানে বহুদিনের পরিচিত রীতি। বহু যুগ ধরেই কমবেশি সব বিয়েতেই এমন একটা ছবি সকলেরই চেনা। সিদ্ধার্থ-কিয়ারার বিয়েতেও এ দৃশ্যের কোনও বদল হয়নি। সম্প্রতি, সিদ্ধার্থ-কিয়ারার বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফাঁস হয়েছে এমনই কিছু অজানা কথা…
সিদ্ধার্থ-কিয়ারার বিয়েতে উপস্থিত এক অতিথিই কিয়ারার কান্নার কথা ফাঁস করেছেন। ওই অতিথি জানান, কিয়ারা তাঁর পরিবারের সদস্যদের ভীষণই কাছের এবং আদরের। বিশেষ করে ভাই মিশালের সঙ্গে দিদি কিয়ারার সম্পর্ক ভীষণ বন্ধুত্বপূর্ণ। তাই বিদায়বেলায় আর আবেগ চেপে রাখতে পারেননি কিয়ারা। শিশুর মতো হাউহাউ করে কাঁদতে শুরু করেন তিনি। কান্না চেপে রাখতে পারেননি ভাই মিশাল এবং অসহায়ভাবে কাঁদতে থাকেন তাঁর মা। ঠিক সেই সময় স্ত্রীকে সামলে নেন সিদ্ধার্থ। ভালোবাসায় ভরিয়ে দেন কিয়ারাকে। পরিবারের সদস্যদেরও সিদ্ধার্থ আশ্বস্ত করেন, তিনি জামাই নন, তাঁদের ছেলে, তাঁদের পরিবারেরও অংশ। আর কিয়ারাকে তিনি আগলে রাখবেন। এসবের মধ্যেই প্রথা মেনে চলতে থাকে বিদায় বেলার নানান রীতি রেওয়াজ…
গেলো ৭ ফেব্রুয়ারি জয়সলমেরে সাতরপাকে বাঁধা পড়েন সিদ্ধার্থ-কিয়ারা। বিয়ের পর কিয়ারা সিদ্ধার্থের হাত ধরে তাঁর দিল্লির বাড়িতে পৌঁছেছেন। সেখানে নববধূকে স্বাগত জানানো হয়েছে ধূমধাম করে। গৃহপ্রবেশের সময় ঢোলের তালে নাচতেও দেখা যায় নব-দম্পতিকে। ৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে আয়োজিত হয় তাঁদের রিসেপশন পার্টি। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন তারকা দম্পতি সিদ্ধার্থ-কিয়ারা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। এরপর মুম্বইতেও ফিরে সেখানেও ঘটা করে রিসেপশনের আয়োজন করার কথা রয়েছে তাঁদের। আগামী সপ্তাহে মুম্বাইয়ের গ্র্যান্ড হোটেলে হতে চলেছে সেই অনুষ্ঠান।
সিদ্ধার্থ-কিয়ারার রাজকীয় বিয়ের রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি গোটা দেশ। মঙ্গলবার রাজস্থানের জয়সলমেরের সূর্যগড় দূর্গে পরিণতি পেয়েছে সিদ্ধার্থ-কিয়ারার প্রেম কাহিনি। গত কয়েক মাস ধরে এই বিয়ে বিয়ে নিয়ে কমচর্চা হয়নি। শেষমেশ শুভকাজটা সেরে ফেলেছেন ‘শেরশাহ’ জুটি। বিয়ের পর্ব মেটবার পর অপেক্ষা ছিল অফিসিয়্যাল ছবির। রাত গড়াতেই ভক্তদের সঙ্গে রূপকথার বিয়ের টুকরো ঝলক শেয়ার করে নেন নবদম্পতি।
মণীশ মালহোত্রার নকশা কাটা লেহেঙ্গায় অপরূপা লাগল কিয়ারাকে। সঙ্গে হিরে-পান্নার গয়নায় সেজেছিলেন সিদ্ধার্থ ঘরণী। তবে সব সাজের মাঝে অনুরাগীদের নজর কাড়ল কিয়ারার গোলাপি চূড়া এবং তা থেকে ঝুলন্ত কলিরে।
বলিউড
সামান্থা অতীত, শোভিতার সঙ্গে বাগদান সারলেন নাগা চৈতন্য
সামান্থার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নতুন জীবনে পা রাখলেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা নাগা চৈতন্য। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) প্রেমিকা শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে বাগদান সারলেন এই অভিনেতা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে হায়দরাবাদের বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাগদান সম্পন্ন করেন নাগা চৈতন্য ও শোবিতা ঢুলিপালার। বাগদান অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যগত সাজে সাজেন তারা। এসময় দুই পরিবারের সদস্য ছাড়াও এ জুটির ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিজাইনার মনীষ মালহোত্রা তার ইনস্টাগ্রামে শোবিতা ও নাগার বাগদানের ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, শোবিতার পরনে পিঙ্ক কালারের সিল্ক শাড়ি। এর সঙ্গে মিলিয়ে সোনার গহনাও পরেন এই অভিনেত্রী।
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা জুটির মধ্যে অন্যতম ছিলেন অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ও অভিনেতা নাগা চৈতন্য। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর বিয়ে করেছিলেন তারা। কিন্তু ২০২১ সালে এ সংসারের ইতি টানেন এই যুগল।
