বলিউড
শিল্পার স্বামী বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন শ্রুতি গেরা
বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামীর পর্নোগ্রাফি ও গ্রেফতার কাণ্ডে ভারতজুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। এবার সে আগুনে ঘি ঢাললেন অভিনেত্রী শ্রুতি গেরা। রাজ কুন্দ্রার একটি ভিডিওতে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল শ্রুতিকেও। যদিও তাকে বলা হয়েছিল, ওয়েব সিরিজের জন্য ডাকা হচ্ছে। কিন্তু মুম্বাইয়ের বিজ্ঞাপনের জগতের চেনামুখ শ্রুতি সেই প্রস্তাবে রাজি হননি।
পর্নোকাণ্ডে রাজের গ্রেফতারের পর সেই অভিজ্ঞতা প্রকাশ করলেন শ্রুতি। এই মুহূর্তে তার একটি কথাই মনে হচ্ছে, ‘ওদের থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে পেরেছি, এ আমার সৌভাগ্য।’
একাধিক কাস্টিং নির্দেশকদের কাছ থেকে ফোন এসেছিল শ্রুতির কাছে। যদিও তাদের নাম মনে নেই অভিনেত্রীর। তিনি বলেন, ‘কোনো এক কাস্টিং ডিরেক্টর আমাকে ফোন করেছিলেন, নামটা মনে নেই। আমায় বলা হয়েছিল, রাজ কুন্দ্রার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হবে। আরও একজন বলেন, রাজ কুন্দ্রা ওয়েব দুনিয়ায় পা রাখছেন। আমি তখনই না বলে দিয়েছিলাম। তবে ভাগ্যবান যে ওদের থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পেরেছি। আমরা সবাই জানতাম রাজ কুন্দ্রা একটা বড় নাম, কিন্তু দেখা গেল উনি পর্নো বানাতেন।’
বলিউডে কম বয়সী ও পরিশ্রমী অভিনেতা-অভিনেত্রীদের এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় বলে দাবি শ্রুতির। তিনি বলেন, ‘জোর করে নেশা করিয়ে তাদের অজান্তেই আপত্তিকর ভিডিও তুলে তারপর এই ধরনের পর্নো বা যৌন উদ্দীপক ছবিতে কাজ করানোর জন্য ব্ল্যাকমেল করা হয়। বলিউডে এটা খুবই সাধারণ ঘটনা। যত্রতত্র দেখা যায় এটা।’
খ্যাতিমানদের অডিশন নেয়া হয় না বলে জানালেন শ্রুতি। কোনো ছবিতে মুখ্য চরিত্রে কে বা কারা অভিনয় করবেন, সেটা আগে থেকেই স্থির করা থাকে। শ্রুতির কথায় জানা গেল, সমস্ত অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় কিন্তু ছোট শিল্পীদের। কেবল নারী নয়, পুরুষদেরও এমন ভিডিওর জন্য জোর করা হয়। তাদের এমন পরিস্থিতির মুখে ফেলা হয়, যেখানে দাঁড়িয়ে আর কোনো পথ খোলা থাকে না। তাই শ্রুতির অনুরোধ, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের এ সবের জন্য দোষ দেয়া উচিত নয়।
পর্নোগ্রাফি ছবি বানিয়ে তা বিভিন্ন অ্যাপে প্রকাশ করার অভিযোগে গত সোমবার (১৯ জুলাই) রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেফতার করেছে মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এ ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত হিসেবে রাজকে উল্লেখ করা হয়। এই মামলায় এখনো পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারিতে রাজ ‘আর্মস প্রাইম মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থা খোলেন। তার ছয় মাস পরই সংস্থাটি ‘হটশট’ নামে একটি মুঠোফোন অ্যাপ তৈরি করেছিল। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, যা প্রশাসনের কাছে পর্নো অ্যাপ নামে চিহ্নিত।
সাম্প্রতিক খবর অনুযায়ী, রাজকুন্দ্রা ৯টি সংস্থার পরিচালক পদে রয়েছেন। অন্যদিকে শিল্পা শেঠী মোট ২৩টি সংস্থার পরিচালক পদে রয়েছেন।
সূত্র : আনন্দবাজার
এস
বলিউড
সামান্থা অতীত, শোভিতার সঙ্গে বাগদান সারলেন নাগা চৈতন্য
সামান্থার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নতুন জীবনে পা রাখলেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা নাগা চৈতন্য। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) প্রেমিকা শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে বাগদান সারলেন এই অভিনেতা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে হায়দরাবাদের বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাগদান সম্পন্ন করেন নাগা চৈতন্য ও শোবিতা ঢুলিপালার। বাগদান অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যগত সাজে সাজেন তারা। এসময় দুই পরিবারের সদস্য ছাড়াও এ জুটির ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিজাইনার মনীষ মালহোত্রা তার ইনস্টাগ্রামে শোবিতা ও নাগার বাগদানের ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, শোবিতার পরনে পিঙ্ক কালারের সিল্ক শাড়ি। এর সঙ্গে মিলিয়ে সোনার গহনাও পরেন এই অভিনেত্রী।
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা জুটির মধ্যে অন্যতম ছিলেন অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ও অভিনেতা নাগা চৈতন্য। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর বিয়ে করেছিলেন তারা। কিন্তু ২০২১ সালে এ সংসারের ইতি টানেন এই যুগল।
গেল বছর গুঞ্জন চাউর হয়— বিয়েবিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন নাগা চৈতন্য। যদিও এ সম্পর্কের কথা কখনো স্বীকার করেননি এই জুটি। তারপরও অনেকবার একসঙ্গে দেখা গেছে তাদের। সর্বশেষ বাগদানের মাধ্যমে গুঞ্জনকে বাস্তবে রূপ দিলেন এই জুটি।
এসআই/
ঢালিউড
সমালোচনা ভয় পেতেন শেখ হাসিনা: ভারতীয় নির্মাতা হংসল মেহতা
কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে ক্ষমতা ছেড়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোচনায়। এই প্রসঙ্গে এবার পুরোনো স্মৃতি সামনে আনলেন বলিউড নির্মাতা হংসল মেহতা।
২০২২ সালে হংসল মেহেতার সিনেমা ‘ফারাজ’ মুক্তি পেয়েছিল। তবে ছবির শুটিং-এ লাগাতার হুমকির শিকার হয়েছিলেন পরিচালক। কারণ, ছবিটি ঢাকার হোলি আর্টিজানে সংগঠিত নৃশংস হামলা ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে ছবিটি বাংলাদেশের ঘটনায় নির্মিত হলেও বাংলাদেশেই নিষিদ্ধ হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’-এ সেই স্মৃতি তুলে ধরে হংসল মেহতা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ঘটনাগুলো দেখে আমার ‘ফারাজ’-এর মুক্তির কথা মনে পড়ছে। এটি বাংলাদেশ ছাড়া নেটফ্লিক্সে বিশ্বব্যাপী স্ট্রিম হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে ছবিটি নিষিদ্ধ হয়েছিল।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে একাধিক কল পেয়েছি। কথিত সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট, সন্ত্রাসী সংগঠনের কাছ থেকে অনুভূত হুমকির কারণে আমাকে শেষ পর্যন্ত পুলিশ সুরক্ষা দেয়া হয়েছিল। ভারতীয় আদালতে দীর্ঘ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অনেক অভদ্র অভিযোগ করা হয়েছিল। আমি এখনও বাংলাদেশের আদালতের মিথ্যা মামলা লড়ছি। এসব একটি চলচ্চিত্রের মুক্তি ঠেকানোর জন্য। যা দৃশ্যত শেখ হাসিনার সরকারকে চিত্রিত করেছিল। সরকার চায়নি যে বাংলাদেশের বাইরে কেউ জানুক যে তারা অযোগ্য এবং স্বৈরাচারী নেতা দ্বারা চালিত, যিনি নিজের বিরুদ্ধে কোনো সমালোচককে ভয় পেতেন। তারা আমাদের কণ্ঠ চেপে ধরে নিজেদের রক্তাক্ত হাত ঢাকতে চেয়েছেন।’
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা। সেই ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘ফারাজ’ প্রযোজনা করেছেন অনুভব সিনহা ও ভূষণ কুমার। ছবিটি দিয়ে কারিনা কাপুরের চাচাতো ভাই জাহান কাপুর ও পরেশ রাওয়ালের ছেলে আদিত্য রাওয়ালের অভিষেক হয়েছে।
এসআই/
বলিউড
‘বিগবস’ ওটিটি সিজন-৩ বিজয়ী সানা মকবুল
‘বিগবস’ ওটিটি সিজন-৩ বিজয়ীর মুকুট পরলেন সানা মকবুল। রিয়ালিটি শো জিতে তিনি ঘরে তুলেছেন ট্রফি আর ২৫ লাখ রুপি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৪ লাখ টাকার বেশি।
চলতি বিগবস সিজন ৩-এর শুরু থেকেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন সানা। প্রতিবারই দর্শকদের কাছ থেকে পেয়েছেন বিপুল ভোট। তবে বিতর্কেও জড়িয়েছেন। আবার সেখান থেকে নিজেকে মুক্তও করেছেন।
বিগবসের ঘরে সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক রেখে চলতেন সানা। তার খেলা দেখে ভীষণ আনন্দ পেতেন দর্শকরা। তাই প্রত্যেকবারই বিপুলসংখ্যক ভোট পেয়েছেন তিনি। শোতে তাকে যখনই কোনো কাজ দেওয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে পালন করতেন সানা।
বিগবসের আসরে সানার বন্ধু ছিল নাজী। বিজয়ীর মুকুট পরে জয়ের কৃতিত্ব নাজীকেই দিতে চাইলেন তিনি। মজার ব্যাপার, বিগবসে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন নাজী।
‘বিগ বস’-এর চলতি আসরের ফাইনালিস্ট হিসেবে ছিলেন সানা মকবুল ও নাজী, রণবীর শোরে, সাই কেতন রাও, কৃতি মালিক।
এসআই/