গেল বছর গুঞ্জন চাউর হয়— বিয়েবিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন নাগা চৈতন্য। যদিও এ সম্পর্কের কথা কখনো স্বীকার করেননি এই জুটি। তারপরও অনেকবার একসঙ্গে দেখা গেছে তাদের। সর্বশেষ বাগদানের মাধ্যমে গুঞ্জনকে বাস্তবে রূপ দিলেন এই জুটি।
এসআই/
ঢালিউড
সমালোচনা ভয় পেতেন শেখ হাসিনা: ভারতীয় নির্মাতা হংসল মেহতা
কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে ক্ষমতা ছেড়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোচনায়। এই প্রসঙ্গে এবার পুরোনো স্মৃতি সামনে আনলেন বলিউড নির্মাতা হংসল মেহতা।
২০২২ সালে হংসল মেহেতার সিনেমা ‘ফারাজ’ মুক্তি পেয়েছিল। তবে ছবির শুটিং-এ লাগাতার হুমকির শিকার হয়েছিলেন পরিচালক। কারণ, ছবিটি ঢাকার হোলি আর্টিজানে সংগঠিত নৃশংস হামলা ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে ছবিটি বাংলাদেশের ঘটনায় নির্মিত হলেও বাংলাদেশেই নিষিদ্ধ হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’-এ সেই স্মৃতি তুলে ধরে হংসল মেহতা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ঘটনাগুলো দেখে আমার ‘ফারাজ’-এর মুক্তির কথা মনে পড়ছে। এটি বাংলাদেশ ছাড়া নেটফ্লিক্সে বিশ্বব্যাপী স্ট্রিম হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে ছবিটি নিষিদ্ধ হয়েছিল।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে একাধিক কল পেয়েছি। কথিত সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট, সন্ত্রাসী সংগঠনের কাছ থেকে অনুভূত হুমকির কারণে আমাকে শেষ পর্যন্ত পুলিশ সুরক্ষা দেয়া হয়েছিল। ভারতীয় আদালতে দীর্ঘ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অনেক অভদ্র অভিযোগ করা হয়েছিল। আমি এখনও বাংলাদেশের আদালতের মিথ্যা মামলা লড়ছি। এসব একটি চলচ্চিত্রের মুক্তি ঠেকানোর জন্য। যা দৃশ্যত শেখ হাসিনার সরকারকে চিত্রিত করেছিল। সরকার চায়নি যে বাংলাদেশের বাইরে কেউ জানুক যে তারা অযোগ্য এবং স্বৈরাচারী নেতা দ্বারা চালিত, যিনি নিজের বিরুদ্ধে কোনো সমালোচককে ভয় পেতেন। তারা আমাদের কণ্ঠ চেপে ধরে নিজেদের রক্তাক্ত হাত ঢাকতে চেয়েছেন।’
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা। সেই ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘ফারাজ’ প্রযোজনা করেছেন অনুভব সিনহা ও ভূষণ কুমার। ছবিটি দিয়ে কারিনা কাপুরের চাচাতো ভাই জাহান কাপুর ও পরেশ রাওয়ালের ছেলে আদিত্য রাওয়ালের অভিষেক হয়েছে।
এসআই/
বলিউড
‘বিগবস’ ওটিটি সিজন-৩ বিজয়ী সানা মকবুল
‘বিগবস’ ওটিটি সিজন-৩ বিজয়ীর মুকুট পরলেন সানা মকবুল। রিয়ালিটি শো জিতে তিনি ঘরে তুলেছেন ট্রফি আর ২৫ লাখ রুপি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৪ লাখ টাকার বেশি।
চলতি বিগবস সিজন ৩-এর শুরু থেকেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন সানা। প্রতিবারই দর্শকদের কাছ থেকে পেয়েছেন বিপুল ভোট। তবে বিতর্কেও জড়িয়েছেন। আবার সেখান থেকে নিজেকে মুক্তও করেছেন।
বিগবসের ঘরে সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক রেখে চলতেন সানা। তার খেলা দেখে ভীষণ আনন্দ পেতেন দর্শকরা। তাই প্রত্যেকবারই বিপুলসংখ্যক ভোট পেয়েছেন তিনি। শোতে তাকে যখনই কোনো কাজ দেওয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে পালন করতেন সানা।
বিগবসের আসরে সানার বন্ধু ছিল নাজী। বিজয়ীর মুকুট পরে জয়ের কৃতিত্ব নাজীকেই দিতে চাইলেন তিনি। মজার ব্যাপার, বিগবসে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন নাজী।
‘বিগ বস’-এর চলতি আসরের ফাইনালিস্ট হিসেবে ছিলেন সানা মকবুল ও নাজী, রণবীর শোরে, সাই কেতন রাও, কৃতি মালিক।
এসআই/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন